রিসেপশানের মাথায় আমরা ছবিটা ঝুলিয়ে রেখেছি
ছবিতে যে মুখ, তার চোখের নিচে ফ্লুইড জমে বড় বড় পাফ
কপাল থেকে জুলপি পর্যন্ত শালিখের পা ছড়ানো
মাথার মাঝখানটায় চমৎকার এইট বল পুল খেলা যাবে
আর এসবের প্রতিক্রিয়ায় ভদ্রলোকের মুখে একটা ঘেঁটে যাওয়া
ডিপ্রেসড লুক
আপনি বড্ড দেরি করে ফেলেছেন স্যার
মিনোডিক্সিল আর অ্যামিনেক্সিল সলিউশান (টেন পার্সেন্ট)
মাথায় দিনে দুবার করে। খেয়াল রাখবেন, ওষুধটা শুরুতে ডেসিড্যুয়াস
কাজেই ব্যবহারের আগে আপনার অভ্যেসমতো কিছুটা
ঈশ্বরকে নিবেদন করতে যাবেন না, কেলেংকারি হবে!
রোমশ হয়ে ওঠা আমাদের কাছে তত মূল্যবান হতে পারে না
যতটা সার্থকভাবে রোমশ হয়ে ওঠা। তাই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে
পাতার পর পাতা পথিক-থামানো বিতর্কের পর আমরা রোগটির নাম রেখেছি
অ্যা্লোপেসিয়া, যেভাবে একদিন নৈতিকতার সংজ্ঞা খুঁজে পেয়েছিলাম
এছাড়াও ছবিতে আপনার হাতে রয়েছে একটা স্ফটিকের পানপাত্র
কিন্তু যেটা জানা যাচ্ছে না — পানপাত্রের তরল এখন কোথায়?
অনুমান সত্যি হলে আমরা একই সঙ্গে আপনাকে রেফার করবো
সাইকো-থেরাপির জন্যে যেখানে বোঝানো হয়, সমস্ত দার্শনিক মুক্তির
পেছনে রয়েছে মানুষের শরীর। জানানো হয়, এ-পর্যন্ত সভ্যতা
আমাদের দিয়েছে ৪-৫টা জিনিস — ঢাকাই মসলিন, ইস্তাম্বুলের মিনিয়েচার ছবি,
হ্যামবার্গার, আফগান মহিলা ক্রিকেট টিম…আর এ-সবই একজোট
হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একক পৃথিবীর দিকে যার একমাত্র সমস্যা
কালো হয়ে যাওয়া
যদিও অলরেডি অনেকটা দেরি হয়ে গেল, পিগমেন্টেশনের বিরুদ্ধে
আমরা আপনাকে ব্যবহার করতে দিচ্ছি গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ক্রিম
রাতে শোয়ার আগে। এবং সকালে যদি অন্যান্য নানা কারণে
আর জেগে উঠতে না পারেন তো স্যার মনে রাখবেন এই বিউটিশিয়ানের
কথাটা —
ইতিহাস আর নিয়তি একই কলমে লেখা হয়
loading...
loading...
নতুন বইয়ের একটি কবিতা পড়া হলো। অনন্য ঘরানার কবিতা মানতেই হয়।
অভিনন্দন প্রিয় কবি প্রিয় চন্দন দা।
loading...
ভালো লাগল দাদা
loading...