৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
বাবা মাকে সুখে রাখতে
ছাড়ল খোকা বাড়ি,
আসার পথে প্রাণটা গেলে
খোকার দেহ ছাড়ি।
ইচ্ছে ছিলো বাবা মাকে
রাখবে খোকা সুখে,
তা হলো না বাবা মা আজ
ভাসছে শুধু দুখে।
নয়ন ভরা স্বপ্ন ছিলো
বাবা মাকে নিয়ে,
জীবন নষ্ট ধরার বুকে
আরো নষ্ট হিয়ে।
হলো না আর স্বপ্ন পূরণ
বলছে
৪৪/৪২
সারাটা দিন সারাটা ক্ষণ
নৌকা নিয়ে কাটে,
হিজলতলী নদী বেয়ে
যাবো আমি হাঁটে।
কিনবো আমি নানা জিনিস
বিক্রি করবো কিছু,
সন্তানেরা ঘুরছে সদা
আমার পিছু পিছু।
রোজ বিকেলে দলের সাথে
ভাটিয়ালি গানে,
ভাসি আমি নৌকা নিয়ে
শুধুই পেটে টানে।
অল্প কিছু স্বপ্ন নিয়ে
জীবন পথে চলা,
দীনতার ওই কথা কি ভাই
যাবে কভু বলা।
যেমন আছি ভালো আছি
এই না ধরার
খুকিমণির পুতুল বিয়ে
কাঁন্নায় ভাঙে খুকির হিয়ে
দেখতে সুন্দর ছেলে,
বিয়ে বাড়ির ছেলে মেয়ে
দেখে সবাই বর’কে চেয়ে
আঁখি দুইটি মেলে।
রবের পক্ষে নানা কথা
খুকির মনে লাগে ব্যথা
মনটা ভীষণ কালো,
কোকিল গাইছে প্রাণটা খুলে
রব যে চলে হেলে দুলে
দেখতে লাগে ভালো।
মায়ের কাছে খুকির বায়না
মেয়ের জন্য কিছু চাইনা
হেসে খেলে চলে,
ভীষণ ভালো পুতুল কন্যা
আদর
৫৫/৫২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
মাগো তোমার মুখের হাসি
আমার লাগে ভালো,
মুক্তা ঝরে সেই হাসিতে
জীবন করে আলো।
মুখে তোমার মিষ্টি কথা
আঁখি স্বপ্নে ঘেরা,
জগৎ মাঝে তুমি যে মাগো
আমার কাছে সেরা।
দুখের কথা হাসি মুখে যে
বলতে মাগো তুমি ,
আমার কাছে তুমি তো মাগো
স্বাধীন মায়া ভুমি।
তোমার মতো মমতাময়ী
ধরার
৪৪/৪১ স্বরবৃত্ত ছন্দ
ভুল পথেতে পা বাড়ালে
পিছলে পরার ভয়,
ভুলের মাশুল দিতে গেলে
পুরো জীবন ক্ষয়।
ভুলের পথে চললে তবে
প্রাণে আসে দুখ,
ভুলের পথে আসে নাকো
কোনোদিনও সুখ।
ভুলে যাদের জীবন শুরু
ভুলে তাদের শেষ,
শুদ্ধ জীবন নদে তবে
থাকে না দুখ রেশ।
ভুল করা তো অতি সহজ
শুদ্ধ জনে কয়,
জীবন মুখে হয় না
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
বন্ধু তোমার জীবনটা ওই
কাটুক হাসি গানে,
মিলেমিশে থেকো তুমি
সবার মনে প্রাণে।
তোমার মনের সকল চাওয়া
পূর্ণ করুক প্রভু,
দুঃখের দিনে সবার সাথে
মিলে থেকো তবু।
চলো না আর স্বপ্নবিহীন
জীবন পথে তবে,
জীবন যুদ্ধ হেরে যাবে
তুমি নিখিল ভবে ।
স্বপ্নগুলো আঁকড়ে ধরো
জীবন চলার পথে,
ভালো সঙ্গী
অক্ষরবৃত্ত ছন্দঃ৮৬
অকৃত্রিম অকৃপণ ভালোবাসে মাতা
মাতা যে পরম ধন জীবনের ছাতা।
এমন মমতাময়ী নারী নেই কভু
