লীলাবালি!
প্রায় ১৯ বছর আগের কথা, মেলবোর্নে ছিলাম, দারুণ সুন্দরী নাহার আপার সাথে পরিচয় হয়। নাহার আপা আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র ছিলেন। শুনেছি আপা ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসাইটে সুন্দরী এবং মেধাবী ছাত্রী ছিল। অস্ট্রেলিয়া এসে মাস্টার্স করে আপা তখন ভাল চাকরি
জীবন|
১৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৮৩ বার দেখা
| ১০৮৪ শব্দ ১টি ছবি
ভুলে থাকা মন
এক এক সময়ে মনে হয় নিরপেক্ষ ব্যবচ্ছেদ হোক। সময়ের আবর্তনে মনের অলিগলি আজ ক্লান্ত। আচ্ছা, ফোঁটা ফোঁটা করে জল উপচে পড়তে দেখেছো কখনও? এক ফোঁটা-দু ফোঁটা, টুপ টুপ করে পড়ছে আঙুল বেয়ে, চিবুক ছুঁয়ে, হাতের পাতায়? একা একা বন্ধ ঘরে নিজের সাথে
রান্নাও এক ধরনের শিল্প। একজন শিল্পী যেমন রং নিয়ে মেতে ওঠেন ক্যানভাসে ঠিক তেমনি রন্ধনশিল্পী তার শৈল্পিক গুণে রান্না করে তোলেন আরো সুস্বাদু। শৈল্পিক রান্নায় চেনা খাবারও অচেনা হয়ে ওঠে। খাদ্য প্রস্তুতের বিভিন্ন ধাপে আলো, বাতাস, তাপ, ক্ষার পদার্থ ইত্যাদির সংস্পর্শে
জীবন|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৭৬ বার দেখা
| ৪৩১ শব্দ ৩টি ছবি
‘মদিরা বার এন্ড রেষ্টুরেন্ট’- ঐতিহ্যবাহী অভিজাত বার। বিকাল তিনিটায় খুলে। পাঁচটায় জমে ওঠে। সন্ধ্যায় বসার জায়গা পাওয়া কঠিন। এই বারে নিয়মিত কাষ্টমার অনেক। তারা সকলেই অনন্য। তারা না আসা পর্যন্ত ম্যানেজার চেয়ারগুলো খালি রাখেন। আজ চার টেবিলের আখ্যান শোনাই।
ডান পাশের তিন নম্বর টেবিল।
গানের কাছারি
আমি যদি কোনওদিন মকরসংক্রান্তির পরিত্রাহি শীতে জয়দেব-কেঁদুলির মেলায় না গিয়ে থাকি, রাত জেগে না শুনে থাকি বাউলগান, দাঁত ঠকর-ঠকর হাওয়ায় সোয়েটারের ওপর জ্যাকেটের ততোধিক ওপরে বাংলা তুষের চাদর চাপিয়ে ঠান্ডা নিবারণের ব্যর্থ অব্যর্থ-চেষ্টার পর এক খুরি চায়ের মৌখিক স্টেরয়েডের জন্যে রাত চারটেয় মেলা-মধ্যবর্তী
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫১৭ বার দেখা
| ২৩৭ শব্দ
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে –
কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম (মে ২৫, ১৮৯৯ – আগস্ট ২৭, ১৯৭৬), (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ – ভাদ্র ১২, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ), অগ্রণী বাঙালি কবি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয়
আমিই সেই আহীরী
এক
ঘরের দুটো জানলাই কখনও একসঙ্গে খুলে দিই না আমি। সহ্য করতে পারি না প্রেসক্রিপশান-বহির্ভূত অতটা আলো, যারা তাদের দোলখাওয়া সবুজ ঘরবাড়ি থেকে ছুটে এসে আমার চোখের তারাদুটো খেয়ে নেবে, মমি বানিয়ে দেবে মুখটাকে।
