তিন
ঠিক এমনি গরমের সময়ে একবার বাবার চারপাইতে উঠে
একটা দাঁড়াশ লম্বা হয়ে ঘুমিয়ে নিল। ওই দেখতে পাচ্ছ
ঝুঁটি শালিখ গন্ধরাজের ডালে? আর টিউবয়েলের মাথায়
এক সেকেন্ড বসেই পিঠটান — না না, দোয়েল ছাড়া আর
কারও লেজে অতটা লাল থাকতে নেই
সবার উঠোনই তো শুকনো পাতায় ভ’রে আসে, কিন্তু আমাদের
বারান্দায় মায়ের ছেড়ে রাখা শাড়ির ওপর সারা সকাল
ঝাঁপাবে গোটা গোটা নিমফল। আনাড়ি লম্বুগাছের ডাঁটিগুলো
ভাতের থালা ছুঁয়ে নিজেদের এঁটো করে নেবে। এমনকি আমার
পড়ার টেবিলেও দেখি ধাই-মা হয়ে বসে আছেন বাবলার
সর্বাঙ্গহলুদ পাতাটি
আবার কার্তিকী পূর্ণিমার ঠিক পরের দিন একটা বেজি
বেমালুম বড়ঘরে ঢুকে এল — বেরোবে না তো না-ই!
রাতে প্রেমিক এসে চোখের জল ফেলতে রান্নাঘরের
দাওয়ায় মিলমিশ হতো ওদের। তারপর চারটে স্বা, গ, ত আর ম;
মুখভাঙা মাটির হাঁড়িতে তাদের পুরে রেখেছিল ছোটবোন
আজ যে দোয়েলবাবুকে দেখলে, ওমনিই এক মক্কেল জানলা দিয়ে
ঢুকে, এই গেল-বেস্পোতিবার, পড়বি তো পড় দেয়াল আলমারির
আয়নার সামনে। এবার তার ডাক দ্যাখে কে! কনটিনিউয়াস শিস
দিয়ে যাচ্ছে নিজের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এমন যে
তুমি ঘরে ঢুকতেই পারবে না
বলো চন্দন, কতটা মাঠ কুড়িয়েছি!
_________________________
“ভুবনভোজন চলছে” নামের বই থেকে।
loading...
loading...
বলো চন্দন, কতটা মাঠ কুড়িয়েছি! … ইউনিক কোয়েশ্চেন প্রিয় কবি চন্দন দা।
loading...
পাঠে মুগ্ধ হই আপনার কবিতায় কবি।
loading...
তৃতীয় খণ্ড। বিশ্বাস করি প্রথম দুই পর্বও এমন অসাধারণ ছিলো।
loading...
loading...
অভিনন্দন কবি চন্দন ভট্টাচার্য দা। ভালোবাসা।
loading...
অসাধারণ প্রিয় কবি দা।
loading...