উদ্যত খাঁড়ার নিচে তথাগতকে চুপ করে দাঁড়িয়ে
থাকতে দেখে অঙ্গুলিমাল জিজ্ঞাসা করল, তুমি
প্রাণভিক্ষা করছো না কেন? ভয় পাও না আমাকে!
তথাগত সামান্য হাসলেন — একদিন সকলেরই মৃত্যু
হবে, তাছাড়া শক্তিহীনকে কীসের ভয়! দস্যু অঙ্গুলিমালের
দুচোখ রাগে বিস্ফারিত — আমার ক্ষমতার
কোন প্রমাণ দেখতে চাও, এক্ষুণি বলো। তথাগত
নিকটের গাছটির দিকে নির্দেশ করলেন — যাও,
ওই বটবৃক্ষের দুটি পাতা ছিঁড়ে নিয়ে এসো। ঘাতক
তৎক্ষণাত দুটি বটপত্র ছিন্ন করে দিল সন্ন্যাসীর হাতে।
মঞ্জুশ্রী শান্ত গলায় বললেন, এবার পাতাদুটি
গাছের ডালে লাগিয়ে দাও দেখি।…কিম্বা লোহার স্ট্রেচারে
যে নিথর বউশরীর, ব্যান্ডেজে জড়ানো মাথা সদ্য-বাঁধা
বোমার মতো লাগছে, ওর ঘুম ভাঙাও তো। আটবছর
বয়সী এক শৃঙ্খলাবিরোধীর লাশ খুঁজেই পাচ্ছি না,
সে কাল থেকে আবার ফড়িংবন্ধুর সঙ্গে লাফাতে লাফাতে
স্কুলে যাক। তোমার গায়ে ফুটে ওঠা শাসনঅক্ষর ওর ঠান্ডা
ভিজে জলন্যাকড়ায় মুছে নাও।
তারপর আমার কুর্নিশ চাইতে এসো।
loading...
loading...
আপনার এই সিরিজ লিখাটির কোন কোন পর্ব আমি পড়েছি।
এই অধ্যায় পড়ে আমি সত্যই মুগ্ধ হয়েছি চন্দন দা। অসাধারণ।
loading...