সাহিত্য বিভাগের সব লেখা

শুভ নববর্ষ-১৪৩০
শুভ নববর্ষ--১৪৩০
“মুছে যাক গ্লানি
ঘুচে যাক জরা,”
সত্য সুন্দর হোক
নির্মল এই ধরা। বৈশাখে ঐ-শাখে
নতুনের ঘ্রাণ
বিশ্বাসে নিঃশ্বাসে
ভরে ওঠুক প্রাণ। পড়ুন
কবিতা, জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯১ বার দেখা | ১৭ শব্দ ১টি ছবি
আঙ্গিনা
আঙ্গিনা
আগুনের কাজ জ্বলতে
ভালোবাসা চায় পুড়তে- পুড়তে
এটাই তো দৃষ্টি বহর শুধু
বাতাস বয় নিশ্বাসে নিশ্বাসে;
ফাল্গুনের হাটবাজারে
কত রঙের মেলা, কিনবো বলো
সরিষার চারা- সোয়া চন্দন পিটের ফুরা
ধোয়া ছাই শুধু সোনালি মোড়ে
আগুনে পোড়া- পোড়া-
এ ভালোবাসার ঘর আঙ্গিনা। ২৯ চৈত্র ১৪২৯, ১২ এপ্রিল ২৩ পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৭ বার দেখা | ৩৭ শব্দ ১টি ছবি
মৃত্যুর কোলে
মৃত্যুর কোলে
শিশু কালটাই ছিলো ভালো
থাকতাম মায়ের কোলে,
ছিলো না কোনও ভাবনা চিন্তা
থাকতাম হেসে খেলে। যখন একটু হাঁটতে শিখলাম
হাঁটি হাঁটি পায়ে,
দুষ্টুমি-টা বেজায় বাড়লো
সারা পাড়া গাঁয়ে। আরেকটু যখন বড় হলাম
তরতাজা এক কিশোর,
তখন কী-আর থাকতাম বাড়ি
মাঠেই হতো ভোর। কিশোর থেকে যুবক যখন
যৌবন দেখা দিলো,
যৌবনের আগুনে জ্বলে পুড়ে
সব হলো পড়ুন
কবিতা, জীবন | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৭ বার দেখা | ৬২ শব্দ ১টি ছবি
মৃতের বিবৃতি
আমাকে ইন্দ্র মোহন রাজবংশী
করে যদি পাঠাতে অন্তত একদিনের জন্য
সম্মানের পুনরুজ্জীবন পেতাম। এই যে মরে গিয়ে চিহ্ন হীন এক কবরে
শুয়ে আছি। এই যে কবরের ফাঁক গলে
শেয়াল প্রতিদিন হিসু করে। বলো খোদা এটা কি ন্যায় বিচার! জীবিত আমি তুচ্ছ ছিলাম
অনেকের জুতোর শুকতলা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৮ বার দেখা | ৯৭ শব্দ
আমাদের বেড়াল আমাদের মতো হয়নি
আঠাশ (ক)
আকাশ থেকে টাঙানো ছায়ার কুচি দেওয়া ফুল সাইজ বিকেল, সেই চাঁদোয়ার নীচে হারমোনিয়াম বেজে উঠল। কলোনির বাচ্চারা ডিঙি পেড়ে জানলা দিয়ে তাকিয়ে খিকখিক ক’রে হেসে পালাচ্ছে — এমা এত বড় কাকিমা গান গায়! মায়ের মুখোমুখি বিভোর শিউলি; পাশে চাঁদ বেলোর ফুটোয় পায়ের পড়ুন
গল্প, জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০১ বার দেখা | ১০৯২ শব্দ
এপ্রিলের ফুল
এপ্রিল এলেই মনে হয় জন্ম নেবার এখনই সময়
এক নারীর প্রসব সুখে লু্কনো অসুখ
লিকলিকে হাতে স্পষ্ট শিশুর উল্লাস
মনে পড়ে যায়, এপ্রিল আমার জন্মমাস। কবে যেন মা বলেছিল, যুদ্ধের দিনে জন্ম বলেই
অমনিতর খাপছাড়া তলোয়ার আমি
চশমাটা হাতে নিলে কেবলি দু’টো গোল্লা দেখি, ফ্রেম আঁটা
অথচ নাকি দেহধারনকালে আমার চোখ পড়ুন
কবিতা, জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৮ বার দেখা | ৯৯ শব্দ
অংকবাজি
অংকবাজি
জীবনে
অংকবাজি শিখিনি
ভালবাসলে অন্তর থেকে ভালবেসেছি
ঘৃণা করলেও অন্তর থেকে
যদিও
ঘৃণার মানুষ নাই আমার
ভাল না বাসি, ঘৃণা করিনা।
করলেও তাকে জানিয়ে দিই!
