পুরনো লেখা : মৃত্যুকবিতা
ক
প্রতিটা সময় বউ অথবা গোলাপবাচ্চার সাথে কাটানো উচিত।
আলো নেই, আসবে সেই রাতে খাওয়ার পরে।
সব দেশেই দার্শনিকের চেয়ে ডাক্তারের বেশি রোজগার।
কাদা-রাস্তায়, উঁচু পাথরে পিছিয়ে যাচ্ছে বাড়িফেরা।
যে কোনও ব্যথাই মৃত্যুর দিকে বাঁক ফিরে যায়।
এইসব ফালতু কথায় আমার অবস্থা বোঝাতে পারছি না
মহৎ হবো ব’লে দোতলার ঘরে উঠেছিলাম।
শুধু নিচে নামতে পারি, অসামান্য নিচে নেমে, মনোরম
নিচে নেমে উচ্চমুখ নিচে নেমে যাই
অন্য সবাই তালা দিয়ে খুলুক দরোজা
খ
এখন আপনার উচিত ঈশ্বরে বিশ্বাস।
এখন আপনার ভালো ডঃ বাগচির কথা শুনে চলা।
এমনও সময় আসে, ডুস দিয়ে কাজ হয় না।
গ্লোবালাইজেশন হলে ওষুধটা এখুনি পাওয়া যেত।
আমি কতো বলেছি ওভাবে ওড়াস না টাকা।
যা নিজে বুঝবে করবে চিরটাকাল এই স্বভাব।
জীবন আপনার, মৃত্যুও তাই, আমরা শুধু পাড়াপ্রতিবেশি
আমরা কেবল সুস্থ প্রশাসন আর পাঁচ মিনিটে রেডি শববাহকেরা
গ
ছোট্ট, তোমার কষ্ট পাওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নিলাম
একদিন মানুষ-হারানো বাড়ির সিঁড়িতে ব’সে কাঁদছিলে
নিজের বাহু নিজে জড়িয়ে ধরে
একদিন টুকি খেলেছিলাম বলে বিজ্ঞানমেলায়
কি রাগ, কি নাকের জল চোখের জল!
ছোট্ট, আজ থেকে তুমি কাঁদবে না,
মরা মুখের দিব্যি দিয়েছি
ও.টি. রুমে ঢুকে বাপির অবশ গায়ে চিমটি কেটে দেবে
বিপুল হাসি হবে ক্যারাম বোর্ডে
আর মায়ের সিকি মার আধুলি মার
‘সে তো আমার লাগেই না’!
আমরা যারা চিতাবাঘের পিঠে চেপেছি উল্টোমুখে
তাদের সবাইকে ‘বাই’ করে দাও
তাদের ‘তাড়াতাড়ি ফিরবে কিন্তু’ বলতে গিয়ে
জিভে কামড়, রক্তকাণ্ড হল?
হোক, তবু ছবি-আঁকা বন্ধ কিছুতে নয়
বেড়ালের সঙ্গে কথা বলা
আর, স্নান ক’রে মন দিয়ে মাথা মুছবি তো?
ছোট্ট, যেন সবটা টিফিন খেতে দেখি…।
loading...
loading...
সযত্নে রচিত লিখার তিনটি অধ্যায়ই। দারুণ। অভিনন্দন প্রিয় কবি চন্দন দা।
loading...
ভীষণ মুগ্ধ হলাম কবি দা
loading...