হাজার জনম খুঁজে পাবে নাকো তবু্।
নিজে উপবাস থেকে ছা’কে দেয় অন্ন
মা শুধু সুখটা রাখে সন্তানের জন্য।
ঘাত প্রতিঘাতে মায়ে রক্ষা করে তবে
তার মতো মমতাময়ী নেই তবে ভবে।
করো হে আপন মন মাকে তবে
৪৪/৪২
পুষ্প শোভা পুষ্প বাগে
দেখতে লাগে ভালো,
আঁধার রাতে যেমন করে
জোনাক জ্বালে আলো।
নতুন কলির সুবাস পেয়ে
ভ্রমর করে খেলা,
মন খুশিতে রোজ প্রভাতে
আনন্দের ওই মেলা।
প্রজাপতি দলে দলে
ছুটে চলে ফুলে,
পরাগায়ণ করায় তারা
সকল আশা ভুলে।
পুষ্পের শোভা নিয়ে কবি
কাব্য লেখেন কত,
পুষ্প নিয়ে প্রেমিকগণে
আসে শত শত।
পুষ্প হলো পবিত্র
৪৪/৪১
বন্ধু তুমি সবার সেরা
আছে যতজন,
তোমায় নিয়ে দিবানিশি
ভাবি প্রতিক্ষণ।
দুর্দিনের ওই কালে তুমি
পাশে ছিলে ভাই,
এমন ভালো বন্ধু তবে
জগৎ মাঝে নাই।
স্বার্থপর ওই জগৎ মাঝে
তুমি দিশার পথ,
তোমার সঙ্গে পারি দেবো
আমার জীবন রথ।
তোমার দেয়া সেরা তত্ত্ব
পেয়ে ধন্য প্রাণ,
বন্ধু তুমি জীবন
৪৪/৪৪
মাগো আমার ইচ্ছে করে
মদিনাতে যাইতে,
সেথায় গিয়ে মনে সুখে
হামদ নাত যে গাইতে।
মাগো আমার ইচ্ছে করে
কাবা শরীফ দেখতে,
নিজের দিলে চার কালেমা
নিখুঁত ভাবে লেখতে।
মাগো আমার ইচ্ছে করে
মদিনার প্রেম পড়তে,
আল্লাহ তালার রহমত গুলো
ভীষণ ভাবে ধরতে।
মাগো আমার ইচ্ছে করে
সেই খানেতে থাকতে,
নবীর
৪৪/৪৪/৪১ স্বরবৃত্ত
নায়ের মাঝি গাঁয়ের মেয়ে
সবাই তাকে দেখে চেয়ে
প্রেম বিরহে মন,
জোয়ার আসে ভাটার টানে
সুখের উল্লাস দুঃখের গানে
ভাবে প্রতিক্ষণ।
পাখির গানে মুগ্ধ করে
শক্ত হাতে হালটা ধরে,
করে না তো লাজ,
আসবে কবে মনের মানুষ
তার খোঁজেতো উড়ায় ফানুস
এটাই যে তার কাজ।
মনের মধ্যে সুজন
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
তোমার গর্ভে জন্ম আমার
তুমি নয়ন তারা,
তোমায় ছাড়া আমার জীবন
ভীষণ ছন্নছাড়া।
মাগো আমায় ছেড়ে আছো
ওই না বহু দূরে,
সেথায় আমি চাই রে যেতে
সুদূর অচিন পুরে।
তোমার কথা মনে পড়লে
জলে ভাসে আঁখি,
তোমায় ছাড়া একলা আমি
ক্যামন করে থাকি।
মাগো
৪৪/৪১ স্বরবৃত্ত ছন্দ
বিদায় নিচ্ছে অতিমারী
হাসছে বসে সব,
প্রাণে লাগছে সুখের ছোঁয়া
শুধু কলরব।
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ওই
এবার হচ্ছে শেষ,
মুক্তভাবে ঘুরবো তবে
এই না সুখের দেশ।
সবার সাথে আগের মতো
হবে চলাচল,
মুক্ত জীবন সুখে থাকা
মনে দৃঢ়বল।
চিন্তা ভাবনা গুলো আজই
দুর হবে সব ভাই,
সুখের সাথে করমর্দন ওই
সুখটাকে তো চাই।
মনের ভিতর এলোমেলো
চিন্তা না তো রয়,
সুখের