আমি কি গান গাব যে ভেবে না পাই-
উতল-ধারা বাদল ঝরে। সকল বেলা একা ঘরে। সত্যিই গত কয়েকদিন ধরে এমন অঝোর বৃষ্টি। সারাদিন। কখনো ঝিরিঝিরি তো কখনো মুষলধারে। মাঝেমধ্যে এক একটি দমকা হাওয়া যেন মনের মধ্যে এফোঁড়
সীতেশ যখন বলল আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। আমি বললাম ‘যা ব্যাটা ঝুলে পড়’। সে অবিশ্বাসের চোখে তাকালো, আমি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু; কোথায় সমবেদনা দেখাব উল্টা আত্মহত্যার উস্কানি দিচ্ছি।
আমি বললাম ‘তুই মরে যা’, ‘ব্যাটা লাড়কি তোকে ছেড়ে অন্যের গলে মালা পড়িয়েছে তোর মরে
জিতেনের হয়েছে বড় সমস্যা; রুমকি কে মুখ খুলে বলতে পারছে না। অথচ বললেই ল্যাঠা চুকে যেত।
জিতেন রুমকি কে নয় রুমিকে ভালোবাসে কিন্তু রুমকি জিতেন কে নিজের খরিদ করা মাল ভেবে বসে আছে। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করে।
রুমি জিতেনের চোখাচোখি কয়েকবার হয়েছে, রুমির চোখে
দাম্পত্য জীবনের অতি পরিচিত টুকটাক অণুমুহুর্তগুলো আসলেই অনেক দামী। অনেক আগে নিচের অণুগল্পটি লিখেছিলাম। এরপর অনেক সময় পার হয়েছে। আমিও বদলে গেছি- পেশা এবং বাহ্যিক অবয়বে। কিন্তু ভিতরের অনুভবক্ষম আমি তো সেই একই রয়েছি। যদিও এখনকার অনুভব আর আগের মতো
অদিতির সাথে পরিচয় না হলে ঈশ্বর সৃষ্ট মানুষের যে সংজ্ঞা তার অনেক কিছুই হয়ত অজানা থেকে যেতো। বাইরে দেখা মানুষটার ভেতর যে একই রকম হয়না অদিতি তার ঐশ্বরিক প্রমাণ।
অদিতি ভট্টাচার্য্য। বয়সে আমার চাইতে দুই বছরের বড়। লম্বা চুল আর শাড়িতে
Half of me is beautiful
but you were never sure which half
— Ruth Feldman, “Lilith”
১
— মাঝে মাঝে তোমাকে ঠিক বুঝতে পারিনা।
মইনুলের কণ্ঠ নির্বিকার,
— এমন হলে, মাঝে মাঝে, বুঝার চেষ্টা না করাই তো ভালো, তাই না!
সোমা কথা খুঁজে পায় না, খুঁজার চেষ্টা করে
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৮৮ বার দেখা
| ১৭৭৯ শব্দ
একটা পাতাও বাকী নেই ঝরার মত, শীতের এখন অখণ্ড বিশ্রাম। মাঘ মাসের মাঝামাঝি, শীত যেনো এক পাখি, ডানা মেলার অপেক্ষারত, বিকেলের মনমরা রোদে ঠোঁট দিয়ে পালক পরিচ্ছন্নতায় মগ্ন, মাঝে মাঝে পাখা ঝাপটে শিরায় শিরায় সঞ্চালন করে উষ্ণতা, দীর্ঘ উড়ালের আগে কুয়াশার রাত্রিস্নানে ধুয়ে ফেলতে
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৯ বার দেখা
| ১২৪০ শব্দ
৬
মেরিন ড্রাইভ, এক্সোটিক সাম্পান হোটেলের চার তলা, বারান্দায় তিন জন বসে আছি। সি ভিউ বারান্দা, অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র দেখা যায়, খুব দূর থেকে ছোট ছোট ঢেউ একের সাথে এক যোগ হতে হতে ধেয়ে আসছে, সাদা ফেনা নিয়ে আছড়ে পড়ছে তটে,
তিন তলার গ্রিল দেওয়া বারান্দায় বসে আছি, রুবাই চা বানিয়ে এনেছে। চায়ে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস বললাম,
– রুবাই, তুই বোকা বা বেকুব- এ আলোচনা পরে হবে। আগে বল তো কি হয়েছে!
নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু পারলো না, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতে করতে বললো,
– তুমি
ছেলেবেলায় শুনেছি যে
কত হাসির কথা
সেই হাসির কি কথা বলা
যাবে যথা’তথা।
মৃদু হাসি আছে মুখে
হাসি কত প্রকার
জনে জনে আমি বলি
আছে হাসির আকার।
কারো মুখে অট্টহাসি
কারো মুখে মৃদু
কোন হাসিতে বলো আছে
দৃষ্টিকারা জাদু।
তেমন হাসি মুখ ওই আমি
কিনতে চাই যে তবু
এমন হাসি মুখ’কি ধরায়
পাওয়া যাবে কভু।
মৃদু হাসি মুখে আছে
তারে লাগে
৪
মণ্ডল পাড়ার মোরে এসে অটো ছেড়ে দিতে হলো। তিন চার মিনিটের পথ হেঁটে যেতে হবে। বৃষ্টি বাড়ছে কমছে কিন্তু থামছে না। আয়েশ করে একটা সিগারেট ধরাতেই বৃষ্টির বেগ কিছুটা কমলো। হাঁটতে শুরু করলাম।
বৃষ্টিতে হাঁটতে হাঁটতে সিগারেট টানার অন্যরকম মজা আছে, স্বাস্থ্যের জন্য
পূর্ণ চাঁদের রাতে জোছনায় দশদিক ভেসে গেলে হাঁপানির টান তুচ্ছ করে দাদি বলতেন, ‘ফকফক্কা চান্নি রাইত, কি ফকফক্কা চান্নি! আমারে দাওয়ায় শোয়াইয়া দাও।’
মা উঠোনে মাদুর পেতে তার ওপর কয়েকপ্রস্থ সুতির চাদর বিছিয়ে আস্থায়ী জাজিম বানিয়ে দিতেন। বাবা দাদিকে কোলে তুলে এনে জাজিমে
শীতের কোনো এক সন্ধ্যা! বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম যাবো, আমার অনেকদিনের ইচ্ছা বিনা টিকেটের যাত্রীদের মত আমিও ট্রেনে যাই। তাই ভাইয়ের গাড়িতে না গিয়ে চলে গেলাম ফেনী রেল ইস্টিশনে। অপেক্ষার প্রহর শেষে ১৮:০৫’র ট্রেন আসলো ১৯:১০টায়। টিকিট ছাড়াই উঠে পড়লাম ‘ঠ’
মেয়ে ও মায়া, মাদক ও রাষ্ট্র।
৪৬তম পর্ব।
৫
আসসালামুলাকুম আন্টি। কেমন আছেন।
আমি ভালো আছি, তুমি কেমন আছো নাহিদ। যাক, জামিন হলো শোকর আল্লাহর ।
জ্বি আন্টি জামিন পেলাম।
যাও ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি।
ঠিক আছে আন্টি। আম্মু এবং