অনেকদিন পরে সুদীপ্তর সঙ্গে দেখা হল। ও বলল ও এখন ভারত সরকারের যোজনা কমিশনে কাজ করে।
পিছনের বেঞ্চিতে বসত। পড়া পারত না। মোটামুটি রেজাল্ট করে কলেজে গেল। আমিও মাস্টার ডিগ্রির পরে একটা কাজ যোগাড় করে সংসারী।
জিজ্ঞেস করলাম, এইসব পোষ্টে যেতে হলে কি করতে হয়? ও
নীলা তন্ন তন্ন করে ব্যার্থ সার্টিফিকেট খুঁজছে। এ ঘরে ও ঘরে। হঠাৎ যেন বুকের ঠিক মধ্যখানে চিনচিন করে উঠলো। স্বপ্ন গড়ে স্বপ্ন ভাঙে স্বপনেরও খেলা ঘরে। ছোট্ট একটা চিঠির ভাঁজে আঙ্গুল ছুঁয়ে নিমিষে চলে গেলো কক্সবাজার।
বয়স তখন ১৮ কি
সময়ের সাথে সাথে নিজের কর্মফলে মানুষ নিজ মনুষ্যত্ব হারায়। আবার কর্মগুনেই মানুষ অমরত্বও পায়।
শিহাব যখন মানুষ ছিলো, সেই সময়ের মুহুর্তগুলো মনে পড়ে। কেমন স্বাচ্ছন্দ্যে কেটে যেত দিন। যেন উদাসী গরম দুপুরে, দিঘীর জলে মাতাল সমীরের মৃদু সন্তরণ!
এখন অমানুষ পর্ব চলছে।
এক
এক দশকে তাদের একবারও দেখা হয়নি! বিশ্বাস হচ্ছে না? আসলে দুজনের কেউ-একটা অনিচ্ছুক হলেই সাক্ষাৎ অগুন্তি কাল ধরে পিছিয়ে যেতে থাকে।
ডিভোর্সের পরের মাসেই অরুণাভ বদলি হয়ে কলকাতা অফিসে চলে এল। শেক্সপিয়ার সরণি থেকে রাসেল স্ট্রিটে অদিতির ব্যাংক কতটুকু? তবু দশ ইন্টু তিনশো পঁয়ষট্টি ইনটু
ইরা যখন বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তখন আমরা ভেবেছিলাম ও নিশ্চয়ই কোন ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে।
ওর বাবা মা মুখ দেখাতে পারল না। সারা পাড়ায় ঢি ঢি পড়ে গেল। তবে কোথাও কোনো ইরার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ছেলে বন্ধুর কেউ খোঁজ পেল না। পাড়ায় রটে গেল
অনেকদিন পর, নতুন করে আবারও লেখালেখিতে ফিরে যাবার চেষ্টা। কিন্তু মনে যেভাবে লেখাগুলো এলো, অক্ষরে সেভাবে রুপ দেয়া গেলো না। না লিখতে লিখতে, শব্দেরা আগের মত ধরা দিতে চাইলো না। তারপরও নতুনভাবে আরো একবার শুরু হলো গল্প
জোড়া অণুগল্প
**
আমি যেখানে বসা আছি, সেখান থেকে একদিন নিজেকে দেখার চেষ্টা করি এক নিরব প্ল্যাটফরমে, ওয়েটিং পিলারের সাথে হেলান দিয়ে বসে।
একটা অপেক্ষমাণ ট্রেন আর আমার ছায়া নিয়ে আমি এক উল্টাপাল্টা জীবনের অধিবাসী হয়ে বসে আছি, নিজেকে দেখবার ব্যাকুলতা মনে।
থার্ড ক্লাস
পাশাপাশি দু’টি বিল্ডিং। ছ’তলা। নির্বিকার দাঁড়িয়ে। পথ চলতি মানুষের বিস্ময় উদ্রেককারী না হলেও, ভবন দুটির মুখ দেখতে তাদের ঘাড় ভেঙ্গে যাবার আশংকায় তারা উপর দিকে তাকায় না। নগর জীবনের ভেতর আরেক নগর যেন। গল্প সমৃদ্ধ জীবনের প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণের
আতিকউল্লাহ সাদিক প্রথম দুই দিন ঝিম মেরে ছিল। গভীর সমুদ্রে নিম্নচাপের মত। তৃতীয় দিন তার ক্রোধের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন সে খুব চিৎকার করতে থাকে।
-চম্পা; চম্পা আআআআ !
চম্পা তখন ওর ছোট বোন টুম্পার সাথে ফোনে কথা বলছিল।
-এই বুবু, ঈদের দিনেও আতিক্যা অমন হাম্বা
পুকুর পাড় ঘেষে পায়ে চলা দুটি মেঠো পথ চলে গেছে। ডানদিকেরটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজের সামনে দিয়ে পিচের পথে গিয়ে মিশেছে। বামেরটি দু’পাশে নাম না জানা ঝোপকে পাশ কাটিয়ে ঘন জঙ্গলের ভেতর সামান্য এক না দেখা রেখা রেখে আঁধারে
অণুগল্প|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৮৫ বার দেখা
| ১৬৯৭ শব্দ ১টি ছবি
অতৃপ্তিই জীবন
___________
আমি যেভাবে তাকে কাছে পেতে চাই, সেভাবে সে আসতে চায় না। আমাকে নিয়ে তার নিজের ইচ্ছেপূরণেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনা আমি।
দুইয়ের ভিতর চলতে থাকা টানাপড়েণের মাঝে বয়ে যাওয়া সময়ের নাম-ই কী জীবন?
____________________
নিষিদ্ধ নগরী
এ গল্প এক হারানো শহরের। এখানে সম্পর্কগুলি অনবরত হারিয়ে
অণুগল্প|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪১৩ বার দেখা
| ২১২ শব্দ ১টি ছবি
নান্টু মিয়া যে কারণে ফের লুঙ্গি পরতে শুরু করলো, তা সরল হলেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।
ঝলমলে এই রাজধানীতে নান্টু মিয়ার পদার্পণ দুই দশক আগে। তখন তার ঘরবাড়ি নেই, আত্মীয় পরিজন নেই। বউ পালিয়েছে মামাতো ভায়ের সাথে। সংসারের প্রতি আগ্রহ নেই, মানুষের