★ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আমি এই কন্ডেম সেলে! মৃত্যুর অপেক্ষায়।
সাড়ে পাঁচ বছর ঠায় কারো বা কিছুর জন্য অপেক্ষা করা তোমার কাছে কেমন মনে হয়? মরছিলাম আমি প্রতি পলে পলে। মুহুর্তে। ঘন্টায়। প্রতিটি সূর্যোদয়ে এবং সূর্যাস্তে!
দুর্ভাগ্য আমার। একজন মুক্ত মানুষ
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৩ বার দেখা
| ৪৪৯ শব্দ ১টি ছবি
★ রাত শেষ হতে না হতেই জিসান বেশ তাড়াহুড়া করে বিছানা ছাড়লো। মা ভালোই বুঝলেন, কোথাও দৌড় লাগাবে। তাঁর হঠাৎ মনে পড়ল, আজ কনসার্ট দেখতে যাবার কথা। সে তো শুরু হবে দুপুর তিনটায়!
একের পর এক আলমিরার প্রায় সব
★ এক শীতের সকালে বড্ড উষ্ণ হয়ে আছেন তারিক মোহাম্মদ। ভোরেই খালের পানিতে স্নান সেরেছেন। অনুভূতির গভীর থেকে ক্রমাগত উষ্ণতর এক প্রস্রবণে ভেসে বেড়ানোর রহস্য কি ওই স্নানের সাথে জড়িত?
সাড়ে আটটা বাজে। স্কুল ঘরের কাছে আসতেই প্রশ্নটি আবারো মনে
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৪ বার দেখা
| ৬৬৪ শব্দ ১টি ছবি
★ অনেক দিন পরে ওরা দু’জন একসাথে টিভি দেখছে। কণা আর শিহাব। এখন তো ভারতীয় চ্যানেলগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য। আর শিহাবের পরিবারে বউ আর ছেলেমেয়ের। এদের ভিড়ে কদাচিৎ নিজের দেশীয় চ্যানেলগুলোতে পাঁচ দশ মিনিট একটু ঢু’ মারতে পারলেও নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান
★ জীবনের এক বিষম সময়ে পারুর সাথে আমার পরিচয়। বেঁচে থাকার কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখন। জীবন এক দুর্বিসহ দূর্ণিবার রুপে আমার সামনে উপস্থিত। শব্দে সেই রুপ আমি ব্যাখ্যা করতে অক্ষম। এমনই সময় ছিলো।
টুকটাক লেখালেখির অভ্যাস ছিলো। এভাবে লিখতে
গল্প|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩৩ বার দেখা
| ৮৫১ শব্দ ১টি ছবি
(এক)
কদম গাছের তলায় বসে পানি পান করে নিজেকে শীতল করলাম। শরীরটা খুবই ক্লান্ত লাগছে কিন্তু মনটা খুবই সতেজ তাই দুর্বলতা নেই। এই দীঘির স্বচ্ছ জল, দীঘির পাড়ে দূর্বাঘাস, বাদামী রংয়ের মিহি মিহি বালু আমার হৃদয়ের আকুলতা জানতো। অথচ আজ আমার মত নিঃসঙ্গ নিঃস্ব, কারো
গল্প|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৯৪ বার দেখা
| ১৮৭৭ শব্দ
প্রতিদিনের মতো অফিস ফেরত একজন বাবার ভূমিকায় শিহাব। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘর থেকে ঘুরে এসে নিজের বেডরুমে। কণা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে গেছে। স্বাভাবিক নি:শ্বাস পতনের শব্দ এবং কিছু অংগের উত্থানপতনে বুঝা যায় সে গভীর ঘুমে।
ঘুমের ভান নয়।
ভান শব্দটা এজন্যই শিহাবের মনে
একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর করে বাবা-মার সাথে ছিলাম। দেশের অন্যতম এক সমৃদ্ধ বিভাগীয় শহরে পরিপূর্ণ জীবন আমলা বাবার নিয়ন্ত্রণে বেশ আনন্দময়। ইচ্ছেঘুড়ির নাটাই বাবার হাতে থাকলেও যথেচ্ছা উড়াবার স্বাধীনতা ছিল আমার। উড়াচ্ছিলাম। বাউরি বাতাসে নিজেও ভেসে যাচ্ছিলাম।
এ অবস্থায়
(১)
তাদের সে সময়টা ছিল আবেগ আর ভালোবাসায় ভরা। মিলা আর জাহিদ তারা দুজনেই একে অন্যের প্রতি ছিল দারুণ অনুরক্ত। একে অন্যকে এক মুহুর্ত না দেখে, কথা না বলে থাকতে পারতো না কিছুতেই। নব যৌবনকালের উতলা সে সময়। সর্বদাই একে
জলির সাথে আমার প্রেম আছে, একতরফা প্রেম; জলি পাত্তা দেয় না। জলির বাবা ম্যাজিস্ট্রেট, আমার বাবাও একেবারে হেলাফেলার কেউ নয়। জেলার সবচেয়ে বড় চাউলের আড়ত আমাদের। চাউলের কারবার ছাড়াও দুটো সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে। আরো আছে ট্যানারি বা চামড়ার ব্যবসা।
টাকা পয়সা যা আছে একজন
”গল্প লেখা মোটেও কঠিন নয়, পুরস্কারের জন্য গল্প লেখা তো আরও সহজ। কলম আর এ ফোর সাইজের দুটো কাগজ নাও, ফরমুলা শিখিয়ে দিচ্ছি’ বলে নোমান থামে, প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরায়, লম্বা একটা টান দিয়ে মাছের খাবি খাওয়ার মত করে ধোঁয়া ছেড়ে হাওয়ায়
গল্প|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬৯ বার দেখা
| ২২৬৭ শব্দ
নারীকে আমি নারী হিসেবে দেখি না- মানুষ মনে করি। কিন্তু আমাদের সমাজে একজন নারীকে কোন দৃষ্টিতে দেখা হয়? আমি পারিবারিক বন্ধনে সম্পর্কের বেড়াজালে আবদ্ধ নারীর কথা বলছি। কিন্তু যে সকল নারী সম্পর্কহীন সম্পর্কের মাঝে বন্দী? যাদের পরিবার নেই- বিভিন্ন
গল্প|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৪১ বার দেখা
| ৯৯৯ শব্দ ১টি ছবি
রোনিতার শোবার ভঙ্গীটা এমনই, যেন কুন্ডলি পাকানো সাপ। আমার বুকের একদম মাঝখানে কেমন জমে থেকে শোয় মেয়েটা। মুঠো পাকানো হাতের ভেতর কে জানে কতগুলো দীর্ঘশ্বাস সে পুরে রাখে! আমি বরং ওর এই সর্পিল ভঙ্গি নিয়েই বেশ আয়েশী চিন্তায় ডুবে যেতে
গল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১০ বার দেখা
| ১৯০০ শব্দ ১টি ছবি