বিবর্ণ নিঃসঙ্গতায় সম্পর্কটা মিলির সাথে যেদিন ভেঙ্গে গেলো, সেদিনও হলুদ পাতারা ঝরে পড়ছিলো। একপশলা বৃষ্টি অসময়ে সামনের সব কিছু দৃষ্টিতে ‘স্লিপি’ এবং বড্ড চকচকে করে দিয়ে গেলো। দূরের গাছ তিনটি ছাড়িয়ে আরো দূরের ঝাপসা সবুজের পানে চেয়ে থাকা যুবকটির হৃদয় চিরে যাচ্ছিল

বুদ্ধিমান কৃপণ জামাই ও শ্বাশুড়ির গল্প এক বুদ্ধিমান কৃপণ জামাই যাবে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুরবাড়ি যেতে হলে হাতে করে কিছু-না-কিছু নিতেই হয়। না নিলে আর মানসম্মান বলতে কিছুই থাকে না। এই নিয়মটা ধনী গরিব সবার জন্যই প্রযোজ্য। তাই বুদ্ধিমান কৃপণ

অণুগল্পঃ শুধু পটে লিখা ‘কাল রাতের বেলা গান এলো মোর মনে
তখন তুমি ছিলে নাতো ছিলে না
তখন তুমি ছিলে না মোর সনে’* গানটি বেজে উঠতেই, দশ দিক থেকে আবেগ মিতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দখল নেয়। বাইরে ঝড় তুমুল বৃষ্টি টিনের চালে ঝমঝম

কিছু কিছু অণুগল্প গল্পকারের বিশেষ কিছু অণুমুহুর্তের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। নিজের থেকে নিজেকে বেশী আর কে চিনে? নিজের অনুভব কে তো আর গল্পকারের কল্পনা থেকে নেয়া লাগে না এরকম একটি অণুগল্প ‘এ কোন আমি’ আমার টানা গোলাম জীবনে এমনই এক

মায়াবী কোমল আদর নিজের টাইমলাইন একান্ত নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করার একটা শক্তিশালী প্ল্যাটফরম। কিন্তু গল্প লিখতে লিখতে নিজের কথাই বলা হয়ে উঠে না। আমি মিস করি আমার ছোট ভাইকে। ইমিডিয়েট ছোট ভাই। আমার জীবনের অধিকাংশ সময় ওর সাথে কেটেছে। সেই ছেলেবেলা

মদভাই ‘মদিরা বার এন্ড রেষ্টুরেন্ট’- ঐতিহ্যবাহী অভিজাত বার। বিকাল তিনিটায় খুলে। পাঁচটায় জমে ওঠে। সন্ধ্যায় বসার জায়গা পাওয়া কঠিন। এই বারে নিয়মিত কাষ্টমার অনেক। তারা সকলেই অনন্য। তারা না আসা পর্যন্ত ম্যানেজার চেয়ারগুলো খালি রাখেন। আজ চার টেবিলের আখ্যান শোনাই। ডান পাশের

সোনার অক্ষরে লেখা আমি একজনকে কথা দিয়েছিলাম, এই ভবনটিকে ঘিরে একজন বালকের দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর আগের ঝাঁপসা হয়ে আসা স্মৃতির করিডোর থেকে কিছু মুক্তো এনে দেবো। কিন্তু সেখানে সময়ের বুকে বিবর্ণ মুক্তোর সাথে সাথে কিছু কর্কশ নুড়ি অনুভবে বড্ড ধারালো

কাছে থাকায়ই সুখ? দস্যুরাণী সিনেমাটি দেখে ছেলেবেলায় শাবানাকে বিয়ে করব ভেবেছিলাম। খুলনার বৈকালি সিনেমা হলে বন্ধু শফিককে সাথে নিয়ে থার্ড ক্লাশে দেখেছিলাম কয়েকবার। পঁচাত্তুর পয়সা টিকেট ছিল এক একজনের! একটু বড় হলাম, সুবর্ণা মোস্তফাকে ভালোবাসলাম নাটক ‘সংশপ্তক’ দেখার সময়ে। আর কিছুকাল

