ক্লাস সেভেনিয়
তোমার সদ্যোজাত ছিল তোমারই স্কুলব্যাগে…
কী ক’রে? ওর ঘাড়ে তো মাথাই বসেনি!
সব বাস্তব আমরা স্বীকার করি না
খরজ থেকে ঊর্ধ সা —একটা লম্বা মিড়ের একদিকে
দেহরতি তো আরেক চুড়োয় কী, তুমি জানো।
কিন্তু মাঝখানে প্রেমিকের উধাও হয়ে যাওয়া,
পুলিশের ভয়, সৎ-মায়ের এই মাইনাস তেত্রিশে
বে-ঘর ক’রে দেওয়ার হুমকি —
সব কল্পনা আমরা অস্বীকারেও গুমসুম।
তার চেয়ে বলো, হিসি-করা পুতুল সামলাতে জেনেছ তো?
আমি হয়তো আমার নাতনির নাতনিরও মুখ দেখে যাবো
প্রত্যেকে তোমার মতো উলটো ঢেউ লাগানো নাক, দুভাঁজ থুতনি…
এখন স্কুলব্যাগ থেকে বের করো ওটাকে
ইস, জ্যামিতিবাক্স রক্তে ভিজে চাপুড়-চুপুড়!
ও খুব শক্ত ক’রে বেঁচে থাকবে, দেখো
ইদি আমিন বা রাশিচক্র ওকে থামাতে পারবে না
শুধু প্রথম ক’মাস ঘাড়ের নিচে হাত দিয়ে ধরতে হয়
যেটুকু জানি বলছি
প্রথম পাঁচ মাস নাম রাখতে পারো ঢকঢকি
পরের ছ’মাস খলবলাই
(কলেজে দ্বিতীয় বছরে পড়া আমার ছেলেকে ঘটনাটা জানিয়েছিলাম। ওরা মোস্টলি মন্তব্য করে না।)
আমরা সারা জীবনে সত্যের একটামাত্র তলই ছুঁতে পারব
তাই নিশ্চিন্তে দেখি, তুমি কুয়াশাঘেরা সকালে বাঁধানো সড়ক দিয়ে হাঁটছ
ধূষর লংকোট, হাঁটু পর্যন্ত সাদা মোজা
পিঠের স্কুলব্যাগে তোমার নগ্ন নবজাতক
দিব্যি পৃথিবীর বরফ দেখতে দেখতে যাচ্ছে সবুজ মার্তণ্ড!
আর একুশ শতকের হেলিকপ্টার আকাশ থেকে জুম করল
ধ’রে পৌঁছে দেবে হাসপাতালে
সেখানে ক্লাস সেভেনিয় তোমার পাশে ব’সে আমি কপালে হাত রাখি
এখন ভালো লাগছে, মা?
loading...
loading...
একটাই প্রাণবন্ত জীবন ঘেঁষা আপনার লিখা হয় যে … পড়লে মনে হয় কবি স্বয়ং চোখের সামনে বসে তার কবিতা শোনাচ্ছেন। কিছু শব্দ আঞ্চলিক টোনের বটে;
তারপরও বুঝতে অসুবিধা হয় না। ___ অভিনন্দন চন্দন দা।
loading...