অণুগল্প বিভাগের সব লেখা

মামুনের অণুগল্পঃ তৃতীয় জনম
মামুনের অণুগল্পঃ তৃতীয় জনম
★ রাত শেষ হতে না হতেই জিসান বেশ তাড়াহুড়া করে বিছানা ছাড়লো। মা ভালোই বুঝলেন, কোথাও দৌড় লাগাবে। তাঁর হঠাৎ মনে পড়ল, আজ কনসার্ট দেখতে যাবার কথা। সে তো শুরু হবে দুপুর তিনটায়! একের পর এক আলমিরার প্রায় সব পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৫ বার দেখা | ৩৮১ শব্দ ১টি ছবি
মামুনের অণুগল্প: নীল কাব্য
মামুনের অণুগল্প: নীল কাব্য
★ এক শীতের সকালে বড্ড উষ্ণ হয়ে আছেন তারিক মোহাম্মদ। ভোরেই খালের পানিতে স্নান সেরেছেন। অনুভূতির গভীর থেকে ক্রমাগত উষ্ণতর এক প্রস্রবণে ভেসে বেড়ানোর রহস্য কি ওই স্নানের সাথে জড়িত? সাড়ে আটটা বাজে। স্কুল ঘরের কাছে আসতেই প্রশ্নটি আবারো মনে পড়ুন
অণুগল্প | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৪ বার দেখা | ৬৬৪ শব্দ ১টি ছবি
মামুনের অণুগল্প: সেতু
মামুনের অণুগল্প : সেতু
★ অনেক দিন পরে ওরা দু’জন একসাথে টিভি দেখছে। কণা আর শিহাব। এখন তো ভারতীয় চ্যানেলগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য। আর শিহাবের পরিবারে বউ আর ছেলেমেয়ের। এদের ভিড়ে কদাচিৎ নিজের দেশীয় চ্যানেলগুলোতে পাঁচ দশ মিনিট একটু ঢু’ মারতে পারলেও নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫০ বার দেখা | ৩১৯ শব্দ ১টি ছবি
অণুগল্প: চোর ১৩৮
প্রতিদিনের মতো অফিস ফেরত একজন বাবার ভূমিকায় শিহাব। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘর থেকে ঘুরে এসে নিজের বেডরুমে। কণা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে গেছে। স্বাভাবিক নি:শ্বাস পতনের শব্দ এবং কিছু অংগের উত্থানপতনে বুঝা যায় সে গভীর ঘুমে। ঘুমের ভান নয়।
ভান শব্দটা এজন্যই শিহাবের মনে পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৭ বার দেখা | ৬৯৯ শব্দ
ছোটগল্পঃ ও কেনো এতো সুন্দরী হলো?
ছোটগল্পঃ ও কেনো এতো সুন্দরী হলো?
একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর করে বাবা-মার সাথে ছিলাম। দেশের অন্যতম এক সমৃদ্ধ বিভাগীয় শহরে পরিপূর্ণ জীবন আমলা বাবার নিয়ন্ত্রণে বেশ আনন্দময়। ইচ্ছেঘুড়ির নাটাই বাবার হাতে থাকলেও যথেচ্ছা উড়াবার স্বাধীনতা ছিল আমার। উড়াচ্ছিলাম। বাউরি বাতাসে নিজেও ভেসে যাচ্ছিলাম। এ অবস্থায় পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭৬ বার দেখা | ৯১৩ শব্দ ১টি ছবি
জলির প্রেমিক
জলির সাথে আমার প্রেম আছে, একতরফা প্রেম; জলি পাত্তা দেয় না। জলির বাবা ম্যাজিস্ট্রেট, আমার বাবাও একেবারে হেলাফেলার কেউ নয়। জেলার সবচেয়ে বড় চাউলের আড়ত আমাদের। চাউলের কারবার ছাড়াও দুটো সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে। আরো আছে ট্যানারি বা চামড়ার ব্যবসা। টাকা পয়সা যা আছে একজন পড়ুন
অণুগল্প | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৯ বার দেখা | ৫৫১ শব্দ
সত্যি ভূতের গল্প
মোকাম্মিল বলল সে ভূত দেখেছে; আমরা অবাক চোখে তাকালাম। সে বলল গতরাত বাথরুমে যাওয়ার জন্য যেই উঠানে পা রেখেছে অমনি একটা ভূত টান দিয়ে লুঙ্গি খুলে দৌড়ে পালিয়ে গেছে। আমি বললাম ‘লুঙ্গি খুলে ফেলেছে, নিশ্চয় মেয়ে ভুত’! ফজল বলল ‘তুই ভূতের চেহারা দেখেছিস’? মোকাম্মিল পড়ুন
অণুগল্প | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৮৫ বার দেখা | ৯১০ শব্দ
সীতেশের প্রেমিকা সমাচার
সীতেশ যখন বলল আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। আমি বললাম ‘যা ব্যাটা ঝুলে পড়’। সে অবিশ্বাসের চোখে তাকালো, আমি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু; কোথায় সমবেদনা দেখাব উল্টা আত্মহত্যার উস্কানি দিচ্ছি।
আমি বললাম ‘তুই মরে যা’, ‘ব্যাটা লাড়কি তোকে ছেড়ে অন্যের গলে মালা পড়িয়েছে তোর মরে পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২১ বার দেখা | ১৯৫ শব্দ
ভালোবাসার রকমফের
জিতেনের হয়েছে বড় সমস্যা; রুমকি কে মুখ খুলে বলতে পারছে না। অথচ বললেই ল্যাঠা চুকে যেত। জিতেন রুমকি কে নয় রুমিকে ভালোবাসে কিন্তু রুমকি জিতেন কে নিজের খরিদ করা মাল ভেবে বসে আছে। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করে। রুমি জিতেনের চোখাচোখি কয়েকবার হয়েছে, রুমির চোখে পড়ুন
অণুগল্প | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৭ বার দেখা | ২১৭ শব্দ
মামুনের অণুগল্পঃ হৃদয়ের জোছনায় বসে থাকা
মামুনের অণুগল্পঃ হৃদয়ের জোছনায় বসে থাকা
দাম্পত্য জীবনের অতি পরিচিত টুকটাক অণুমুহুর্তগুলো আসলেই অনেক দামী। অনেক আগে নিচের অণুগল্পটি লিখেছিলাম। এরপর অনেক সময় পার হয়েছে। আমিও বদলে গেছি- পেশা এবং বাহ্যিক অবয়বে। কিন্তু ভিতরের অনুভবক্ষম আমি তো সেই একই রয়েছি। যদিও এখনকার অনুভব আর আগের মতো পড়ুন
অণুগল্প | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৪ বার দেখা | ৯১৫ শব্দ ১টি ছবি
অবিভাজ্য |পর্ব ৬-৭| মনসুখিয়া সিরিজ

