দেবদুতের স্পর্শ
Touched by an Angel
(by Maya Angelou) একাকীত্বের খোলসে লুকোনো আমাদের ভীরু মন
অপেক্ষা করে মহিমান্বিত ভালোবাসার আগমন
তার পুণ্য মন্দির থেকে আমাদের চোখের সামনে। ভালোবাসার সাথে জড়ানো থাকে অতীতের
বেদনা ভরা স্মৃতি যা মনকে আরও ভারাক্রান্ত করে
কিন্তু অটুট মনের বিশ্বাস আমাদের আত্মগ্লানি আর
ভয়ের শৃঙ্খল

হাওয়া- পরিবার তিন পুরুষ ও নারী মিলে হাওয়ারা মোট ছ’ জন। ঠান্ডা পশ্চিমা হাওয়া “ঘিগের ঘিগের” ওয়ান্ নামের এক কাকের পাহারায় কাঠের ঘরে বন্দি থাকতো। চন্ডমূর্তী স্বভাবের এই নারী হাওয়াটি মাঝে মাঝে ফাঁকতাল বুঝে পালালে, সঙ্গে সঙ্গে ওয়ান্ তাকে জবরদস্তি ফিরিয়ে আনতো। কিন্তু কালক্রমে কাঠের

মিঁয়া- বিবি v/s ৩য় ব্যক্তি
__________________ বর ঝিনুক আর বৌ-কাছিম অন্য আর পাঁচ জনের মতো বেশতো ছিল। তবে কিছুদিন গড়াতেই গিন্নী যথারীতি কর্তার ওপোর তিতিবিরক্ত হয়ে উঠলো। লাটসাহেব দিবারাত্রি সমুদ্রতীরে হাঁটুতে মুখ গুঁজে রোদ পোয়াবেন, আর হুকুৃম চালাবেন। আজই যেমন সাতসকালে :
– ওগো, খুব তেষ্টা পেয়েছে।

তুই’ই কবিতা, তুই শব্দের কারিগর একটা কবিতা লিখতে বলেছিলি আমায় তুই,
তোকে নিয়ে;
তুই একটা পাগল, প্রেম পোকা
আমি কবিতার কি বুঝি রে বোকা? শব্দের পিঠে শব্দ গাঁথলেই কি আর কবিতা হয়?
যার মন আছে তাকে দিয়েই কাব্য হয়
যেমন তুই,
যে প্রেম করতে জানে তার কবিতা হয়
যেমন তুই,
যে

পাবলো নেরুদার কবিতা : যদি তুমি আমাকে ভুলে যাও আমি তোমাকে
একটি কথা জানাতে চাই তুমি জানো তা কেমন করে:
যদি তাকিয়ে থাকি স্ফটিক চাঁদের দিকে
আমার জানালায় ধীর শরতের লালিম শাখায়,
যদি স্পর্শ করি
আগুনের পাশে
স্পর্শাতীত ছাই
অথবা জরাজীর্ণ কাঠের গুঁড়ি,
সব কিছু আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যায়,
যেন

পাবলো নেরুদার কবিতা : আমাকে রেখে দাও একটি গুপ্তস্থানে আমাকে রেখে দাও ভূগর্ভস্থ একটি স্থানে, একটি গোলকধাঁধায়,
যেখানে আমি যেতে পারি,
যখন ফিরতে চাই
দৃষ্টিহীন, স্পর্শহীন,
পরিত্যক্ত, নির্বাক পাথরে, অথবা ছায়ার অঙ্গুলিতে।
আমি জানি তুমি তা পারবেনা, কেউ না, কিছুই পরিত্যাগ করতে পারেনা
সেই স্থান
অথবা সেই পথ,
কিন্তু

যখন তুমি বুড়ো
অনুবাদ কবিতা : When You Are Old : হলে যেই পুরাতন ধূসর
নিদ্রায় কাটে সকল অবসর;
স্বপ্ন যত তখন তুলতুলে
বইপাতার মত হেলে দুলে। নেতিয়ে তনু মন ঝিমায়
পথ অগ্নি লেলিহান শিখায়;
স্বপ্নপথে ধারালো পাথর
স্লথ গতি অন্তে যেন সাগর। কত ঐ সুখ মধু মুহূর্তে
প্রেমে সিক্ত চোখের ছায়াতে;
কেউ আবার মিছিমিছি
বড়

মধুর অনুযোগের সনেট /ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা
অনুবাদ- নাজনীন খলিল আমাকে কখনো হারাতে দিওনা এই বিস্ময়
তোমার স্ট্যাচুর মতো চোখের, অথবা এই স্বরসঙ্ঘাত
তোমার নিঃশ্বাসের স্বতন্ত্র গোলাপ
যা রাত্রে স্থাপিত হয় আমার কপোলে। আমি তটস্থ থাকি, এই সৈকতে
এই শাখাহীন গুঁড়ি, যা আমার তীব্র অনুতাপ
পুষ্পহীনতা, শাঁস অথবা মৃত্তিকা
আমার উদ্যমহীনতার জীবাণুর জন্য। তুমি

