এক
সাহার ফুটপাথ ধ’রে হেঁটে যাচ্ছি
লোকজন বেঞ্চিতে ব’সে চা খায়,
মাটিতে শুয়ে বেমালিক কুকুর।
মানুষ কার, তাই বা কে জানে
সাদা চপারের নীচে সলিড চলছে দুশোকুড়ি।
ট্যাক্সি অথবা মেঘলা দিন, লাল শার্ট কিম্বা কাকের
লাফিয়ে লাফিয়ে বাঁচা
কোথাও কী রেখে গেছে
সর্ষে ফুলের ঘ্রাণ?
তৃণের হরিৎ ছায়া?
এক চোখ বুজে পিপ-শোর দৃশ্যগুলো
দেখতে দেখতে
মনে হলো
এক্ষুণি সেই চিঠিটা লিখে ফেলতে হবে
যার খচড়া তৈরি হয়েছিলো পার্চমেন্টে,
হাজার বছর আগে।
লিখে ফেলতে হবে সেই গল্পটা
কীভাবে রঙ-বিভোর পাখির বুকে
বিঁধেছিলো পারিজাত কাঁটা।
গোলাপ আঁকতে গিয়ে
শুধু শূন্য এঁকে যাওয়া
সেই অসমাপ্ত ছবির কথাও
মনে
ধরো পৃথিবীর মধ্যভাগে রাখা হলো তোমাকেই
সাগর কিংবা মহাশূন্য পাড়ি দিতে হবে না।
পার হয়ে এসেছ হোমো স্যাপিয়েন্স-দের যুগ
আহ্নিক গতি – বার্ষিক গতি কি জানা নেই
উত্তর মেরু – দক্ষিণ মেরু সম্পর্কেও তুমি অজ্ঞ
প্রত্নতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, জিনতত্ত্বের মতো জটিল বিষয়
নিয়ে চিৎকার করছে ফারাও খুফুর পিরামিড
কান বন্ধ – দৃষ্টি
বুকে জমেছে কফ তোমার, এক কাপ চা খাও
মাথায় ব্যথায় অস্থির এই যে চা নাও,
চা হলো এসব অসুখের বড়ি,
চুমুকে নাও শান্তি, ভাসাও সুখে জীবন তরী।
এমন হাসি খুশি ছাড়া
লাগে না পাগলপারা?
চুপচাপ এমন থাক যদি
দেহ মন হবে ব্যথার নদী।
এক কাপ চায়ের রইলো নিমন্তন্ন
মনটারে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮১ বার দেখা
| ৯৭ শব্দ ১টি ছবি
যারা পেয়ে যায় আন্তর্জাতিক প্রবেশাধিকার শুধু তারাই বলতে পারে আমার
কোনো দেশ নেই। পৃথিবী স্বদেশ আমার- এমন উচ্চারণে কাব্যপংক্তিমালায়
কন্ঠ মিলায় কবিও। আর প্রকৃতই উদ্বাস্তু যারা, তারা একটুকরো ভিটের স্বপ্ন
দেখে কাটিয়ে দেয় ভিনগ্রহের জীবন। মার্কিনী নীল পাসপোর্ট পাবার পর যাদের
জন্য উঠে গেছে সিংহভাগ রাষ্ট্র সীমান্তের ব্যারিকেড,
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৩ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
বসে থেকো ঘড়ি, দেয়ালের কাছ থেকে পৃথিবী।
এখানে সবাই লাফিয়ে পড়ে। সাম্রাজ্য দাগে
সেসব পুঁই ডগার মতো; রিভার্স করে। বাজি ধরে।
একে একে জিতে যাবার উৎসবে, থিয়েটারপ্রেমী।
ছায়ার পেছন থেকে যাত্রা গোছাতে ঠাণ্ডা কুয়ো
নিজেকে আরো খুঁড়তে থাকে, কলে-কব্জায় এসে
তুমি বরং বাহন সাজো, সকলে চড়ে বসুক। তন্দ্রায়
১১ জুন ২০২৩
তুমি কোন দেবতা প্রেরিত ওগো সুকন্যা ?
সুরেলা গানে স্পর্শ করে যাও আমাদের শহর
এতদিন তোমায় বালিকা ভেবে অন্য এক
অপরাজিতা ফুলের সাথে সম্বচ্ছরের প্রেম।
এই যে তুমি ফুলের মত হেসে হেসে ওঠো,
নির্জনতার প্রহরে টুপটুপিয়ে চাঁদের আলোয়
নক্ষত্রদের জেগে ওঠা দেখতে অভ্যস্ত আমি
মধ্যরাত্রে মোমবাতি প্রহরে নেশা খুঁজে ফিরি।
জানো
আজ তোমাকে সাগর দেখাতে নিয়ে যাব
বাড়ীর পাশে যেমন দেখছ তেমন নয় মোটেও
সিগারেটে আচমকা হাত লেগে যাওয়া অনুভুতির মত
তোমার চোখেও ভয় জাগবে
এ জন্যেই গুরুজনেরা বলেন, সাগর দেখে খুশি হবার কিছু নেই
ও তো এক লহমায় উড়িয়ে নেবেই সব
কেবল ডুববে তুমি—
না হয় চলো তোমাকে পাখির পালকে লুকানো