অনেক অসংখ্য আছে। অনেক প্রার্থনা প্রার্থিতের হাত ছুঁতে
পেরেছে এখুনি। পথ আছে, বলছি বিশ্বাস করো, তাকে বর্ণনা করলেই
সমান্তরাল সড়কের জন্ম হবে পাশে।
নবজাত ফুলগুলো গায়ে নিয়ে যে বাড়ি ঘুমিয়ে আছে কী নিশ্চিত;
একটা বরফগলা-দুধ হাতে, মুখে বলিরেখা-লাগা পুরনো পাহাড়
সে ঘুম ভাঙাবে
আরও শোনো বিরক্ত হওয়ার আগে: আকর্ণ আকাশ ছিলা থেকে
শোঁ করে মুক্তি দিচ্ছে মেঘ, যবের মরাইগুলো,
বারিপ্রদ করে দিচ্ছে হাড়মাংস, তারকামণ্ডল…
আমরা জানি না — এত আহ্লাদ রয়েছে
ঘরই প্রকৃতি, আবার উপত্যকা হাওয়া দিয়ে, সূর্যকরোজ্জ্বল দিয়ে
নীলাভ খামের মতো মুড়েছে তোমাকে
যত আছে তাকে ঠিক তত দিয়ে গুণ করছে শঙ্খের নিস্বন!
নতুন ঘরের দেয়ালে আবার ঘর আঁকছে শিশু
তার সবটুকু মন বুঝে নিতে তুমি হেসে উঠবে বিবমিষা থেকে
দেখবে, আশ্চর্য তাকিয়ে আছে বিস্মিতের মতো…
আর দোহাই, শুনে রাখো, বিনাশ কখনও ছিল না
বোবাঘট ভেঙে যাওয়া ছিল শুধু, জন্মান্তর ধ’রে যাকে তিল তিল
করে জমিয়েছ, সেই পরমার্থ যদি বিস্ফোরণ-শব্দে মুক্ত হয়
তাতেই অসহ্য লাভ, মৃত্যু ব’লে ভয়ে দুঃখে শোকে ওকে
জড়িয়ে ধরো না কোনওদিন।
loading...
loading...
পাঠক হিসেবে আপনার যে কোন লিখায় মুগ্ধতা রাখি প্রিয় চন্দন দা।
শুভ সকাল।
loading...