৪৪/৪২
রংধনুর ওই সাতটি রঙে
আকাশ সাজে তবে,
বৃষ্টির শেষে আকাশ থেকে
নেমে আসে ভবে।
সূর্যের অপর দিক রংধনু
ঝকঝক করে ওঠে,
তাই না দেখার জন্য সবাই
দলে দলে ছোটে।
প্রতিফলন প্রতিসরণ
রংধনুর সাত রঙে,
ধনুকের ন্যায় দেখায় তারে
বাহারি ওই ঢঙে।
রচনাকালঃ
০৪/১১/২০২১
ঝিলের ধারে বসে ছিলাম
মুখটা করে ভার
হঠাৎ কেঁপে উঠল মোবাইল
অচেনা নাম্বার
ধরব কি না ধরব দ্বিধায়
হচ্ছে সময় ক্ষয়
শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল
কৌতূহলের জয়
অপর প্রান্তে সুরেলা এক
কণ্ঠ শুনা গেলে
আমার মনের পায়রা গুলো
আবার ডানা মেলে
সুরের জাদু কণ্ঠে রেখে
অচেনা নাম্বার
বলতে থাকে নড়ে গেছে
তার হৃদয়ের পাড়
তার পুকুরে ঢেউ উঠেছে
আমার ছুড়া ঢিলে
ঢিলের
৪৪/৪১
লক্ষ্মীছাড়া জীবন আমার
পাই না সুখের কুল,
তার-ই জন্য জীবন নদে
করি শুধু ভুল।
ভুলে ভুলে আমার জীবন
একেবারে শেষ,
সুখ নাই তবে আমার প্রাণে
আছি দুখের দেশ।
সুখ দুঃখ তো প্রভুর হাতে
সুখ মেলা তো ভার,
সুখের জন্য জীবন শূন্য
সুখ যে তবে কার।
সুখ সুখ করি জগৎ মাঝে
৪৪/৪২
ভরা যখন বন বনানী
পাখির কলতানে,
মনটা জুড়ায় খুকুর তখন
আনন্দ হয় প্রাণে।
ডালে ডালে পাখি বসে
দেখে জুড়ায় আঁখি,
তাই না দেখে খুকু বলে
আনন্দ কই রাখি।
টিয়া ময়না কোকিল ঘুঘু
আরো পাখি কত,
তাদের সাথে গল্প করতে
খুকুর ইচ্ছে শত।
কিচিরমিচির শব্দ গুলো
মধুর লাগে কানে,
কাটবে সময় খুকুমণির
পাখির সাথে গানে।
খুকুমণির ইচ্ছে করে
পাখির মতো গাবে,
তারই জন্য
৪৪/৪২
মেতে আছো নতুন প্রেমে
নতুন জনকে পেয়ে,
তোমার আশা আজও আমি
থাকি পথটা চেয়ে।
ইচ্ছে খুশি শাস্তি দিতে
নিতাম মাথা পেতে,
সুখে আছো এখন তুমি
অন্যের প্রেমে মেতে।
তোমার জন্য বুকে আমার
আগুন জ্বলে তবে,
ধোঁকা দিয়ে চলে গেলে
তুমি সেই যে কবে।
আমার মনটা তোমার জন্য
কাঁদে প্রতি ক্ষণে,
আজও প্রিয়া আছো তুমি
আমার প্রাণে মনে।
তুমি আমার জীবন
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
বন্ধু তোমার কথা শুনে
কষ্ট পেলাম মনে,
কেন তুমি এ বোল করলে
ভাবি ক্ষণে ক্ষণে।
সব মানুষের সব প্রতিভা
থাকে না তো কভু,
আমি তো ভাই কাব্য লিখি
সময় নিয়ে তবু।
নিন্দা করা নিন্দুকের কাজ
আমার কাজ নয় তবে,
মন খুশিতে নিন্দা করো
বসে নিখিল ভবে।
কাজী নজরুল রবীন্দ্রনাথ
৮৬ অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
প্রভু কেমনে সৃজিলা ধরাতে মানুষ
অক্ষমতার অনলে পোড়ে নাই হুঁশ।
ধরা বুকে মানুষের শ্রেষ্ঠতম স্থান
শ্রেষ্ঠ করে অক্ষমতা দিলে দয়াবান।
তোমার খেলা হে প্রভু বোঝা বড় দায়
জরাজীর্ণ ক্লিষ্ট তবে কেন পিছু ধায়।
শ্রেষ্ঠত্বের পদে এসে সহে দুখ তবু
কেন জানি এরূপ যে ভাবি ক্ষণে কভু।
সৃজিলা
৪৪/৪৪
প্রজাপতির কোমল ডানা
উড়তে যে তার নাই কো মানা।
বিকেল বেলা নদীর তীরে
লুকোচুরি ঘাসের ভীড়ে।
প্রজাপতি নানা ছলে
ছুটে চলে ফুলে ফলে।
মধু খেয়ে ধেয়ে আসে
দলের সাথে মিষ্টি হাসে।
প্রজাপতির রূপটা ভালো
মাঝে মাঝে হলুদ কালো।
লার্ভা থেকে জন্ম তারই
কোথায় আছে তাদের বাড়ি।
পরাগায়ন পরাগ রেনু
প্রজাপতির গুনগুন বেণু।
গানে গানে মুগ্ধ করে
মধুতে ওই মুখটি
সমস্ত দিন আমায় কেবল রাখিস চোখে ধরে,
ডাকিস কাছে রাখিস বেঁধে স্নেহের কড়া ডোরে ৷
এই করে না,ওই কোরো না – ওদিক যেও না না,
কেউ বোঝে না কি চাই আমি -শুধুই নিষেধ মানা।
ভাল্লাগে না মাগো তোদের আদর বাড়াবাড়ি,
বাড়ির সাথে আড়ি দেব- বাড়ির সাথে সাথে আড়ি ৷
ডাকছে