সাহিত্য বিভাগের সব লেখা

মনের ভেতর কত পাখি
মনের ভেতর কত পাখি
কত পাখি মন আকাশে
উড়ে ঘুরে দিবারাতি,
কত জোনাক রাতে এসে
মনে জ্বালায় মিহি বাতি। আমি যেন পাখির ডানায়
উড়ে বেড়াই নীল সমুদ্দুর,
বালিচলে পা রাখি আর
ঝরে পায়ে সোনা রোদ্দুর। মন ময়ূরী আমি যেন
পেখম তুলে নেচে উঠি,
মন উঠোনে খাচ্ছে আহা
সুখ পাখিটা লুটোপুটি। অশীতিপর বয়স আমার
আমি যেন কুড়ি থাকি,
ভোরের পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৫ বার দেখা | ৮৫ শব্দ ১টি ছবি
রেখে গেলাম একটি প্রজাপতি
রেখে গেলাম একটি প্রজাপতি,
ঘুরিবে সে সূর্যকে সাথে নিয়ে-
দেখিবে তাহার পথে আমার পথ,
আমার চলাচল, আমার যতি। রেখে গেলাম একটি ঘাসফড়িং,
উড়িবে সে ঘাসে ঘাসে দিক্বিদিক-
দেখিবে তাহার সাথে আমারে ডাকে
তোমার প্রান্তরের হিরণ্ময় হিং। রেখে গেলাম একটি মায়াশালিক,
আসিবে সে একদিন তোমার উঠোনে-
দেখিবে তাহার চোখে আমার ছবি
স্মৃতির জানালা খুললে খানিক। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৬ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
কি এসে যায়
কি এসে যায়
তিলে তাল পেকেছে
অন্য ইশারায়!
মাগুরে শিং ফুটেছে
বিষফোঁড়ার কি এসে যায়?
কি এসে যায়- তিলে তাল পেকেছে
অন্য ইশারায়। তেঁতুলের গন্ধ ভারি জল;
খরস্রোতে নদীর বালুচর-
এক নজরে বৃন্দাবন,
কে বলে প্রেমের সখায় চল!
তেঁতুলে গন্ধ ভারি জল। ধানে উইপোকা, ঘরের চালে
বৃষ্টির ফোটা, গড়ে গড়ে বান-
নিজের ভুলে হয় না পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৮ বার দেখা | ৫২ শব্দ ১টি ছবি
যেমন আছি
আমি কেমন আছি ভাবতে গেলেই
চারপাশ গুলিয়ে যায়
ছোট ছোট তারা চোখের সামনে
নাচতে নাচতে বুদবুদ হয়। কাগজ কল থেকে ছাঁটাই হওয়া দাদু
কবেই মরে ভুত হয়েছে
ধুঁকতে ধুঁকতে মরে গেছে
জুট মিল থেকে ছাঁটাই জ্যাঠা। বিএসসি পাশ দাদা এখন সাইকেলে
রোজ কয়লা পাচার করে, সন্ধ্যেয়
চুল্লুর ঠেকে কাটিয়ে রাস্তার ধারেই
শুয়ে পড়ে রাতের তারা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৪ বার দেখা | ১২৪ শব্দ
তৃতীয় রাত
দূরত্ব হাজার মাইলের চেয়েও বেশি। তবুও তোমাকে কাছে পাবার কী তীব্র ইচ্ছে পুষে রেখেছি বুকে! ঘুমভাঙ্গানী গান, একপকেট চাঁদের আলো বুকের ভেতর ঢুকতে চায় আশ্চর্য মধ্যরাত। এইসব গন্তব্যহীন ষ্টেশানে সরল আশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকে বয়ঃসন্ধির কাল। ধানক্ষেতের আইল ধরে ছুটে চলেছে কৃষকের নগ্নচুম্বন। দু’চোখে পড়ুন
কবিতা, জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৯ বার দেখা | ১৩৪ শব্দ
তিনটি কবিতা
পথিক ও পরাণপর্ব কতটা পথ হাঁটলে হওয়া যায় পথিক! কতটুকু ভূমি
পেলে নির্মাণ করা যায় একটি সড়ক, তা ভেবে আমি,
কখনোই পথে দাঁঁড়াই’নি। বরং কয়েকটি হাসনা-হেনার
ডাল রুয়ে রেখেছি, পথের দু’পাশে। কেউ এসে
নেবে সেই সুবাস। অথবা কেউ পাঠ করবে মমিচিত্র, মনচিত্র, মানচিত্র
এমন আরাধনায় সাজিয়েছি ভোর, সেরেছি
পরাণপর্বের পঞ্চম সুরবীক্ষণ। মানুষেরা অনেক পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৬ বার দেখা | ২২০ শব্দ
কবিতায় নতুন ধারাঃ স্বপ্ন নয় বাস্তবতা
আমার কাছে কবিতার চেয়ে লাবণ্যময় তেমন কিছুই নেই। আমি সুদীর্ঘ দিন যাবত কবিতার সাথে আছি। কবিতা আমাকে হাসায় কবিতা আমাকে কাঁদায় কবিতা আমাকে সজীবতা দেয়, প্রাণের পরশ দেয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, এখন কবিতার আগের সেই জৌলুশ আর নেই। পাঠক কবিতা পড়েন পড়ুন
কবিতা, জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৪ বার দেখা | ১৫৯৮ শব্দ
মন কথনিকা-৪৭৭৩
আর পারি না খেতে কিছু ঝালে তেলে ভরা
খেলে পরে পেটের ভিতর নামে অসুখ খরা
