আমার কাছে বৃষ্টি আসে রোজই, শার্সি ভেজায়, আরশি ভেজায়, ঝাপসা চোখে ইচ্ছে মেখে, চুপিচুপি জানলায় এসে আমায় ডাকে, কুচি কুচি বৃষ্টি ছুঁয়ে যায় আমার মুখ। হালকা মাটির গন্ধ নিয়ে, আলতো হাতে আমার চুল উড়িয়ে, বেলা অবেলায় ডাক দিয়ে যায়, ঝিরঝিরিয়ে,
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৩৭ বার দেখা
| ১১৭ শব্দ ১টি ছবি
সেলফি’র ঢং, কত-না হয় রঙ-বেরঙে
কেউবা রাস্তায়, কেউ রেল জংশনে
কেউ নদীর পাড়ে, কেউ আগানে-বাগানে
কেউ আকাশ পানে, কেউ মিশে যায় মরণে।
ছবিটি চিত্তরঞ্জন গুদারা ঘাট সংলগ্ন নবনির্মিত একটা ভবন।
আমাদের ছোটবেলাটা আজকের বাচ্চাদের শৈশবের মতো এমন তুতুপুতু ছিল না। ছিল না এতরকম অনর্থক ‘এটা কোরোনা কার্টসি শেখো, ওটা কোরোনা প্রোটোকল জখম হবে’ র ত্রিবন্ধনী। পড়ার সময় বাদে অন্য সময় চেটেপুটে সদব্যবহার করেছি। দেখেছি দুচোখ মেলে। সেদিনের দেখে শেখা আজও
উনচল্লিশে আটকা পড়েছিলাম
এই বুঝি রাস্তার শেষ।
কোথাও কোন আলো ছিল না,
পাশে ছিল না কোনো খড়কুটো;
সব সম্ভাবনা তিরোহিত হওয়ার পরে;
যখন চিরকালের ডুব দেওয়ার
প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন ভেতর থেকে
শেষবারের মতো ভেসে উঠার
আওয়াজ আসছিল। মৃত্যু প্রবল
বিক্রমে টানছে জীবন তবু শেষ চেষ্টার
গান শোনাচ্ছে,
হ্যারিকেনের সলতে শুকিয়ে গেছে
তলানিতে যতটুকু কেরাসিন ছিল
ফুরিয়ে গেছে।
দপ করে জ্বলে ওঠা সুদূর অতীত
অবশিষ্টাংশ শুধুই ছাই
সব ফুরিয়ে গেলে যেমন
শূন্যতা ছেয়ে আসে
তেমনি শূন্য শরীর নিয়ে
অপেক্ষায় আছি, শীঘ্র কবরে ঢুকব।
কিছু ছড়া আর অল্প কিছু পদ্য নিয়ে ‘হিরের স্বপ্ন চারকোলে’ – একটা তিন ফর্মার সংকলন করেছিলাম ২০১১ সালের শেষে। তার শুরুতে এই চতুর্পদী ছিল –
রাত যদিও মূর্ছিত
সকাল জন্ম তার কোলে
ভাঙা ডানায় উড়ছি তো
হিরের স্বপ্ন চারকোলে
আমার তখন ভাঙা-ডানা নয়, মূর্ছিত দশাই। সেই বইয়ের বড়জোর পাঁচ
ক্লাসের সবচেয়ে চঞ্চল জেদি একঘেয়ে কৃষ্ণবর্ণের ছেলেটা,
স্মৃতিকে এক পলক দেখবার জন্য চেয়ে থেকেছে ঐ পথটা।
মনের আকিঞ্চনে ঐ পথটার ধারে করেছে কতবার পায়চারী,
তা জানেন শুধু বিভো,আর করেছে কত আহাজারি।
স্মৃতির মুখনিঃসৃত বাণী শ্রবণের জন্য, কেঁদেছে তার মন
Coronavirus Disease 2019 (COVID-19) has transmitted almost all over the world COVID-19 is caused by Severe Acute Respiratory Syndrome Coronavirus 2 (SARS-CoV-2), which transfers from an infected person to a susceptible person via direct contact (eg, hand-shaking, hugging) or indirect contact through touching materials
কত অখাদ্য, কুখাদ্য, হাবিজাবি লিখি যে! অর্থবহুলতা কিংবা অর্থহীনতার শব্দের একরাশ মালা গাঁথা। কখনো যাপিত জীবনের ক্লান্তি! কখনো দীর্ঘশ্বাসের উত্তপ্ততায় বাতাসকে উষ্ণ করে দেওয়া! আমি কি আদৌ কখনো নৈবেদ্য সাজিয়েছি? অর্থ বহুল, অর্থহীন স্বপ্নের জাল বুনে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি ক্যানভাসে?
জানি,
জীবন|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৬৬ বার দেখা
| ৩৩০ শব্দ ১টি ছবি
বৃষ্টি শুরু হলো। এ বাংলা বছরের প্রথম বৃষ্টি। প্রায় দুশো বছরের পুরনো এই কাঠের বনবাংলোর টালির চালে বেশ একটা মৌতাত জমানো কনসার্ট। হাওয়ার গোঁ গোঁ শব্দ, ভয়ার্ত পাখিছানার অস্ফূট কিচমিচ, দূরের আদিবাসী গ্রামে ঘুমন্ত গেরস্তর দরজায় শুয়ে থাকা বার্ণিশ করা
সূচয়না, তুমি কি জানো কতদিন দেখিনি তোমায়,
হয়তো জানো না, আর জানতেও তুমি চাওনা।
জানে ঐ নদী নক্ষত্রের দেশের, নীল আকাশের নক্ষত্রগুলো।
আরও জানে ঐ অমাবস্যার রাতে বিস্তর জোনাকি।
সূচয়না, তুমি বিহীন এ আমার জীবন স্পন্দনহীন,
তোমার পরশ পেলে আমার এই নিথর
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৫৪ বার দেখা
| ১২৪ শব্দ
গণ চিতায় জ্বলছে ভারত। পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ! আমাদের অসতর্কতা আমাদের গাফিলতি আমাদের কেউ কি এমন নির্মম পরিণতির শিকার করবে? আমরাও কী তবে মাটিচাপা পড়বো? করোনা আপনার কাছে আপনাআপনি আসবেনা একে বাইরে থেকে আমরাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের অসতর্কতা অসচেতনতা গাফিলতি হেঁয়ালিপনা’ই
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৭০ বার দেখা
| ৭৩৪ শব্দ ১টি ছবি
ঘর থেকে বের হই, প্রথম কদমের পূর্বে স্রষ্টার কৃপা কামনা করে এগোই পৃথিবীর পথে। যে পথ গুলো জালের মতন ছড়িয়ে আছে। এক একটা পথ এক একটা মঞ্জিলের দিকে ছুটছে, কোন কোন পথ আবার ধূম্রজালের মতন, লেটানো, পেঁচানো; কোন অতীব
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৩ বার দেখা
| ৭৯৭ শব্দ ১টি ছবি