“কোন অমরার বিরহিনীরে চাহনি ফিরে
কার বিষাদের শিশিরনীরে এলে নাহিয়া”
নিঃসঙ্গ শীতে কুয়াশায় খোলা ছাদে শিহাব একা। শুনছে এক প্রেমিক পুরুষের হৃদয় নিঙ্গড়ানো প্রেম-নির্যাস! সেই সাথে নিজের স্ট্যাটাস আপডেট করছে
“আমি গত ঊনিশটি বছর এক নিভৃত জীবনযাপন করে চলেছি। প্রথমে এক নামানুষে পরিণত
‘অনেক প্রহর নিঃসঙ্গ
সাঁওতালি গানের সুরে,
কাটিয়ে দিলাম তোমায় ভেবে
ঝাউ মহুয়ার বনে’
– তপনের মায়াবী কন্ঠের সুরলহরী ভেসে চলেছে বদ্ধ কেবিনের যান্ত্রিক শীতল বাতাসে। এখন লাঞ্চ টাইম। খেতে ইচ্ছে করছে না। কি মনে করে গান শুনতে ইচ্ছে হল।
এই তুমিটা কে?
যাকে উদ্দেশ্য করে
ঘোর কুয়াশায় ঢাকা সকাল। মনে হচ্ছে ভোর। আসলে সোয়া আটটা। ভার্সিটির নির্জন কাটাপাহাড়ের ভিতর দিয়ে এগোচ্ছিলো হীরক আর তৃণা। সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকেই একে অন্যের ছায়ার মত। দুই বন্ধু, দুজন প্রেমিক-প্রেমিকা। দু’জন ভারী শীতের কাপড় আর ঘন কুয়াশার আড়ালে দুটো
ল্যাপটপ ভাজ করে একটু দূরে সরিয়ে রেখে সুবোধ বরুয়া টিভি অন করলো। একটা চব্বিশ ঘণ্টা খবরের চ্যানেল। ওটার এক সিনিয়র রিপোর্টার ঢাকা থেকে উখিয়ায় গিয়ে কাজ করছে। সাথে এক তরুণী; সে স্থানীয় প্রতিনিধি। তরুণীটি রাখাইন বাংলা জানে। একজন রোহিঙ্গা বালকের সব হারানোর কাহিনি তারা
দ্য_ফরবিডেন_সিটি
এক নিষিদ্ধ নগরীতে বসে এক নিষিদ্ধ সময়ে এই অণুগল্পটি লিখেছিলাম।
অনেক অনেক বছর আগে, শেষবার যখন আমরা দু’জন পাশাপাশি ছিলাম, ওর মাংসল বুক থেকে বরুনার মতো আতরের গন্ধ বের হয়েছিলো।
অনেকগুলি বছর পার হয়ে আজ সে পুরাদস্তুর কেবলি একজন মহিলা, অন্য কারো।
আজও
অফিসে হারুন সাহেব প্রতিদিনই দুপুরের চা শিহাবের সাথে খেতে আসেন ওর ডেস্কে। আদা দিয়ে লাল চা। আজ আবার আবহাওয়াটা ও সেরাম। মানে আদা চা’র জন্য আরকি।
যথাসময়ে তিনি হাজির। চা খেতে খেতে হালকা কথা বার্তা তো হতেই পারে। আজো হচ্ছে। তবে
বালকগুলি মহিলাটার পেছনে পেছনে এমন ভাবে হাঁটছিল যে মনে হচ্ছিল, ওরা হ্যামিলনের এক মহিলা বাঁশীওলাকে অনুসরণ করছে। ওদের হৈ হল্লোর শুনে মোত্তালেব মিয়া এক পলক তাকিয়ে আবার কাজে মন দেয়। মূল রাস্তা থেকে পঞ্চাশ ষাট গজ দূরে মাঠে সে নিড়ানির কাজ করছিল। কি জানি
[আসুন, আজ একজন চোরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই আপনাদের। গল্পটি রি-পোষ্ট।। ]
অন্ধকারের ও কী নিজস্ব কোনো আলো থাকে? কেন জানতে চাইছি?
বলছি, একটু পরেই।
এক লোড শেডিং এর রাত। মফঃস্বল শহরের ছোট্ট একটা প্ল্যাটফর্ম। শেষ ট্রেন দাঁড়ানো। অল্প কিছু যাত্রী ওয়েটিং
অনেক সময় নিজেকে চেনা যায় না। শিহাবের প্রায়ই এমন অনুভব হয়। বিস্মরণ! আত্মবিসর্জন? প্রশ্ন হল স্বেচ্ছায় না মনের ভুলে এমনটি হয়।
‘কখনো কি নিজেকে চিনতে চেয়েছ তুমি?’
উত্তর দেয়াটা হয়না সেভাবে। কারণ চায়নি তো সে কখনো। নিজেকে চিনতে। মুখ যা বলে, মন
পারিবারিক ডাক্তারের চেম্বার থেকে ফেরে কণা। রিপোর্ট হাতে নিজেদের রুমে ঢুকে দেখে, শাহেদ খবরের কাগজ পড়ছে।
নিরবে শাহেদের দিকে বাড়িয়ে দেয় রিপোর্ট কার্ড। শাহেদ হাতে নেয়। খবরের কাগজ নিচে অলস পড়ে রয়। মনযোগ দিয়ে পড়ে। শেষ হতেই একজন বাবা কণার দিকে
পাতা ঝরার দিন।
ঝরছে হলুদ পাতারা মুষলধারে। গাছগুলো কেমন নেংটো হয়ে আছে। রুপার সেদিকে তাকালে কেন জানি লজ্জা লাগছে। তারপরও ‘নেংটো’ এই শব্দটা ওর বোধের আরো গভীর থেকে ওকে কেন জানি এক চৌম্বকীয় আবেশে তড়িতাহত করে তুলতে চাইছে।
হঠাৎ শিহাবের কথা মনে
এক সময় আলাদা কেউ মনে হতো শাহেদকে আমার কাছে। মাত্র কয়েকটা বছর আগে। বিয়ের পর কত সুখী হয়েছিলাম আমরা একে অন্যকে পেয়ে! সংসার নামের বন্ধুর পথটিকে এতটুকু ভয়ের মনে হয়নি আমার কাছে। পথ হারানোর দুশ্চিন্তা হয়নি। দূরত্ব হবে দু’জনের ভিতর