অস্থায়ী আকাশ
আমি যখন জনশূন্য হই, যখন শেষবন্ধু ধুলো উড়িয়ে
কাছে দাঁড়িয়েছে
আমাকেও তুলে কাগজের ঠোঙার মতো অস্থায়ী আকাশে
ঠাশ ক’রে সাপবেলুন ফাটিয়ে তার খোলশ ছেড়ে গেছে
তখন আমি ভূত হই, ভিজে পেছল টালির চালে
রাতে-বসা কাক হই তখন
হিমার্ত রাতকেও বলিহারি, চোখের জলের ছোট ছোট
পিরামিড সাজিয়ে রেখেছে! তাদের পাশ কাটিয়ে,
কোনওটা হয়তো ভেস্তে দিয়ে আমি উড়ন্ত এক হাঁটা শুরু হই
দুদিকে নিজের সমাধির পাশে গালে হাত দিয়ে বসে থাকা মানুষ
সেই যে সমবেত গান হতো, কথা ও সুর: মা মনসা
সেই যে বেড়ার ফাঁক দিয়ে ছিটকে রাস্তায় পড়ত
হারিকেনের গোল গোল ইবন বতুতা, ইলতুতমিস — তাদের সামান্য কাছে
টিনের বাউন্ডারি, ভেতরে যাত্রাদল নেই, ফাঁকা মাঠ
বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে, ‘ক্যালিপটাস গাছ উঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে
যাত্রা শেষ, তবু লম্বা পথশূন্য পথ পড়ে আছে
পেছন থেকে ভেসে আসে কলের প্রথম জল বালতিতে
রোদের পিরামিড তৈরি হবে, তার খুটখাট ব্যস্ত শ্রমিকেরা
আর ট্রেনশব্দ, মানে চলন্ত বন্ধু কোনও স্থির বন্ধুর
কাছে ঘেঁষে আবার দাঁড়াল
loading...
loading...
এমন সব কবিতা শুধু পড়ার জন্য। বিশেষ করে আমার মতো পাঠকের কিছু বলার থাকে না।
loading...
অপূর্ব প্রকাশ চন্দন দাদা।
loading...
দারুণ চন্দন দা।
loading...