আমার মুখ আমি দান করে যাব
সুপুরিগাছের জঙ্গলে
দোকানদার মারা গেলে দোকানে তার বউ
বেরিয়ে আসে, আর কালো ভিজে অফিসফেরত ছাতাদের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয় হয়ে যায়।
আমারও মুখের আঁশে পিঁপড়ে বেয়ে উঠবে,
‘পুচ’ ক’রে দেবে পাটশালিখ পাখিতে।
যখনই ভাঙা নিমডাল ছুঁলে, তোমার হাত
টের পাবে উঁচুমতো আমার নাকের বাঁশি।
তার আগে জানলাকে নিজের হাতে
বাতায়ন বানিয়ে দেব। ছবির ফ্রেমের
দুদিকে রাখব এক রুদ্র সুশীতল জল
আমার জীবনোত্তর হাসিগুলো আমি ফেলে এসেছি
নলেনগুড়ের পাখির কাছে
এবার মুখোমুখি ব’সে থাকব গুল্মসভ্যতার,
চক্রাসন করা কলাপাতার পায়ের নিচে
কম্বল পেতে দিয়েই বালির ঢিপির আদেশে
এক-ছুটে তাকে ভাঁড়ের চা এনে খাওয়াব
সচ্চাষীপাড়া থেকে ভেসে আসা মাইক
পরিচয়পত্র বানিয়ে দেবে; আমার
মাসকাবারি মাইনে হবে পালবাড়ির
দেয়ালে বসা শ্যাওলা-অফিসে
আর এতকিছুর মধ্যে একদিন
ত্যাগ ক’রে দেওয়া নিজের মুখ মনে পড়বে
তাকে আমি সারা সন্ধে ডিঙি পেড়ে খুঁজব
হলুদ মেহগনিপাতায়, চাঁদপোড়া ঢেলে দেওয়া আকাশগেলাসে। ডাকব বৃষ্টির মতো
দূরে দূরে ছুঁড়ে দেওয়া হরিবোল দিয়ে…
জ্যোৎস্না থেকে নর্দমা থেকে উঠে যদি
মুখ আবার মুখে ব’সে যায়
loading...
loading...
আপনার কবিতা পাঠে আমি মুগ্ধ এই শব্দটিই উচ্চারিত হয় বেশী। শুভেচ্ছা কবি।
loading...
অনিন্দ্য সুন্দর উপস্থাপন I
loading...