গ্যাসের প্রকোপ যায় বেড়ে যায় মেলে না আর শান্তি
অসুখ হলে দেহটারে ঝাপটে ধরে ক্লান্তি। মন কথনিকা-৪৭৭৪
ও পাখিরে ভাঙ্গাস নে ঘুম, যা না উড়ে দূরে
বারান্দাতে বাশি বাজাস কেন সুরে সুরে
চড়ুই তোরা যা ভেগে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৫ বার দেখা | ৫৪ শব্দ
দূতাবাসে ফিরে এই কথাটা বলব
মুদ্রার সর্বশেষ সমৃদ্ধ নাচ, আজও রূপসী নারীর মতো
প্রসারিত হতে হতে সকলের ভেতরে রোজ নতুন স্বপ্ন দেখায় রাত্রিটা কেবল অকল্পনীয়, চুপ করেও চঞ্চল হয়ে ওঠে
জাগছিল বাদামের বিচি, টেবিলে; সিদ্ধ ছোলা-চানাচুর
যেভাবে পাশ কাটিয়ে প্রথম নীরবতা ভাঙে-হাতে হাতে
খুব মনে হচ্ছিল, এলাম যদি-পাখির জামা খুলে যেমন
স্নিগ্ধ রাত্রির জিরাফ পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৭ বার দেখা | ১০৫ শব্দ
চারিদিকে শুধু কালো অন্ধকার
চারিদিকে শুধু কালো অন্ধকার
হৃদয়ে বাজায় করুণ হাহাকার;
কোথাও নেই টেকসই শান্তি
শুধু ক্লান্তি! শুধু ভ্রান্তি! জীর্ণ দেহে বেদনার ধারাপাত
দু’চোখে আনে কেবলি জলপ্রপাত;
মাথার ভিতরে ঘুমন্ত ভিসুভিয়াস
জাগিবে কী মেটাতে পিয়াস! পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১১ বার দেখা | ২৫ শব্দ
ঘাসে শিশির জমতে শুরু করেছে
জ্যোৎস্নায়-গ্রহ লাগা শেষ হলে,আমরা আবার
চোখের কোণে একটা শীত এনে গাঢ় সিদ্ধান্ত
নেব। চুমু শাসনে রেখে বরফ হতে থাকবে
সেইসব ঠোঁট থেকে বেরোয়ে পড়া স্থাপত্য
– কথাগুলো; তারপর মনে পড়ে যাবে-প্রস্তুতি। রক্তের ভেতরে ভ্রমণগুলোর শাদা খরগোশ-
পাহাড়ের মতো শরীর ডিঙয়ে, দূরের নরম
পাকাধানের সম্ভবতা এনে পুরাতন উঠানে
বিদগ্ধ বালক, বিদগ্ধ বালিকার সন্নিকটে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৮ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
উড়ে যায় পক্ষী
কি যেন ছিল কথা
কি যেন আছিল ব্যথা
কতিপয় রোদ্দুর, কতিপয় মেঘ
মেলে দিলে চিরল পাতার চুল
বেণি যায় খুলে তিনভাগে
কি যেন তাকে হয়নি বলা। ভরা মরশুমে,
যৌবনবতী শরীরের পাশে—ও নদী,
এক চিলতে রেখো গো পথ
সেই প্রিয়জন সাঁতার জানেনা
কতবার আকণ্ঠ ডুবেছে
নিমজ্জিত শ্যাওলা তুলে তুলে ক্লান্ত। প্রাণে যত ছিল কথা
বলে পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৪ বার দেখা | ৬৮ শব্দ
নিশান্ত শ্রমণ
নিশান্ত শ্রমণ
আমি কখনোই চাইনি
কেউ একজন আমার হোক, পাইনি হেতু
যেহেতু
চেয়েছি কেবল নিজেকে কারো একজন করিতে!
আকাশ পানে চেয়েছি
ধ্রুব তারার সন্ধানে নয়; বরং চিনিতে বুঝিতে
ধরিত্রী দেবতার শান
এক লহমায় লিখিতে সুন্দরের স্রষ্টার জয়গান! আমি শুনিতে গিয়েছি বারে বারে
বাঈজি চরণের ঝংকারে কিসের ধ্বনি বাজে,
কিসের মাঝে লুকিয়ে আছে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৫ বার দেখা | ৮০ শব্দ ১টি ছবি
শ্রমের আকাশে রোদ উড়ে
শ্রমের আকাশে রোদ উড়ে
আজ শ্রমিকদের ছুটি, কপালের ঘাম শুকোবে
আজ আকাশের নীলও রোদ্দুরে লুকোবে,
আজ শান্ত শহরের বুকে উড়বে রোদ্দুর,
কেবল কাঁপবে না শ্রমিকের বুক তৃষ্ণায় দুদ্দুর। শ্রমিকের ঘাম শুকোনোর আগে দেয় না যারা মূল্য
তাদের মান সম্মান যেন উচ্ছিষ্টের তুল্য,
আজ মালিকের মুখে ফুটবে না খই
মালিকের অর্ডারের কাছে পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৭ বার দেখা | ১১২ শব্দ ১টি ছবি
আশাহত
মেঘের সাথে মিশে ভেসেছিলাম
একসময় আকাশের সীমানাও ছুঁইয়েছিলাম
কোথাও পাইনি তো স্থান,
সবার মাঝে ভালোবাসা বিলিয়েছিলাম
দুখী জনের সাথীও হতে চেয়েছিলাম
তাতে হয়েছিলাম শত অপমান! তাই আজ হৃদয় হয়েছে ক্ষতবিক্ষত
আঘাতে হই না কাবু আঘাত আসে যত
সয়ে যাই একা নিরিবিলি,
শত দুঃখ বেদনায় হারিয়েছে আশা যত
নিরাশা ভরা পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৮ বার দেখা | ৫২ শব্দ