একটা গল্প শুনবেন? আপনাদের কাছে গল্প মনে হলেও, এ একজন অতৃপ্ত নারীর গল্প। ‘অতৃপ্ত’ শব্দটি শুনে আবার ভুল বুঝলেন? না, ভুল বুঝবার অবকাশ নেই। শরীরের অতৃপ্তির সাথে সাথে আমার মনোদৈহিক অতৃপ্তি ও জড়ানো রয়েছে এখানে।
আমি কে?
টার্গেট কিলিং
বাবা, সালাম নিও।
কাল থেকে তোমাদের অবর্ণনীয় কষ্টের দিন শুরু হবে। সবাই তোমাদের দিকে আঙ্গুল তুলবে। ঘৃণার চোখে তাকাবে। বিশ্বাস করো বাবা, আমি কোনো ভুল করিনি।
আমার পথ যদি ভুল হয়, তবে সাড়ে তিনশ আসনে বসে থাকা দাঁতাল শুয়োরগুলোর পথ মহাভুল। বাঘ ঘাড় মটকে একবারে
নিউমার্কেটের চারটি প্রবেশদ্বার। পূর্বপাশের পার্কিং এরিয়ায়, বসা অবস্থায়ই বাইক স্ট্যান্ড করায় শিহাব। চাবি খুলে নিয়ে ঘাড় লক করে। নামে না, আকাশের দিকে তাকায় একপলক। ঘুমোট হয়ে আছে। ঘোমটার আড়ালে মেঘবালিকাদের ভ্রু কুঁচকে আছে, স্পষ্ট অনুভব করে
– আমার ছুঁড়ির একটা নেশা আছে, জানোস মতি?
– কি নেশা, বাংলা না গাঞ্জা, মজিদ ভাই।
– মসকরা করার কথা কই নাই মতি, রক্তের তিয়াস অনেক আজিবরে মতি, বড়ই আজিব।
ভাড়াটে খুনি হওয়ার আগে থেকেই মজিদের পকেটে ছোট্ট একাট্টা ফ্লোডিং ছুঁড়ি থাকতো। বৈশাখে হাওলাদারদের বাগানের
জীবনের এক বিষম সময়ে পারুর সাথে আমার পরিচয়। বেঁচে থাকার কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। জীবন এক দুর্বিসহ দূর্ণিবার রুপে আমার সামনে উপস্থিত। শব্দে সেই রুপ আমি ব্যাখ্যা করতে অক্ষম। এমনই সময় ছিলো তখন।
টুকটাক লেখালেখির অভ্যাস
মাত্র তিনটি লাইনেও একটা গল্প লেখা যায়! এদেশে আমিই প্রথম এই ধারার অণুগল্প লেখার প্রচলন করেছি। আমার নিজেরও প্রায় শ’খানিক এমন লেখা অণুগল্প রয়েছে। এটা এমন কিছু নয়, তবে এরকম তিন লাইনের একটা অণুগল্পকে আমি মাত্র তিন দিনে ৬ ফর্মার
অন্ধকারের ও কী নিজস্ব কোনো আলো থাকে? কেন জানতে চাইছি?
বলছি, একটু পরেই।
এক লোড শেডিং এর রাত। মফঃস্বল শহরের ছোট্ট একটা প্ল্যাটফর্ম। শেষ ট্রেন দাঁড়ানো। অল্প কিছু যাত্রী ওয়েটিং রুমে। এদের বেশীরভাগই বরযাত্রী। মশার আক্রমন থেকে নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত সবাই। বিরক্ত,
অণুগল্প|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৬০ বার দেখা
| ২৫৯ শব্দ ১টি ছবি
এক শুদ্র কিছু কিছু লিখতে শিখেছিল। অবিরাম লিখেই যেত সে। তবে জাতে সব থেকে নিচু হওয়াতে উঁচুতলার মানুষেরা তার লেখা পড়ত ও না, কোথাও ছাপত ও না। একদিন চলার পথে এক ব্রাহ্মণ লেখককে ভুলবশত ছুঁয়ে দেয় শুদ্র। তাকে চিনতে পেরে ছিটকে সরে গিয়ে ব্রাহ্মণ
এক নারী তার কষ্ট গুলো শেয়ার করতে চাইলো শীতের কোনো এক মধ্যরাতে। যখন চারিধার নিশ্চুপনিঝুম নিমগ্ন সুখে! নৈশব্দের তীব্র একাকীত্ব মাঝে নিজের দেহের উষ্ণতা ধার দিতে চাইলো সে।
আমি দু’টার একটাও নিলাম না! শীতের রাতে যে নারীরা বোধের অবোধ্য অনুভবে উষ্ণতর সোপানে আরোহন করতে চায়,
বিমান বন্দর স্টেশন ছেড়ে ট্রেন খুলনা অভিমুখী। ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। সময়ের বুক থেকে বের হওয়া আরো অনেক কু-ঝিকঝিকের সাথে ট্রেনের গুলোও মিলায় বাতাসে শব্দ তরংগ।
যুবক ওরা চারজন। এক টেবিল মাঝে রেখে সামনাসামনি। টুয়েন্টি নাইন খেলছে।
দ্য_ফার্স্ট_কিস_অণুগল্প_গল্পগ্রন্থ_ছায়াসঙ্গী
এক মেয়ে আর এক ছেলের সাথে কঠিন সম্পর্ক ছিলো। ১৪ বছর আগে তাদের কিভাবে যেন বিচ্ছেদ হয়ে যায়। একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ছিলো। পারিবারিক, সামাজিক আজ তার স্মরণের কিছু প্রয়োজন নাই।
১৪ বছর পরে মেয়েটার ক্লাসমেটদের মধ্যে একজনের সাথে এই ছেলেটা ওই মেয়েটার
(অণুগল্প)
রঙীন সোয়েটার-টুপি পরা বাচ্চাগুলো বাবা-মায়ের হাত ধরে হাসতে হাসতে মাঠে ঘুরছে। রঙীন ছবির বইগুলো পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখছে, বই কিনছে। গেটের বাইরে থেকেই এঁটো প্লেটগুলো ধুতে ধুতে হাঁ করে দেখছে পুষ্প। বইমেলার বাইরে বাবা ঘুঘনি বিক্রি করছে, পুষ্পকে সাথে এনেছে বাসন ধোয়ার জন্য।
বাবা কিছুক্ষণ লড়াইটার মাঝখানে বসে রইলেন। এক সময় চাপা গলায় বললেন,
– অসম্ভব!
কর্তা পুরুষ নিজের অজান্তে ঘোষনা দিয়ে ফেললেন। বিদ্রোহ সইবেন না।
কেউ জিজ্ঞেস করল না কি অসম্ভব। সবাই বুঝতে পারছিল, একসাথে থাকা অসম্ভব। মা আসলেই রুপার জেদ