চার
মাঝে মাঝে ভাবি, এই বাটিক প্রিন্টের রাস্তা দিয়ে তোমার চলে যাওয়া কি আমার প্রতিভার চিহ্ন বহন করছে না? তারপর দ্বান্দ্বিকভাবে চিন্তা করলে মনে হয়, হ্যাঁ, এসব আমার বাহাদুরি তো বটেই, দুর্বলতাও। যদি তোমার সরে যাওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে আনি, তবে বিচ্ছেদের একটা সামুদ্রিক সুবিধে আছে। সেদিক থেকে দেখলে ভাঙন হয়তো শৃঙ্গারের মতো — বাস্তব আর সম্ভাবনার মধ্যে যে জড়িয়ে ধরাটা কোনও দিনই ঘটে উঠবে না।
বিচ্ছিন্ন মানে আমি সঘন গহন অন্ধকার, এমন নয় কিন্তু। সেই ছোটবেলা থেকেই জানি, ভয় পেলে কীভাবে কথা বলতে হয়। সুযোগ থাকলে সিলভিয়া প্লাথের গলায় কেঁদে উঠতাম। এক সহকর্মী কবি মত দিয়েছিলেন, তোমার কেটে পড়াটা তোমার ফেরত আসা আর কস্মিনকালেও পলট না নেওয়াকে একসঙ্গে উঁচু করে তুলছে — লালুভুলু দুই স্তনের মতো। কিন্তু কী করে অস্বীকার করব, তোমার চলে যাওয়া ভয়ানক বিনাশও ডেকে আনল — তোমার আবার চলে যাওয়ার সুযোগের ধ্বংসাবশেষের মাঝখানে দু’পা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে আমাকে একটা সিগারেট ধরাতে হচ্ছে এখন।
সম্পর্ক-মাদুরের তিন কোনায় দাঁড়িয়ে তিনটে গুলি করেছিলাম, হাসিমুখে। কোথায় লাগল তোমার দেখতে পাইনি, তখন মুখ নিচু করে রিভলভারের নলে ফুঁ দেওয়ার সময়। শুধু জানতাম, হিংসা কী জিনিস টের না পেলে তুমি মহত্বেরও ঠিকানা খুঁজবে না! আজ বাড়ি ফিরে দেখছি, আমার উন্মাদ ল্যাপটপে উড-পেনসিলে লিখে রেখে গেছ বিচ্ছেদ বিচ্ছেদ বিচ্ছেদ বিচ্ছেদ। যতই ডিলিট মারি, শব্দের পেছন থেকে ফুটে উঠছে অমরত্ব, বন্যতা, অসীমানন্দ মহারাজ…
loading...
loading...
একজন দার্শনিক হিসেবে বলছি ধারাবাহিক প্রথম পর্ব পড়েছিলাম।
দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্ব না পড়তে পারলেও চতুর্থ পর্ব পড়লাম।
ভাষার পাশাপাশি সরস অনুভবের শাব্দিক প্রয়োগ দারুণ।
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় কবি চন্দন দা।
loading...
দার্শনিক লিখা পড়ে ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
loading...