যদি তুমি আমাকে ভুলে যাও —-পাবলো নেরুদা
অনুবাদ– নাজনীন খলিল। আমি তোমাকে
একটি কথা জানাতে চাই
তুমি জানো তা কেমন করে :
যদি তাকিয়ে থাকি স্ফটিক চাঁদের দিকে
আমার জানালায় ধীর শরতের লালিম শাখায়,
যদি স্পর্শ করি
আগুনের পাশে
স্পর্শাতীত ছাই
অথবা জরাজীর্ণ কাঠের গুঁড়ি,
সব কিছু আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যায়,
যেন সবই অস্তিত্বময়,
সুরভীটুকু, আলো,ধাতুগুলো,
ছোট্ট

অনুবাদ কবিতা : ইন্দ্রাণী সরকার
মূল: উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ – বাই দ্য সী এই সুন্দর শান্ত বিকেল যেন এক পবিত্র
সন্ন্যাসীনির ন্যায় প্রেমপরিপূর্ণ পরিশ্রান্ত,
সুর্য্য তার প্রশান্তির সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।
সমুদ্রের উপর স্বর্গীয় নীরবতা —-
শোন সেই পরম শক্তি এখন জাগ্রত
তার অনন্ত গতি বজ্রের ন্যায় অবিশ্রান্তভাবে
শব্দ করে যায় —-
প্রিয় শিশু

তুষার মানব The Snow Man : অনুবাদ কবিতা
-সাইদুর রহমান শীতেরও আছে কোমল হৃদয় মন
জানায় তাই তো, প্রীতি সম্ভাষণ;
বন প্রান্তরে, ঐ দেবদারুর মতো
দাঁড়িয়ে সরু লম্বা পাইন শতো;
জড়িয়ে ধরে যেন এ মানব তুষার
অপূর্ব ছবি মমতা ভালোবাসার। কৃষ্ণ বর্ণ ফল, সাদা বরফে ঢাকা
করছে ঝিকমিক, যেন রঙ মাখা;
জানুয়ারির মিঠিমিঠি নম্র

অচিন্ত্য প্রেমের হরিণ /ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা
অনুবাদ: নাজনীন খলিল কেউ বুঝতে পারেনি তোমার জরায়ুর
গাঢ় ম্যাগনোলিয়ার সৌরভ।
কেউ জানতোনা তুমি দাঁতের ফাঁকে সয়েছিলে
ভালবাসার একটি হামিংবার্ড তাও।
তোমার কপালের শশীকলার সাথে খোলাপ্রান্তরে
ঘুমিয়ে পড়েছিল সহস্র ক্ষুদে পার্সিয়ান ঘোড়া,
তুষারের শত্রু,
যখন চার রাত তোমার কোমর রেখেছিলাম আলিঙ্গনাবদ্ধ করে।
প্লাস্টার এবং যূথিকার ফাঁকে তোমার চকিতচাহনি
ছিল

অনুবাদ কবিতা : I Wandered Lonely As A Cloud
(by William Wordsworth) আমি মেঘের মত একা ভেসে যাই আমি মেঘের মতো একা ভেসে যাই
পাহাড়ি উপত্যকার উপর দিয়ে, হঠাৎ দেখি পথের ধারে এক ঝাঁক
সোনালী ড্যাফোডিলের গুচ্ছ। জলের ধারে ধারে, গাছের পাশে পাশে,
তারা হাওয়ায় ওড়ে আর দুলে দুলে নাচে। ফুলগুলো সুন্দর ওই

কাক মুজিকা ঝাবুচালা
মূল কবিতা : আনা আখমাতোভা
অনুবাদ : রিয়া চক্রবর্তী যেভাবে সঙ্গীতের মুর্ছনায় জাগে সুর
ঘুম ভেঙে সহসা এসেছে শীত ঋতু
আলো ঝলমল চারিদিক, রংচঙে পোশাকে
রাজার মতোই এসেছে, সাথে এসেছে মৃত্য

শ্মশান কমিটি জলের ট্যাঙ্কের নিচে এ-পাড়ার সমস্ত খুন হয়
তার পাশে মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, পাড়ার সব বিয়ের মিঠাই
এই দোকান থেকে
তার গায়ে পার্টি অফিস, তরকারি-হাটের তোলা
এখানে ব’সে ভাগ-বাঁটোয়ারা
তার পেছনে ওষুধ-দোকান, ছোট ও বাঁকা ডাক্তার বলছে
নতুন বৌমার চরিত্রে দোষ আছে
তার ওপরে তিনতলা বাড়ি, সে-বাড়ির ছেলে
বৌকে নাইট শো সিনেমা দেখাবে