‘২টা মাঝারি সাইজের বুদ্ধিজীবি বিক্রয় করা হবে। ঘাড়ের হাড্ডি নরম, সহজেই সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। মেরুদণ্ড ফ্লেক্সিবল। হাতের রেখা মুছে গেছে। দীর্ঘদিন পাম ওয়েল বিক্রি এবং ম্যাসেজ পার্লারে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’ বুদ্ধিজীবী দু’জন বিমর্ষ দৃষ্টিতে বিজ্ঞাপনটির দিকে তাকিয়ে আছেন। দেশের জনপ্রিয় দৈনিক
এই শহরে কেউ কথা বলেনা, তবু সব কথা ছড়িয়ে যায় কানে কানে।
মন্ত্রী পরিষদ জিরাফের দামে খরগোশ কেনার সিদ্ধান্ত নিতেই রাজ্য জুড়ে হুহু হাওয়া বয়ে যায় –‘চুপ চুপ চুপ বিনে পয়সায় তো আর কিনেনি চুপ চুপ চুপ খরগোশ বড় হলেই জিরাফ হয়।’ হাওয়া জানে এই
প্রতীকি ছবি
মিনিট দশেক অপেক্ষা করে বাস পেলাম। বাসে উঠতে না উঠতেই দুজন দীর্ঘদেহী মানবের বাঁধায় থমকে গেলাম; পথ আটকে দাঁড়িয়েছিলেন। দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। পরের স্টপে আরও কয়েকজন বাসে উঠছে দেখে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু না, সেই দীর্ঘদেহী
“বুঝলে, দিনে দুটো খেতাম, আজ থেকে একেবারেই ছেড়ে দিলাম” বলে বাবা ম্যাচটা মা’র হাতে ফিরিয়ে দিলেন। মা বহুবার বাবাকে সিগারেট ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন, বাবা ছাড়েন নাই। তবে বাবা শোভনের সামনে সিগারেট খায় না। বাবার শার্টে গন্ধ
অণুগল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৭ বার দেখা
| ১২৯৬ শব্দ ১টি ছবি
এক ছিলো টোনা আর এক ছিলো টুনি। একদিন টোনা টুনিকে বললো,
– টুনি, ও টুনিইই
টুনি হাই তুললো,
– হ্যা, বলো।
– আমার খুব ভাপা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। খুব ইচ্ছে করছে।
টুনি চোখ পাকিয়ে বললো,
– তোমার কি খেতে ইচ্ছে করছে!
– পিঠা,
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৬ বার দেখা
| ৯০৫ শব্দ ১টি ছবি
সাত
সকাল থেকে এই নিয়ে চার নম্বর ভিখারি। পেট ডুগ্রে গলা সরু একটা ন্যাংটো বাচ্চা কোলে তার মা এসে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চাটার দু’নাক দিয়ে মোটা হলদে সিক্নি। মাঝেমাঝে নাক টানলে বেরিয়ে পড়ছে সিক্নির নীচে দুটো লম্বা লাল ঘায়ের দাগ।
প্রতিবার রান্নার চাল নেওয়ার পর হাঁড়ি থেকে
ছেলেটি ভারি বিরক্ত করছে। মা কিছুতেই সুস্থ মনে রান্না করতে পারছেন না। কখনও ভাঁড়ারের সবজি ছড়াচ্ছে তো কখনও আবার কলসীর জলের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে জল ছেটাচ্ছে ৷পরক্ষণে আবার মায়ের আঁচল ধরে টানাটানি করছে ৷
– কী চাস বলতো? আমাকে রান্না করতে দিবি না
স্পর্শিয়া আজ স্কুলে যাবে না। কাল ডিনার করতে করতে বাবা বললেন,
– আগামী দু’দিন স্কুলে যাবার দরকার নেই। আমি তাবাসসুম মিসকে জানিয়ে দেবো।
যোগি সোসাইটির শিশুরা স্কুলে ফাঁকি দেয় না, স্কুল ফাঁকিও দেয় না। ঝড় হোক, ঝঞ্ঝা হোক, হরতাল হোক, বৃষ্টি বা প্লাবন হোক
এখন পড়ন্ত বিকাল। ছাদের বাগানে একা একা বসে আছে আকিব। সে পুরাতন ঢাকার একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ভালো ছাত্র হিসাবে তার সুখ্যাতি আছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, আকিবের আই কিউ অনেক বেশি। ক্লাসে টিচার যখন পড়ান, তখন সে
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৪ বার দেখা
| ৫৭১ শব্দ ১টি ছবি
বেশ কিছু রহস্যের গল্প পড়ে
এক সময় নিজেকে গোয়েন্দা ভাবতে শুরু করলাম,
ভাববোই না বা কেন
যেথায় যাই যেখানেই বসি একই কথা –
ভাই আজ চরম শ্বাসরুদ্ধকর একটা গল্প শুনাতে হবে,
কাল অমুকের বাড়িতে অবাক এক কাণ্ড ঘটেছে
চলো না যদি রহস্যের কিনারা করতে পারো!
আর
অণুগল্প|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮০৬ বার দেখা
| ৩২৮ শব্দ ১টি ছবি
এক সময় ষষ্ঠ শ্রেণীর উপরে অধ্যয়ণরত প্রতিটি ছাত্রেরই
লজিং অথবা বোডিং -এ থেকে লেখাপড়া করার সুবাদে
নিজেস্ব ট্রাঙ্ক থাকতো।
তখন আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র।
তাই —
ক’দিন থেকেই চলতে ফিরতে মনে হচ্ছিল
সব সময় কে যেন আমাকে ফলো করে।
কখনো ডানে কখনো বামে আবার কখনো পিছে
অনিমেষ পাল নৌকার মাস্তুলে পাল খাটাবার কাজ করে, তার কাজ এটুকুই। এর পর ছইয়ের ভিতর ঘুম। অনিমেষ যদি ঘুম জমাত; তাহলে ব্যাংকের কোন ভোল্টে জায়গা হত না। ইদানীং অনিমেষ ঘুমোতে পারছে না, ঘন্টার পর ঘন্টা অসল বসে থাকছে। দুই চোখ বুজে দেখেছে কিন্তু ঘুম
উজাড় বাড়ি আসলে উজাড় নয়। একটা সময় গভীর জংগলে ছাওয়া ছিল। এই বাড়ির নাম শোনামাত্রই এখনও মানুষের গা ছমছম করে। যদিও আগের মতোন ঝোপ-ঝাড় এখন আর নেই। তবে এখনো যে পরিমাণ গাছগাছালি আছে, তাও একেবারে কম
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৫ বার দেখা
| ৫৯৪ শব্দ ১টি ছবি