ফুলের দোকানের সামনে এসে একজন ভদ্রলোক তার গাড়ি থামালেন।
উদ্দেশ্য তার মা’য়ের জন্য কিছু ফুল কিনবেন। যিনি এখান থেকে প্রায় দু’শ মাইল দূরে বাস করেন। গাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়, তিনি লক্ষ্য করলেন, দোকানের পাশে, পায়ে হাঁটার পাকা রাস্তার কিনারে
মধুর অনুযোগের সনেট /ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা
অনুবাদ- নাজনীন খলিল।
আমাকে কখনো হারাতে দিওনা এই বিস্ময়
তোমার স্ট্যাচুর মতো চোখের, অথবা এই স্বরসঙ্ঘাত
তোমার নিঃশাসের স্বতন্ত্র গোলাপ
যা রাত্রে স্থাপিত হয় আমার কপোলে।
আমি তটস্থ থাকি, এই সৈকতে
এই শাখাহীন গুঁড়ি, যা আমার তীব্র অনুতাপ
পুষ্পহীনতা, শাঁস অথবা মৃত্তিকা
আমার উদ্যমহীনতার জীবাণুর জন্য।
তুমি যদি
নববর্ষ
হরিবন্শ রায় বাচ্চন
বর্ষ নতুন,
হর্ষ নতুন,
জীবনের উৎকর্ষ নতুন।
নতুন স্বপন,
নতুন স্পন্দন,
জীবনের নতুন আয়োজন।
নতুন আশা,
নতুন রাস্তা,
জীবনের নতুন পথ চলা।
গান নতুন,
প্রেম নতুন,
জীবনের রীতি নতুন,
জীবনের নীতি নতুন,
জীবনের জয় নতুন!
কোট
সর্বেশ্বর দয়াল সাক্সেনা
খুঁটিতে কোটের মতো
দীর্ঘকাল ধরে আমি টাঙানো
কোথায় চলে গেছে
আমাকে গা’য়ে চাপিয়ে সার্থক করা ব্যক্তি?
ধূলোর পর ধূলো
এমনভাবে জমে চলেছে যে
আজ আমি নিজেই
নিজের রঙ ভুলে গেছি।
ঝুলে পড়েছে বাহু
কুচকেছে ছাতি
আর ওতে যুক্ত হয়েছে
অনুবাদ|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯৬০ বার দেখা
| ৩৮৭ শব্দ ১টি ছবি
কবি মারিও রিভেরো ছিলেন একজন কলম্বিয়ান কবি। নানান রং ছড়িয়ে ছিলো তাঁর জীবনে। তিনি একাধারে ছিলেন কবি, সমালোচক, ট্যাঙ্গো গায়ক, এবং সাংবাদিক। তিনি ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৩ ই এপ্রিল ২০০৯ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। তাঁর
সিলিকন ভ্যালীর একটা ফার্ম, সিস্কো, একসময় ছিল নতুন অর্থনীতির বরপুত্র। সাংবাদিকরা এর সর্বসাফল্য নিয়ে অকুণ্ঠ প্রশংসা করতঃ এর চমৎকার গ্রাহক সেবা, নির্ভুল কৌশল, দক্ষ অধিগ্রহণ, অদ্বিতীয় কারবারী সংস্কৃতি, সহজাত দক্ষ ক্যারিশমাটিক সিইও। দুই হাজার সালের মার্চমাসে এইটা ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে দামী কোম্পানী।
ম্যাক্স প্লাংক সাহেব ১৯১৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবল প্রাইজ জেতেন। ঐ বছর তিনি জার্মানি ভ্রমনে যান। সেখানে প্রচুর অভ্যর্থনা- সংবর্ধনা পান, স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর বক্তৃতা করা লাগে। প্রতিটি সেমিনারে-সভাতে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর একই বক্তৃতা শুনতে প্লাংকের শোফার সেটা মুখস্থ করে ফেলেছিল। একই বিষয় শুনতে শুনতে সে
ছত্রিশ বাহানা
– মারাঠি থেকে অনুবাদ।
ভূমিকা : গল্প- সখুবাঈ। যেভাবে ঘরে মজুত খাবার শেষ হয়ে গেলে অদিবাসী পরিবার খাবারের পরিবর্তে কন্যাসন্তানদের অন্য লোকেদের বাড়ি পাঠানো হয় তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে। খুব অল্প বয়সে সখুবাঈকেও পাঠানো হয়েছিল
অনুবাদ|
১৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৮২ বার দেখা
| ৬০৩ শব্দ ১টি ছবি
গল্পকার ও শ্রোতা
– মারাঠি থেকে অনুবাদ।
ভূমিকা : গল্প- সখুবাঈ। যেভাবে ঘরে মজুত খাবার শেষ হয়ে গেলে অদিবাসী পরিবার খাবারের পরিবর্তে কন্যাসন্তানদের অন্য লোকেদের বাড়ি পাঠানো হয় তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে। খুব অল্প বয়সে সখুবাঈকেও পাঠানো হয়েছিল
বৃষ্টির শেষে
– থিওডোরা ওনকেন
সেদিন তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল
যখন শিশিরের ফোঁটা সবুজ ঘাসে হীরের
মত ঝিকমিক করছিল।
কাঠবিড়ালী আর ব্যাঙগুলো আনন্দে ডেকে উঠছিল।
যখন ভোরের বেলা চরিদিক নিঃস্তব্ধ আর শান্ত
সুর্য্যের স্নিগ্ধ উষ্ণ বিকিরণ আমার শরীরে খেলা করে
আভাসে জানিয়ে যায় দু একটা মেঘের আগমন
অনুবাদ|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬০ বার দেখা
| ১১৯ শব্দ ১টি ছবি
ডায়ানার দিনগুলি
রাতের আলোয় পৃথিবীর স্তব্ধতা মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমাদের দু:খে ভারাক্রান্ত পায়ের ওপর আমরা ক্রমশ: নুয়ে পড়ি।
মন অজানাকে জানতে চায়
সূর্য্যকুমারী ছাড়াই আমাদের হৃদয় আগামীকে মাপতে চায়।
যে হাত দুটি দিয়ে সূর্য্যকুমারী তার উজ্জ্বল টায়ারা আর রত্নখচিত মুকুট ধরে থাকে,
সেই হাতেই এ্যাঙ্গোলার ধুলাময়
অনুবাদ|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭৬ বার দেখা
| ৩০২ শব্দ ১টি ছবি
তার অপার্থিব সৌন্দর্য্য
– ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতার অনুবাদ
তাকে প্রথম দেখার পর আমি খুব অবাক হই
যেন সে এক পলকের একটি অলংকার।
এক অপার্থিব সৌন্দর্য্যে মহিমান্বিতা।
তার চোখ দুটি যেন গোধুলির তারা
ভোরের লালিমা আর বসন্তের সব
সৌন্দর্য্য নিয়ে সে সৃষ্টিকর্তার এক
অভিনব সৃষ্টি নৃত্যের ভঙ্গিমায় আঁকা।
নিয়ত তার
অনুবাদ|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৩৫ বার দেখা
| ১৩৮ শব্দ ১টি ছবি