ধারাবাহিক গল্পঃ তিনি একজন মফস্বল সাংবাদিক // পর্বঃ ৩।। মাঝে মাঝে আমাকে শয়তানে টোকা দেয়। অবশ্য হাত দিয়ে শরীরে না, ব্রেইনে আমার। একজন মফস্বল সাংবাদিক হবার আগে থেকেই টুকটাক লেখালেখি করে আসছিলাম। একটা প্লট নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছিলাম। সেখানের মূল চরিত্রটি ছিল

লিখতে লিখতে আজ এই গল্পটির সাথে আমার ৫০০তম অণুগল্পটিও লেখা হয়ে গেলো। ‘মামুনের এক হাজার অণুগল্প’ নামে একটি বিশাল গল্পগ্রন্থের জন্য টার্গেট করেছিলাম ২০১৮ ইং সালটিকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হলাম। এক হাজার পূর্ণ হলো না, অর্ধেক হলো। যাইহোক, গল্পগ্রন্থটি

শুক্রবার, ডিসেম্বর একুশ। আমি পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত একটি গ্রুপের স্টোরটা দেখে থাকি। আমি ‘ম্যানেজার’ নই। সামান্য একজন ‘সিনিয়র অফিসার’। এটা না বলে ‘উর্ধতন কর্মকর্তা ‘ বললে কি একটু ভালো শুনায়? অনেকেরই তো অন্য আরো কিছুর মত, শোনার ব্যাপারেও ‘এলার্জি’

বন্ধ পেলেই ঘুরে বেড়ানো শিহাবের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। দিনভর। আজ যেমন গেলো জাহাংগীরনগর ভার্সিটিতে। রঙ বে-রঙ এর পোশাকধারী নারী পুরুষ। রঙ কি শুধুই পরিচ্ছদে! মনে নয়? মন যাদের অন্য মনের কয়েদী, তাদের কথা বাদ। মুক্ত মনওয়ালাদের কথাই ভাবছে সে। কলতানের সামনের রাস্তাটি

নিজেদের আঠারোতম বিবাহ বার্ষিকী কিভাবে উদযাপন করবে, ভেবে ভেবে দিশেহারা শিহাব। আগামি কাল অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে। আজ ঘন্টা দুই বাকি থাকতেই বাসায় চলে এলো। কণাকে বেশ সারপ্রাইজ দেয়া যাবে। নিজের ফ্ল্যাটে উঠার সময় সিঁড়ি দরোজায় একটু থামে। ঠোটের কোণে

একটা সময় আমার নাকটা নিয়ে আমার নিজেরই অভিযোগের অন্ত ছিল না। আয়নায় দেখে, ছবি তুলে কিংবা শান্ত পুকুরে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে কত কষ্ট পেয়েছি। বন্ধুরা ও বলতো, ‘তোর নাকটা বেশী লম্বা রে’।
বাসায় এসে আম্মাকে বলতাম, কেন আমার নাকটা এতো

[অণুগল্প লিখতে লিখতে এখন আর টানা পড়ে যাবার মত বড় গল্প লিখতে পারিনা। আর না পারতে পারতে লেখার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছি। নিচের গল্পটি অনেক আগের লেখা আমার। আবারও শেয়ার করলাম। ] ১
পাহাড়ের (আসলে মাটির টিলা) যেখানটিতে আমি বসে

{}
নতুন বছরে বাবার দেয়া নতুন ডাইরি খুলে প্রথম পাতায় বাবার লেখাগুলো পড়ে ফোরে পড়ুয়া বাবুটার ছোট্ট হৃদয়ের বাবু চিন্তাগুলো এলোমেলো ধাপ হেলায় অতিক্রম করে তাকে হাসায়! ‘বাবাটা যে কি! ডাইরিতে পড়ালেখার কথা না লিখে গল্প- কবিতা লিখতে বলেছে তাও লাল

মেয়েটি আজও রিক্সা থেকে নেমে এল, বাতাসে ছিল ভেজা কদমের মৃদু মাতাল গন্ধ! সে মনে মনে ভাবল, ‘মানব মন বড়ই বিচিত্র অনেক কিছুই সেখানে থাকতে পারে, যা আমরা বাইরে থেকে বুঝি না।’ এই জায়গায় কী রয়েছে তা একমাত্র সে নিজেই জানে,

প্রায় দুই যুগ ধরে আমি একা পথ চলতে পারি না। নিঃসংগ পথ চলায় আমার আনন্দ নেই। আর ফেলে আসা যে সময়ের কথা বললাম, তখন বউয়ের হাত ধরে হাঁটার তীব্র আনন্দ রোগে ভুগছিলাম আমি। যদিও এই রোগটি দান করে বিরল সুখের অনুভব,

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিনোদন! ফরম পূরণে ব্যর্থতায় মনোনয়ন ফরম বাতিল। উত্তাল যোগাযোগ মাধ্যম। এ নিয়ে পোষ্টের ছড়াছড়ি। গণনা মাধ্যমগুলিও পিছিয়ে নেই এসংক্রান্ত খবর প্রকাশে। ক্ষমতাসীন সমর্থকদের হাসিমুখের মন্তব্য, ‘সঠিকভাবে পূরণে ব্যর্থ! এরাই ভবিষ্যৎ আইনপ্রণেতা? হাস্যকর ভুল, পড়তে জানেনা নাকি?’ বিরোধীদের ভ্রুকুঁঞ্চিত

ফজরের আজান শেষ। চোখ খোলে কণা। ডানে তাকায়। দেখে, শিহাব নেই। শূণ্য বিছানা। তারপরও ছুঁয়ে দেয়। শিহাবের জায়গাটায়। বেশ উষ্ণ। এইমাত্র উঠল বোধহয়। সময় কেটে যায়… পূবের জানালায়। কারও ছায়া পড়ে। সেদিকে তাকায়। ভেজা চুলের শিহাব। চা’র কাপ হাতে। জগিং শেষ। আজকাল

পশ্চিম আকাশ লাল। আবির ছড়ানো আয়তাকার কোমল ‘দৃষ্টিসুখপ্রদ’ ডিসপ্লে’ (Display)। নির্ণিমেশ সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকা যায়, এরকম এক সময়ে বিশাল ‘সেন্ট্রাল ফিল্ডের’ এক টুকরা সবুজে বসে আছে সে। একা। কথা বলছে। একার সাথে একা। প্রকৃতির এই সময়ের ‘কালার কম্বিনেশন’টা কেমন ‘হ্যালুসিনেটেড’!

শাহেদ তুড়ির সাথে হাতের সিগ্রেটের ছাই ফিল্মী কায়দায় ফেলে দিয়ে একবুক ধোঁয়া টেনে নেয়। এরপর স্মার্ট ভঙ্গিতে ধোঁয়ার রিং বানিয়ে শূন্যে ছেড়ে দিতে থাকে। মুগ্ধ হয়ে মিলি রিংগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলো। শেষে শাহেদের আরো কাছে এসে বলে,
– দারুণ জিনিস তো শাহেদ

ন’টার রঙ চা’র আসরে হারুন সাহেব হেসে হেসে ওনার ডিপার্টমেন্টের বসকে বলেন, ‘রিফাত সাহেবের উইকেট পড়ে গেছে গতকাল, শুনেছেন আপনি, স্যার?’ ঠোঁটের স্পর্শ দূরত্ব অতিক্রম করবে করবে চা’র কাপ, বিস্ময়ে থেমে গিয়ে বস উত্তর দেন অধীনস্থকে,
– গতকাল ৫টার আগেই বেরিয়ে গেছি