চাঁদ


এত সকালে কোথায় ঢাক বাজছে, মা?
কাত্তিক দাসের বাড়ি মনসাপুজো, না!


ভুসকালো বাড়ির একমাত্র ফরসা শিশু উঠোনে শোয়ানো
ল্যাংটো, পেট ফুলে আছে। তাকে ঘিরে অনেকটা জল-কাদা,
ভেতরে পেচ্ছাপ খুঁজলে পাবে। ঠোঁট নীল, বাঁহাতে কনুইয়ের
ওপরটা বসা-মতো। পুরো বারো ঘন্টা বাঁধন ছিল
রক্তাম্বর-পরা জটাধারীকে
কাঁদতে কাঁদতে প্রণাম করছে বাচ্চার কাকিমা।


চিৎকার দিতে দিতে গলা ভেঙে গেল কাত্তিক দাসের।
ধুপ ধুপ করে এক একটা মূর্তি মন্দির থেকে
বাইরে এসে পড়ে আর সাপের পাঁচটা ফনা গুঁড়ো হয়ে
কাঠি বেরিয়ে যায়,
সিঁদুরকৌটো দুভাগ হয়ে কাদামাটি লাল।
ওদের বড়ছেলে শংকরদা, যাকে ওঝা রাজাবাজারে
নিয়ে গিয়ে খুব পিটিয়ে চারশো টাকা কেড়ে নিয়েছিল,
আমার বুকে ধাক্কা মারে, “এখেনে কী দেখতিছিস?”
মাকে বললে আবার স্নান করাবে


বছর ঘুরতেই হাতে নৈবেদ্যর থালা, মা তুমি কোথায় ছোটো?
কাত্তিক দাসের বাড়ি মনসাপুজো তো

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ১ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ২১-০৪-২০১৭ | ২১:৫৪ |

    কবিতার জন্য শুভেচ্ছা্ এবং ধন্যবাদ প্রিয় চন্দন দা। শুভ সন্ধ্যা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...