আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
বৌয়ে দেয় ধোঁকা,
বোনে দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
ভাইয়ে দেয় ধোঁকা,
ভাবী দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
বন্ধু দেয় ধোঁকা,
বান্ধবী দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
ধোঁকা খেতে খেতে
জীবন শেষ মৃত্যতে।

তুমি দেহের ভাঁজে প্রেম করছো খোঁজ
অথচ মনের ঠিকানা কত সহজ

আর কিছু নেই বাকি হবার মত ক্ষয়,
তুমি আমার সবচেয়ে বড় অপচয়।

আর নাইবা হলো দেখা
নাইবা হলো আসা কাছাকাছি
এটাই অনেক
তুমি আমি এক শহরে আছি

নীল আকাশের মাঝে
নীহারিকার সাজে
নিত্য দেখি তোরে,
কত সুন্দর তুই
স্বপ্নে তোকে ছুঁই
দিবার রাঙা ভোরে। নীলে নীলে ভেসে
কোথায় যাস তুই শেষে
জানতে আমি চাই,
কোথায় তোর ওই বাড়ি
পড়িস কি তুই শাড়ি
তোর উপমা নাই। রচনাকালঃ
২৯/০৬/২০২২

ও পাখিরে যা না ওড়ে
ফুল নিয়ে তুই ঠোঁটে,
তারে দিবি পাখি, নইলে
মন যাবে আজ টুটে। সাত সমুদ্দুর তেরো নদ
পার হয়ে তুই যাবি?
সেথায় গিয়ে পাখি জানিস?
তার দেখা তুই পাবি! অদৃশ্য এক বন্ধু আমার
দেয় না দেখা এসে,
কোথায় জানি কোন সে সুখে
যাচ্ছে সে যে ভেসে। কত

মুখ থাকতে হাতে কেন
চিটিশ পিটিশ
মন থাকতে তবু টুকে
পরীক্ষা দিস? হেলমেটহীন বাইক — দিলাম
কেস ঠুকে
লাভ থাকতে লাইক কেন
ফেসবুকে! ট্রেন থাকতে ট্রেকার চেপে
পাহাড়ে যাই
সিঁড়ি থাকলেও বেকার বেকার
খাদে ঝাঁপাই তিল থাকতে তালের বিভেদ
ডেকে আনো
ভালোবাসা নাম পালটিয়ে হয়
ভোলক্যানো।

এই দুনিয়ায় রাহাজানি
লেগেই আছে হানাহানি
চারিদিকে দেখি,
পরের ভালো দেখলে পরে
জ্বলে পুড়ে যায় যে মরে
কেনো এমন সেকি ! এই ভবেতে অনেক আছে
দিন এনে সে দিনে বাঁচে
কেবা রাখে সে খোঁজ,
এসব খবর কাগজে পাই
ধুঁকে মরে জানি সবাই
দেখি সে যে হর রোজ। বন্ধু ভাবি যখন যারে
টানি মোরা

মানুষ মনের ফুল বাগানে
ভাবের যা ফুল ফোটে
সব কিছু তার রবীন্দ্রনাথ
সাহিত্য সুখ লোটে। কথার ভিড়ে মুক্ত আকাশ
সবুজ নবীন আলো
রবীন্দ্রনাথ ভাবনা ভাবায়
যা কিছু সব ভালো। সবার হৃদয় সাদর বরণ
ডাক দিয়ে যায় প্রাণে
এই পঁচিশে বৈশাখ যেন
আবার জীবন আনে। ঠাকুর ভজন মনের পূজন
রবীন্দ্রনাথ বুকে
ভাবের অসীম

বিবাহ বার্ষিকী
বিজন বেপারী বিশ্বাসের এই হাতটি ধরে
ভালোবাসার দামে,
সকল সংশয় পায়ে ঠেলে
এসেছিলে চলে। দুটি মেরুর দুটি পথের
মিলন হয়েছিল,
অচেনা এক মসৃণ জীবন
কাব্য পেয়েছিল। শুভ পরিণয়ের এই ক্ষণে
খুশিতে ভরে মন,
ফিরে আসুক বারে বারে
মধুর খুশির ক্ষণ। রাগ অভিমান সঙ্গে নিয়ে
দাম্পত্য হোক সুখের,
তোমায় নিয়ে সাতটা জনম
প্রার্থণা এই দীনের।

আমরা খুশি বোশেখ মাস
বাংলায় নববর্ষ
ছেলে-বুড়ো, খোকাখুকি
সবার একই হর্ষ। গ্রামে গ্রামে জমছে মেলা
বাউল গাইছে গান
একতারা আর দোতারাতে
প্রাণ যে পায় তান। বোশেখ এলে কালবোশেখী
ক্ষিপ্র বেগে আসে
গাছের ডালে পাখির বাসা
জীবন বুঝি নাশে। তাইতো ওরা কুঁকড়ে থাকে
মনে বড়ই ডর
ওদের মতোন ভয়ে

৪৪/৪১ স্বরবৃত্ত ছন্দ আকাশ পানে তাকিয়ে খোকন
দেখছে ঈদের চাঁদ,
সেই খুশিতে দিশেহারা
চারিদিকে নাদ। মেঘলা আকাশ ঈদের চাঁদে
আনন্দের ওই বান,
খুশি মনে খোকন চলে
হর্ষে করে গান। বারে বারে খোকন বলে
কবে হবে ঈদ,
সেই খুশিতে খোকন সোনার
হয় না ভালো নিদ। ঈদের চাঁদে মন খুশিতে
সবাই

রাতের বেলা করছে খেলা
আকাশ তলে তারা,
দিনটা হলে যায় যে চলে
না মেলে আর সাড়া। জোনাক দলে সন্ধ্যা হলে
আলো জ্বেলে জ্বেলে,
কেনো তারা পাগলপারা
ঘোরে ডানা মেলে ? সুরুজ মামা তার নেই থামা
সাতসকালে জাগে,
তাও প্রতিদিন কী

সে আমাকে দিদি ডাকে;
কেন ডাকে! বয়সে হয়তো কয়েক মাসের
বড় হতে পারি দিদির বদলে অন্য ডাক;
কিংবা কিছু না ডাকলেও চলত। সে সামনে এলে
বুক ধরফর করে আড়াল হলে উৎসুক চোখ
এ দিক সে দিক খুঁজে। তার জন্য বিপর্যস্ত
অন্য কিছু ভাবতে পারি না। সে আমার পাশের বাসার

আমরা পেলাম স্বাধীন বাংলা
রক্ত দানের ফলে,
আজ এলো ঐ ছাব্বিশে মার্চ
সবাই খুশির ঢলে। ফুল সৌরভে রূপ গৌরবে
কী সুন্দর যে তুমি,
ইচ্ছে মোদের সতত তাই
হে মা ! তোমায় চুমি। শস্য শ্যামল সবুজ মাখা
দেখলে তোমার হাসি,
নয়