রাজ পথটা সোজা এসে মিলেছে পান্থশালা। ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে দাঁড়ায় হেম আর হিয়া। তখনো শহর জাগেনি। ভোরের সূর্যালোকের স্নিগ্ধ আভা দুজনের ধরে থাকা হাতে চুমু দিয়ে আমন্ত্রন জানায় সকালের শহরে। ওরা হাটতে হাটতে ঢুকে পড়ে প্রথম গলিতে। গলিটির তিনটি
অণুগল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৪৫ বার দেখা
| ৪৫৪ শব্দ ১টি ছবি
আমার কপালের মাঝ বরাবর পিস্তলটা ঠেকিয়ে যখন আমার শেষ ইচ্ছাটি জানতে চাওয়া হল আমি তখন আমার মধ্যে নেই। পুরো শরীর জুড়ে বিজলীর মত ঝাকুনিতে ঘামের অনুভূতি আন্দাজ করা কঠিন হবে।
-না ! আমাকে বাঁচতে দিন, আমাকে মারবেন না।
শুরুতে আমি তোমার দিকে হালকা চেয়ে দেখেছিলাম। আস্তে আস্তে কিভাবে যেন তোমাতে নিমজ্জিত হয়ে যেতে লাগলাম। নিজেকে না পারি রাখতে, না পারি বুঝাতে। কি যে করি? মুশকিলে পড়ে গেলাম। তবে তোমাতে নিমজ্জিত হয়ে ভালোই লাগতে লাগলো। নিজেকে যেন অন্য কোথাও খুঁজে পেতে লাগলাম। ভালোই
গতকাল মধ্যরাতে মান্না দে’র গানের মত জোছনা ছিলো, প্রেম আর বিরহে বেসামাল ও উদভ্রান্ত। মফস্বল নীরব, ঝিঁঝিঁর ডাক, গাছের পাতায় হাওয়ার খসখস ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। না, না শব্দ ছিলো। সংঘবদ্ধ নীরবতাকে অধিকতর নীরবতা দানের জন্যই ডেকে উঠছিলো রাত জাগা কোনো পাখি। ছাদে
অভিশপ্ত বছর ২০২০ হেথা হতে যাও পুরাতন
এসো এসো হে নতুন বছর ২০২১ (চতুর্থ পর্ব)
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মহাসড়ক, রেললাইন ধরে অন্তহীন গন্তব্যের পথে হেঁটে চলেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। পৃথিবীর ব্যস্ততম শহরও যানহীন, জনশূন্য। মল থেকে
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৬৮ বার দেখা
| ৫৩০ শব্দ ১টি ছবি
অভিশপ্ত বছর ২০২০ হেথা হতে যাও পুরাতন।
এসো এসো হে নতুন বছর ২০২১ ! (তৃতীয় পর্ব )
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
চেনাজানার বৃত্তে অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটিয়েছে অতিমারি। যে পরিবর্তন দেখিয়েছে, পুলিশ অপারগের বাড়ি খাবার পৌঁছে দিতে পারে। গান গেয়ে করোনা সচেতনতা বাড়াতে পারে। অসুস্থ মানুষকে
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৫ বার দেখা
| ৪৫৮ শব্দ ১টি ছবি
অভিশপ্ত বছর ২০২০ হেথা হতে যাও পুরাতন।
এসো এসো হে নতুন বছর ২০২১ ! (দ্বিতীয় পর্ব )
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এমন একটা অভিশপ্ত বছরকে ক্যালেণ্ডার থেকে ইরেজার দিয়ে ঘষে মুছে ফেলতে ইচ্ছে হয়। ভয়, আতঙ্ক, উদ্বেগ,
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮৭ বার দেখা
| ৪০১ শব্দ ১টি ছবি
অভিশপ্ত বছর ২০২০ হেথা হতে যাও পুরাতন।
এসো এসো হে নতুন বছর ২০২১ ! (প্রথম পর্ব )
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আজকের সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে আরেকটি খ্রিস্টীয় বছর ২০২০ বিদায় নেবে। বছরটি পৃথিবীকে দিয়েছে মহামারীর তাণ্ডব, মৃত্যুর
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮১ বার দেখা
| ৩৩০ শব্দ ১টি ছবি
মন বৃক্ষের নিচে একদিন ভয়ানক কাণ্ড ঘটে গেল, এই কাণ্ডের রেশ দীর্ঘ দিন আমাদের তাড়া করেছে।
শীলা নামের যে মেয়েটা মৃদুল কে ভালোবাসতো এক ভোরে তাকে দেখা গেল মন গাছে ঝুলে আছে। ধরাধরি করে তার লাশ যখন নামানো হলো, আমরা তাকাতে পারিনি, তার জিব্বা মুখ
চার দেয়ালের ভেতর ঘরবন্দি মানুষ। শূন্য শহরটা এখন রূপকথার মরুভূমি। অথচ মাহমুদ আলী এখন যে ফ্ল্যাটটিতে আছেন সেখানে এই মুহূর্তে কেউ নেই। দুপুরের খা খা রোদ জানালার গ্লাস ভেদ করে তার শরীরের ওপর পড়ছে। জানালার এলোমেলো পর্দাটা ঠিক করে দেয়ার মতোও আজ কেউ নেই
বাসের সুপারভাইজার যখন ভাড়া চাইলো তখন প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে দেখি তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ম্যানিব্যাগটা ফেলে এসেছি। হায়, এখন উপায়? পাশে সিটে বসা ভদ্রলোক আমার মুখের ভাবখানা দেখে বিষয়টা বুঝতে পারলেন যে, আমি মহা ফাঁপড়ে পরে গেছি। তিনি নিজের পকেট থেকে চকচকে বিশ টাকা
নীরার সাথে আমার ঘর বাঁধার শখটা দীর্ঘদিনের। যখন তুমি এবং আমি সম্বন্ধটা বুঝতে পারি তখন থেকে এই চিন্তাটা মাথায় ঢুকে যায়। সম্পর্কে তেমন কিছু না হলেও ও ছিল আমার বছর দুয়েক বড়। প্রায়ই প্রতিদিনই আমাদের দেখা হতো। দূরত্বটা এবাড়ি ও
নীরার সাথে এভাবে দেখা হয়ে যাবে কল্পনাও করতে পারিনি। যার সঙ্গে একসময় যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ব্যয় করেছি তার নাম হলো নীরা। সবাই সবকিছু নিজের মতো করে পায় না। পেলেও সময় ও সুযোগের অভাবে ধরে রাখতে পারে না। আসলে মানুষের জীবনে এমন কিছু সময়
মাথার উপরে টাঙানো দড়িটার দিকে শেষবারের মতো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ফয়সাল। ছিঁড়ে যাওয়া মাকড়সার জাল যেমন করে ঝুলে থাকে আর সামান্য বাতাসেই দুলতে থাকে ঠিক দড়িটাকেও এখন তাই মনে হচ্ছে। নিজেকে তার মাকড়সা মনে হয়। ঝুলে যাওয়া একটা দড়ির শেষ মাথায় এসে সে