সে জানুক কেউ তাকে ঘৃণা করে
ভালবাসি নিভৃতে
নীরবে
শ্রদ্ধা করলে অন্তর থেকেই করি।
তেল মারিনা
খুশি করতে রঙ মাখি না!
খুব কম মানুষ কে অশ্রদ্ধা করি-
যারা দ্বিমুখী স্বভাবের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭০ বার দেখা | ৩১১ শব্দ ১টি ছবি
বাঁশের সাঁকো আহা স্মৃতিময় দিনগুলো সেই
বাঁশের সাঁকো আহা স্মৃতিময় দিনগুলো সেই
বাঁশের সাঁকো দেখলেই মনে পড়ে যায় বিদ্যালয় স্মৃতি
ভুল শুদ্ধতার কাটাকাটিতে ভরে যায় তখন মন জ্যামিতি;
কী ঝড় কী তুফান আমরা সাঁকো পেরিয়ে যেতাম বিদ্যালয়ে
ফিরতাম বিকেল হলেই সাঁকো ধরে আপন আলয়ে। খোয়াই নদীর উপর সেই বাঁশের সাঁকো
ফিরে যেতে সেখানে মন এখনো করে আকুঁপাকু;
কত পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৪ বার দেখা | ১৫৮ শব্দ ১টি ছবি
স্বাধীনতার সুখ
কোন সুখে বাবুই পাখি
করে শিল্পের বড়াই
যেই সুখেতে মুক্তিযোদ্ধা
করেছিলেন লড়াই। কোন সুখে একটি শিশু
পতাকার ছবি আঁকে
যেই সুখেতে একটি শিশু
মামা বলে ডাকে। কোন সুখেতে মাঝি ভাই
ধরে নৌকার হাল
যেই সুখেতে বয়ে চলেছে
বাংলার নদী খাল। কোন সুখেতে বৃষ্টি ঝরে
মায়ে ফুলায় বুক
যেই সুখেতে চাষি ভাই
সব ভুলে যায় দুখ। কোন সুখে দামাল ছেলে
আকাশে ওড়ায় পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭২ বার দেখা | ৪৯ শব্দ
দূর কোনো আকাঙ্ক্ষায় কল্পনা ছিল
একটা ছাতির নিচে আলাদা কোনো নীরবতা নিয়ে
ফেরা হচ্ছিল। খুব সহজ ছিল না, ঘাসের শেকড়ে
প্রবেশ করছিল টানা রোদ, ঝিরঝিরে একটা দখল
ভাব। ঢুকে পড়ছিল শব্দহীন কল্পনা,ব্রিজ রেখে
গ্রামে যেতে হয়, পৌছলে পুরোনো শৈশব। শহরে-
বাদামের ফেরিওয়ালা দুপুর হতে ভালোবাসে। যেমন
ডুবন্ত বিকেলের আকসা বাতাস, কটা তারিখ নিয়ে
কালো জিপ গাড়ির পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৬ বার দেখা | ১০০ শব্দ
ব্যাখ্যা বিষয়ক বচনপঞ্জিকা
তুমি অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারো। ‘জল’কে কেউ কেউ কেন ‘পানি’ বলে,
‘গোরস্থান’ কে ‘কবরস্থান’- কিংবা ‘খোদা হাফেজ’কে ‘আল্লাহ হাফেজ’। কেন কেউ
কেউ মাঝে মাঝে ‘তস্কর’ কে ‘লস্কর’ বানিয়ে বাজারে সেরে নিতে পারে মামুলি
