যেন মাটির দাওয়া উঁচু, কোথাও ফাট নেই এত কথায় কথায় গোবর নিকোনো উঠোনের পিছুতে পুকুর, জলে বাঁশডালের নত-নমস্কার দুপুর যত রোদালো তত ছায়া আমরা বেঁধে রেখেছি কামিনীগাছে, বাতাবিতলায় যত রূপ দিয়ে উচ্ছ্বসিত করুক কেন শরীরনৌকো আমরা প্রশমন ভাতের গরম নিঃশ্বাসে তামার রেকাবি করা মা-লক্ষ্মীর শসাবাতাসায়।
তোমাদের ওপর দিয়ে ইতিহাস বয়ে যায় নিশ্চুপ! ঢেঁকিতে পাড় দেওয়া পায়ে দুদিনের বাসি আলতা সন্ধেয় খারাপ শরীর সকালে স্বাধীনভাবে সেরে ওঠে আর নদী যাওয়ার মাঝখানে ঘোর আতাবাগানের মধ্যে পায়খানা শুকনো পাতা আর গিরগিটি-শান্তি ছাড়া যেখানে অন্যকিছু নড়ে উঠছে না।
তাহলে আঁচলে বাঁধা গেল সংসারকে তাহলে লজ্জিত যৌনতার সঙ্গে মিশে থাকল আগুনমিশ্রিত স্নেহ আদেশ যেখানে কী আশ্চর্য অপমান হয়ে আসে না! এবং নায়কেরাও নেয়াপাতি, পৈতে গামছা কাঁধে নাভিতে সরষের তেল, গলায় গরগর করছে শ্রীশ্রীচণ্ডিকা এবং ঘুমিয়েও পড়ছে ঘন-দুপুর ধুতি-বানিয়ানে, আমার পুরনো মেয়েরা — বোনঝি-ভাস্তি, পিসশাশুড়ি-বৌঠান রোদ যখন পেঁপেগাছের মাথায় শান্ত বুলবুলি গোলামচোর খেলা নিয়ে হাসতে গিয়ে কী বিষমটাই না খাচ্ছো পান-সুপুরি মুখে।
পরপুরুষ গ্লাসভর্তি কাচের জল, ছোঁবে না?
loading...
loading...
কবিতা ভালো লেগেছে চন্দন দা। শুভেচ্ছা জানাই সর্বদা।
loading...
শব্দের বুনন যথারীতি অসাধারণ সুন্দর প্রিয় চন্দন দা।
loading...