দিবার উপরিভাগ ধীরে তপ্ত। মাঝে ফাটলসম প্রচ্ছায়া নামে। সম্মুখে ডোবা, তাহার পৈঠায় ডানপদ জলে নামাইয়া, বামটি তীরে, এক বামা সবেধন বস্ত্র ধোয়। বিড়াল কৃষ্ণবাদামি, ভীত রাজমহিষীর মতো পথ ঘেঁষিয়া দাঁড়ায় ও মাথার উপর কাক উড়িলে পলায়ন করে।
ন’টা কুড়ি বাজিতেছে — অর্থ লোকাল ছুটিল। দূরে নাইটিপরা স্ত্রীলোক ও তাহার কন্যা, শুধু জাঙিয়া। এই উঠিব-উঠিব বেলায় বড় মনে হয়, হে বিশ্ববিধাতৃ, কেন বক্ষ হইতে হৃদপিণ্ডসম স্মৃতি কাড়িলে, ওষ্ঠ হইতে নতুন শব্দের স্ফোটগুলি? হে মায়াবি, পাগল শুনাইলে বারবার, অথচ শিরায় রাখিলে অ্যালুমিনিয়াম-স্থিরতা!
এইরূপে ভাঙিয়া পড়িলাম — হতাশা-গর্বিত। রোদ যখন দ্বিপ্রহরের বুকে শান বাঁধাইতেছেন, ময়লা পাঞ্জাবির পুন: পুন: পোস্টাবিসযাত্রার মধ্য দিয়া আমার নির্ঘন্ট পুরিয়া সদগতি আসিল। এক মুহূর্তের চোখমুখ-অন্ধকার — এজীবনে সঞ্চিত জ্ঞানের আভা মাটি হইতে জাগিয়া গোলাপরজনীদলে ঘিরিল শরীর। শেষ হইলাম — ভস্ম-গর্বিত; কেন না
ইচ্ছাগুলি আজও ইরেকটেড।
loading...
loading...
loading...