বেচাকেনা। ‘বাতাসা’ খেতে গিয়ে যারা ‘বাতাস’ খেয়ে তৃপ্ত হয়ে নগরে ফিরেছিল
আমি তাদের গন্তব্য পড়ুন
কবিতা, জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬২ বার দেখা | ৯৪ শব্দ
এই সন্ধ্যা ... উৎসর্গীত তোমার নামে
এই সন্ধ্যা ... উৎসর্গীত তোমার নামে
প্রিয়তমা……
প্রতিটি বিকেলের মতো
আজো পশ্চিমা আকাশ লালিমায় ছেয়ে আছে,
খরস্রোতা নদীটি
বুকের কপাট খুলে দিয়েছে
অস্তমিত সূর্যকে গিলে নিতে,
আয়েশি ভঙ্গিতে পাখীদের নীড়ে ফেরার আয়োজন
এবং
বাতাসে কুয়াশার ধূম্র মিলেমিশে
প্রকৃতিতে ফেলছে শান্ত অবয়ব…
এই সবই ঠিক আছে!
কেবল একটাই ব্যতিক্রম
আজ আমার বুকের হেরম জুড়ে নীলকন্ঠী রাত
চলছে অসম তাণ্ডব লীলা। হৃদপিণ্ডের পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৪ বার দেখা | ২৩০ শব্দ ১টি ছবি
ঘুমায়ে পড়ি যদি কোন দিন
ঘুমায়ে পড়ি যদি কোন দিন
আর জাগবো না জেনে,
সেদিন তোমাদের সাথে
বহিবে কী এই বুড়ি বংশী
অপরূপা মীনকণ্যাদের ল’য়ে!
ভাসিবে কী কচুরি ফুল-
কাটিবে কী সাঁতার দুরন্ত শুশুক
তাহার রূপোলি জলে! এ জীবন শুকায়ে গেলে কোন দিন,
পূর্ণিমার চাঁদ দিবে কী ডাক
এই বংশীর জলে বাঘা পুঁটিদের প্রাণে!
তাহাদের দেহ মধ্যরাতে
ভাসিবে কী অমরাবতীর পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪২ বার দেখা | ৫৫ শব্দ
আনন্দ ভাগ করে নিতে তুমিও
কিছু করব ভেবে বেশ কটা আনন্দকে ভাগ করে নিই
মুড়ি-ভাজার প্যাকেটে দু চারটে কাঁচামরিচ ভরে
শির শির করে ওঠে গোলাপি জিহ্বা, যেমন একই
রকমের পুরোনো গল্প, তারিখগুলো মনে ফিরলে
ছাপিয়ে যায়। খালপাড়ের শেষ মাথায়-দাদির কবর;
চারটে তালগাছ। অভিজাত পৃথিবী ছুঁয়ে
সব শিশুর মায়া নিয়ে প্রথম গান শোনাত, ভাঙা সুর-
তরুণ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৫ বার দেখা | ১১০ শব্দ
গৌর সারং
গৌর সারং
ঘাসের উপর শিশির হবো
যদি দাও নির্মল শৈশব।
অথবা ভোরের স্নিগ্ধতা হব
অস্তিত্বে আহির ভৈরব। হব ভীষণ অভিমানে
দহনের আগুন রং।
অথবা নির্জন দুপুরে
মৌন মুখর গৌর সারং। দিন অবসানে সান্ধ্য আজানে
হব পবিত্র শান্ত মন।
বেদনায় ভালবাসা মিশিয়ে
হয়ে উঠবো বেহাগ বা ইমন। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৪ বার দেখা | ৩৭ শব্দ ১টি ছবি