বিষয়টা কাকতালীয় কিনা মুহিতের জানা নেই। এই সপ্তাহে আজ নিয়ে তিনদিন সে দিনের কিছুটা সময় বাসায় একা থেকেছে; যা সচরাচর ঘটেনা এবং বেছে বেছে এই তিন দিনই ঠিক একা থাকাকালীন সময়ে সামিয়া বাসায় এসেছে। প্রথম দুদিন মুহিত তাকে দরজার ওপার থেকে বিদায় করে দিয়েছিল।
সবাই অফিস থেকে চলে গেছে। আমি একাই আছি। কোথায় যাবো? গেলে তো সেই ১০ ফুট বাই ৮ ফুট, ৬ দিনের অস্থায়ী জেলখানায় যেতে হবে। সপ্তাহের ১ দিন যা ও বা ছুটি পাই; সারাদিন শুধু ঘুমাতেই ইচ্ছে করে।
কিন্তু বাসার সবাই তো চায় তাদেরকে নিয়ে কোথাও
তিনি চায়ের কাপটা হাতে নিয়েছেন মাত্র; মন্ত্রী মহোদয় কক্ষে প্রবেশ করলেন। আগুন্তক খুব সংক্ষেপে তার পরিচয় দিলেন।
-একটা এ্যাপিল নিয়ে এসেছি ইয়োর এক্সেলেন্সি, আমপাতি যাবো
-কেন জনাব?
-এক মহিয়সী থাকেন; তাঁকে সালাম জানাতে।
একাত্তুরের শরণার্থীদেরকে যখন কেউ আশ্রয় দিতে সাহস পাচ্ছিলোনা; স্বয়ং ঈশ্বর যেন তার কন্যাকে দনু নদির
ছোট গল্প – পাপীর সাজা
===============
তুমিই ছিলে আমার প্রথম সিড়ি, যে সিড়ি বেয়ে আমি রঙীন স্বপ্ন দেখেছিলাম পৃথিবীর। আজও তুমিই হলে আমার পরবর্তী সিড়ি, যে সিড়ি বেয়ে আজ আমি প্রতিষ্ঠিত। আজ কী নেই আমার, অর্থ, যশ, খ্যাতি, সম্পত্তি, গাড়ি বাড়ি; সবই
গাড়িতে উঠে বসেছি মাত্র; মিষ্টি হেসে মেয়েটি কাছে এলো
-কিছুক্ষণ আগে আপনার সাথেই কি ফোনে কথা বলেছি?
-আপনার ভুল হচ্ছে; মৃদু হেসে জবাব দিলাম
-ও আচ্ছা
কথা না বাড়িয়ে সে একটু দূরে সরে কারো জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। বয়স তিরিশ বত্রিশ হবে। স্বাভাবিক সাজসজ্জা। হাবেভাবে বেশ রুচির
অতঃপর ভগবান মর্ত্যলোকের হিসাবে ৭৪ বছর পরে রবীন্দ্রনাথের একদিনের ছুটি মঞ্জুর করিলেন। রবীন্দ্রনাথ প্রথমবারের মত নিজের জন্মদিন উদযাপন দেখিতে ধরায় আগমন করিবার সুযোগ পাইলেন। ধরায় যাত্রার প্রাক্কালে চিত্রগুপ্ত একখানা তালিকা হাতে ধরাইয়া দিয়া কহিলেন, ‘কবি, এই তালিকার অনুষ্ঠানসমূহ কোনক্রমেই মিস করিওনা।’
নিজ জন্ম উৎসব উপভোগ
ছায়া ৩
বেরিয়ে অবাক। মা শুয়ে আছে মেঝেতে। বউ রাখী আরেকদিকে। কি হলো? মা’র শরীর খারাপ? কিন্তু একি সিঁড়ি দিয়ে পিলপিল করে এত লোক উঠে আসছে কেন? মুহূর্তে বারান্দাটা ভর্তি হয়ে সুজনের চোখের আড়ালে চলে গেল মা আর রাখী। ব্যস্ত হয়ে সামনে এগিয়ে গেল সে।
চির সৌন্দর্যের কবি জন কিটস বলেছেন:
‘Anything of beauty is always fun:
Its beauty increases;
This is never lost in void ‘
যে সৌন্দর্য ভাল না বাসে, হয় তার রুচিতে সমস্যা আছে কিংবা হয়তো জীবনে সে কখনো সৌন্দর্য দেখেনি। সৌন্দর্যের প্রতি ভাল লাগা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। একজন মানুষের
প্রচণ্ড বরষায় ভিজে ভিজে সাইডব্যাগটিকে সামলে যখন বাসটির নির্ধারিত আসনে বসে শিহাব, বামপাশের জানালা দিয়ে বাইরে তাকানো পাশের সহযাত্রী বৃষ্টিবিলাসী মনে গভীর তন্ময়তায় মৌণ-বিভোর! পাশে কারো উপস্থিতিতে ঘোর থেকে জেগে ওঠে নারী হাজার বছরের রহস্যময়ী কালের সোপান বেয়ে ধেয়ে
অণুগল্প|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯০০ বার দেখা
| ১০৯১ শব্দ ১টি ছবি
ছায়া ২
আর আজকেই যত বাঁধা পরপর আসছে। ফ্যাক্টরী থেকে বেরোনোর সময়ে ঝামেলা। সেকশন ইনচার্জ দেখতে পেয়ে পাক্কা পনের মিনিট পরের দিনের কাজ বোঝালেন। বেরিয়ে রিটায়ার্ড বোসবাবুর সঙ্গে দেখা। কারো কথাই না শুনে নিজেই বকে যান। কোনোক্রমে পাশ কাটিয়ে স্টপেজে এসে বাস নেই। বেশ কিছুক্ষণ
ছায়া
ছোট্ট একটা ইঁটের টুকরো পায়ে লেগে ছিটকে পাশের দেওয়ালে লাগলো। ঠিক ছোটবেলায় লাথি মেরে ফুটবলের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত। একটা ছায়া স্যাঁত করে সরে গেল। মনে মনে হাসলো সুজন। অন্যরা হলে এতক্ষণে ভয়ে হাত পা পেটের মধ্যে সেঁদিয়ে ফেলতো। মনের ভেতরে থাকা হাসিটা