কিন্তু আজ নিরপরাধ অঘ্রাণ-সকালের হলুদ দীপ্তির মধ্যে দাঁড়িয়ে আমি হাট
‘আই এম ইন দ্য ডার্ক হেয়ার’
১
তুবার লাশটা তখনো এসে পৌঁছোয়নি। আমি সামনের গোল বারান্দাটার সামনে উন্মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। চারপাশে অনেক লোকের ফিসফিস। গভীর নিঃস্তব্ধতার মাঝেও যেমন শব্দের কিছু কারুকাজ থেকেই যায় যাকে ঠিক সরব বলা যায় না আবার নীরবও বলা চলে না তেমনি
সন্তানের জন্য বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি। ভালো লাগলে আপনার সন্তানদেরও পড়তে দিন।
প্রিয় সন্তান,
আমি তোমাকে ৩ টি কারণে এই চিঠিটি লিখছি
ক। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।
খ। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে
জীবন|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭২৭ বার দেখা
| ৪৯৩ শব্দ ১টি ছবি
জানি আমার অনন্ত অপেক্ষা তোমার জন্য। পৃথিবীর বুক থেকে একদিন, জলছবি জমা হতে থাকে আর অভিমানের হাতে হাত রেখে নিশ্চুপে গুটিয়ে নিই নিজেকে। চার দেওয়ালের কোনে,জমে চলে আজন্ম অনুভূতি, রাত কেড়ে রাত নেমে আসে। ফাগুনের ফাগের আগুনে কে আর ঝাঁপ দিয়েছে আমার মতো? অসংখ্য
প্রিয় মন,
জানিস তো চিঠি আমার বড্ডো প্রিয় আজও। যদিও জানি সমস্ত প্রিয় জিনিস, প্রিয় মানুষ হাতের মুঠি থেকে বেরিয়ে গেছে তাদের পছন্দ মতো। একা আমি দাঁড়িয়ে থাকি আর তাদের চলে যাওয়া দেখি। তবুও এই আধো আলো ভোরে, মনে মনে চিঠি লিখি তোকে। তোকেই
বিশেষ দরকারে নাইরোবি থেকে জেলা পর্যায়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে কাজের ফাঁকে একটা ডিভিশনে; এক নৃ-গোষ্ঠির বিদায়-বাসরের প্রস্তুতি দেখার জন্য। ওখানে ডিভিশন হলো জেলার ইমিডিয়েট নিচের এডমিনিস্ট্রেটিভ ইউনিট। জেলাকে ওরা এখন কাউণ্টি নাম দিয়েছে।
ওখানের কেউ আমাকে “কারিবু” বললো; কেউ “আবারিয়াকো” ।
জবাবে আমি “আসান্তে” এবং “মুজুরি
সবকিছুই আগের মত আছে, ফুল যেমন আছে; মৌমাছিও তেমন আছে। শুধু মাঝখান থেকে লুন্ঠিত হয়ে যায় ফুলের মধুটুকু, পবিত্রতাটুকু; কখনো ফুলের ইচ্ছায়, কখনো অনিচ্ছায়, কখনোবা “তোমায় ভালোবাসি” এটা প্রমানের জন্যে।
মুঠো মুঠো শারিরিক ভালোবাসা আছে, ক’মিনিটের প্যাকেটজাত ভালোবাসা আছে,
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৩৪ বার দেখা
| ১৫৯ শব্দ ১টি ছবি
কখনো দেখেছ রাতের তারাদের বদলে যাওয়া? কখনো বদলে যেতে দেখেছো আকাশের চাঁদ কে? কিংবা চলতে ফিরতে কখনো খেয়াল করেছো চারপাশের দৃশ্যপটগুলো কিভাবে বদলে যায়? সন্ধ্যায় আগে পাশের বাড়ির বাড়ির আমগাছটায় রোজ কত পাখি এসে বসতো। কত পাখি বাসা বানাতো, সংসার পাততো, সেই গাছটাই যে