আমার ছিল একটা নদী
থৈ থৈ তার বুকে –
ভাসিয়ে দিতাম কল্প-পালে
স্বপ্ন-ডিঙা সুখে।
সেই নদীর আজ মন মজেছে
লোভের পলি জমে-
বুকের উপর দুখের পানা
বাড়ছে ক্রমে ক্রমে।
শীর্ণ দেহের দীর্ণ বুকের
সেই নদীমনটাকে-
স্বপ্নে শুধু ডাগর আশার
সাগর হৃদয় ডাকে।
অবিশ্বাসের ভয়
: ভুতে বিশ্বাস করো?
: নাহ, ভুতে বিশ্বাস করিনা। এক্কেবারে না।
: তবে যে ভুতকে ভয় পাও!
আসাদ কাকা তিনবার শাদা দাঁড়িতে আঙুল বুলালেন। এক চুমুকে অর্ধেক গ্লাস পানি খেলেন, এরপর একটা হাই তুলে বললেন-
: বিশ্বাস করিনা বলেই তো ভয় পাই রে, বাবা।
একটু কেশে নিয়ে তিনি
শান্তি নাই
‘সন্ধ্যা হয়—চারিদিকে শান্ত নীরবতা ;
খড় মুখে নিয়ে এক শালিখ
যেতেছে উড়ে চুপে ;
গোরুর গাড়িটি যায় মেঠো পথ
বেয়ে ধীরে ধীরে;
আঙিনা ভরিয়া আছে সোনালি খড়ের ঘন স্তূপে ;
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে;
পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;
পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের
ঋণশোধের এওয়ার্ড!
সংবাদপত্রের অফিসে চাকরি করি। প্রতিদিনই অফিস থেকে বের হতে রাত গভীর হয়ে যায়। বাসের জন্য বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তবে সুবিধে হলো বাস প্রায় ফাঁকা থাকে আর রাস্তাও ফাঁকা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হতে হয় না। আজ কিছুটা ব্যতিক্রম- মাঝরাতেও আগারগাঁও থেকেই যানজটের শুরু।
যানজটের
ভালবাসার গল্প-১
ভালবাসার গল্প শুরু হয়েছিল আজ থেকে বহু বছর আগে ২৬৯ খ্রীষ্টাব্দে। রোমের চিকিৎসক তখন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পেল নগর জেলারের একমাত্র কন্যা। দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার পর সে দেখতে পেল পৃথিবী কত সুন্দর,
মিছে প্রণয় ( পর্ব ২ )
আজ সকালে আধ ঘন্টা যাবত গলায় ফাঁসী দেবে বলে সিলিং ফ্যানে ওড়না আটকানোর চেষ্টা করছিল জয়িতা কিন্তু সে পারছেনা। কখনও সে ঠিক মতো ওড়নাটা ফ্যানের সাথে বাঁধতে পারছে না, কখনো বা তার মনে এতো
২৭/০৩/১৪
হাসিটা ঝুলে আছে লিজার ঠোঁটে।
ওরা আমাদের পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে।
কাল লিজার হইচই চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো।
কি হয়েছিল লিজা এমন হইচই করছিলে যে ?
জানতে চাইলাম –
ওর ঠোঁটের হাসিটা মুছে গেল –
এখন সে অনেকটা বরফ শীতল –
সে মাত্র বার বছর বয়েসী শ্যামলা
এই অণুগল্পটি শ্রেফ একটি নাম শুনেই অনেক আগে লিখেছিলাম। কেন জানি ‘হুমায়রা’ নামটি ভালো লেগেছিল, যেভাবে ‘শিহাব’ অনেক ভালো লাগা একটি নাম। এজন্যই আমার অনেক অণুগল্পে পুরুষ প্রধান চরিত্রে শিহাবের উপস্থিতি।
।। অণুগল্প : হুমায়রা ।।
পিচঢালা পথটিকে পিছনে ফেলে দীর্ঘকায়
অণুগল্পঃ প্রেম তো ছিল না ছিল শুধু প্রহসন!
_____________________________________________
একজন চিত্রশিল্পী ‘ন্যুড’ চিত্রকর্মকে যেভাবে নিজের দক্ষতায় অসাধারণ শিল্পকর্মে রুপ দিতে পারেন, একজন গল্পকারও অক্ষরের সাথে অক্ষরের পরিমিত মাত্রার মিলনে, আপন দক্ষতায় অনুভবের চাদর পরিয়ে, নগ্নতাকেও শিল্পে পরিণত করতে পারে। আমিও
।। ছোটগল্পঃ ইচ্ছেপূরণ ।।
নিজের ছোট্ট রুম থেকে বের হয়ে চারপাশটা দেখলেন। কিছুটা মুগ্ধ হয়েই। এরপর দরজায় তালা লাগালেন। প্রতিবারই এমন হয়। কিছুক্ষণ নীল আকাশ ও সাদা মেঘের উড়ে যাওয়া দেখে মনে মনে বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ!’
বহুদিনের অভ্যাস।
এখন আপনা আপনিই মন
শূণ্য
একটা পর্দা। দুটি দেহ। এক হতে চেয়েছিল অনেকের সাথে থেকেও। একজনের ভুলের কারণে বিচ্ছিন্ন হল। চাইলেই তাঁরা এক হতে পারে।
দূরত্বটা বেশী ছিল না। কিন্তু সংকোচ ওদের ভিতর এতোটা দুরত্ব এনে দিলো পর্দার আড়াল থেকেও অনেক অনেক দূরে সরে গেল তাঁরা।
“তেরোই জুলাই কথা দিয়েছিলে আসবে।
সেই মত আমি সাজিয়েছিলাম আকাশে
ব্যস্ত আলোর অজস্র নীল জোনাকি।
সেই মত আমি জানিয়েছিলাম নদীকে প্রস্তুত থেকো,
জলে যেন ছায়া না পড়ে মেঘ বা গাছের।
তেরোই জুলাই এলে না।
জ্বর হয়েছিল? বাড়িতে তো ছিল টেলিফোন
জানালে পারতে। থার্মোমিটার সাজতাম।
নীলিমাকে ছুঁয়ে পাখি