মেরিন ড্রাইভ, এক্সোটিক সাম্পান হোটেলের চার তলা, বারান্দায় তিন জন বসে আছি। সি ভিউ বারান্দা, অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র দেখা যায়, খুব দূর থেকে ছোট ছোট ঢেউ একের সাথে এক যোগ হতে হতে ধেয়ে আসছে, সাদা ফেনা নিয়ে আছড়ে পড়ছে তটে, পড়ুন
অণুগল্প | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৭ বার দেখা | ৫৫৯ শব্দ
অবিভাজ্য/পর্ব-৫ [মনসুখিয়া সিরিজ]
তিন তলার গ্রিল দেওয়া বারান্দায় বসে আছি, রুবাই চা বানিয়ে এনেছে। চায়ে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস বললাম,
– রুবাই, তুই বোকা বা বেকুব- এ আলোচনা পরে হবে। আগে বল তো কি হয়েছে! নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু পারলো না, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতে করতে বললো,
– তুমি পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭০ বার দেখা | ৭৩৭ শব্দ
অবিভাজ্য (পর্ব ৪)/ [মনসুখিয়া সিরিজ]

মণ্ডল পাড়ার মোরে এসে অটো ছেড়ে দিতে হলো। তিন চার মিনিটের পথ হেঁটে যেতে হবে। বৃষ্টি বাড়ছে কমছে কিন্তু থামছে না। আয়েশ করে একটা সিগারেট ধরাতেই বৃষ্টির বেগ কিছুটা কমলো। হাঁটতে শুরু করলাম। বৃষ্টিতে হাঁটতে হাঁটতে সিগারেট টানার অন্যরকম মজা আছে, স্বাস্থ্যের জন্য পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮১ বার দেখা | ৯৩০ শব্দ
অবিভাজ্য (পর্ব ১ হতে ৩)/ [মনসুখিয়া সিরিজ]

বিছানার ডান পাশে পূবের জানালা। রোজ ভোরে দু’টো দোয়েল জানালার কার্নিশে বসে শিস দেয়- তারপর কোথায় যে যায় কে জানে। আজও ঘুম ভেঙেছে দোয়েলের শিসে, আকাশের আলোতে তখনও আবছায়া অন্ধকার। ব্যাথায় পর্যদুস্ত পা নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে ছাদে উঠে চারদিকে তাকিয়ে ভোর দেখি। পড়ুন
অণুগল্প | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮১ বার দেখা | ২১৫৭ শব্দ
অণুগল্প: ছায়াসত্ব
পূর্ণ চাঁদের রাতে জোছনায় দশদিক ভেসে গেলে হাঁপানির টান তুচ্ছ করে দাদি বলতেন, ‘ফকফক্কা চান্নি রাইত, কি ফকফক্কা চান্নি! আমারে দাওয়ায় শোয়াইয়া দাও।’ মা উঠোনে মাদুর পেতে তার ওপর কয়েকপ্রস্থ সুতির চাদর বিছিয়ে আস্থায়ী জাজিম বানিয়ে দিতেন। বাবা দাদিকে কোলে তুলে এনে জাজিমে পড়ুন
অণুগল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬০ বার দেখা | ২৬৩ শব্দ