মামুনের অণুগল্পঃ শেষ পাতা প্রচণ্ড শীত। উত্তুরে বাতাস কিছুক্ষণ পর পর দিকভ্রান্ত হয়ে চারদিক থেকে হীমেল পরশ নিয়ে সেনাবাহিনীর মত জনজীবনে ঝাপিয়ে পড়ছে। কাঁপতে কাঁপতে আমান নিজের মেসে ঢুকে। এতো উপরে বাতাসের আক্রমন হাড়েও কাঁপন ধরিয়ে দেয়। মনের ভেতরটা বাইরের শীতল পরিবেশ

সায়নি সায়নিকে হঠাৎই সেদিন শুনতে হলো – “কেত মেরে সেলফি পাবলিক পোস্টাবি আবার পাবলিক এডমায়ার করলেও দোষ”। অবাক হয়ে গেলো সায়নি। আবারও যখন পম্পা বলে উঠলো – “আরে আকর্ষণের গ্রাফ নামছে না উঠছে এটা জানতে হবে তো”। সেদিন অপমানে সারা তার

দ্য ট্রেইল বাবার হেঁটে চলা এই রাস্তাটা তখন ইটের সলিং বিছানো ছিল। এই রাস্তায় আমি তিন চাকার বেয়ারিং গাড়িতে চড়ে দুরন্তপনায় মেতেছি, মার্বেল দিয়ে আংটি মাইর খেলেছি বন্ধুদের সাথে। বৃষ্টিতে ভিজেছি-রোদে পুড়েছি, কালো হয়েছি। মনটা সাদা ছিল তখন অবশ্য। রাস্তাটির সাথেই একটা

মনে আছে, পড়ন্ত বিকেলে, চুপিসারে ক্যামেরা বন্দী করেছিলাম তোমাকে!
বলেছিলাম, সাদামাটা সাজে তুমি সত্যিই সুন্দর আর জানোই তো- আমার কাছে সাদামাটা মানে “দু’মুঠো ভাত, আলুভর্তা আর দুটো কাঁচামরিচ” তুমি বলেছিলে, এ আবার কেমন উপমা! আমি বলেছিলাম, লোক দেখানো অপূর্ব কথা আর মেয়ে পটানো ছন্দগাথা একঘেয়ে বড্ড
আমার

ঈশ্বর সর্বাগ্রে মানুষ বানিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং মানুষের সুন্দর জীবনযাপনের নির্দেশীকা হিসেবে ধর্মকে মানুষের পিছনে রেখেছেন। কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মকে সামনে নিয়ে এসে মানুষকে পিছনে ফেলে দেয়! এই পৃথিবীতে যত মসজিদ-মন্দির-গীর্জা বা যে কোনো ধরণের উপাসনালয়ের প্রতি আমার

হঠাৎ পলাশ একটা গোলাপ কিনে ফেলল। ঘরে ফিরে বিহনীর হাতে দিয়ে বলল – আই লাভ ইউ।
বিহনী দাঁড়িয়ে পড়ল আর গোলাপ হাতে নিয়ে কিছুটা অবাক সুরে হেসে উত্তর দিল – আই লাভ ইউ টুউ।
তারপর আশ্লেষে পলাশ বিহনীকে জড়িয়ে ধরল। হাসি মুখে দুজন দুজনের দিকে তাকাল।

আমার এক পেতিন্যি বন্ধু ছিলো! চাটগাঁর বন্ধুরা!
শব্দটা পরিচিত না?
তবে বন্ধুর ‘অরিজিন’ চাটগাঁয়ের না। দেশের অন্য আরেক জেলায়। মায়ের দিক থেকে খুলনায় তাঁর জন্ম বসবাস শেষ ও। ভদ্দরলোকদেরকে সে পেতিন্যি বলতো। শেষে বন্ধুমহলে এই নামই হয়ে গেলো ওর। আসল নামটা জানার প্রয়োজন