তারপর একদিন শেষ হয়ে যাবে নতুন দিনগুলি
তুমি দাঁড়াবে গিয়ে পুরাতন মানুষদের ভীড়ে
ক্ষয়ে যাবে শরীরের সব শক্তি, ঝাপসা মনে হবে পৃথিবী
হাটতে গিয়ে বুঝবে শরীর অনেক ক্লান্ত
আকাশের নীল কিংবা একটি গোলাপকে দেখবে নতুন করে
বড় অচেনা মনে হবে সব মানুষকে
হয়তো অবাক করা শ্রান্ত চোখে নিষ্পলক খুঁজবে একটি
জীবন থেমে যাওয়া এক বটবৃক্ষ
একই জায়গায় অবস্থান করে দেখতে হয় দূর-দূরান্ত।
মাঝে মাঝে আমার দৃষ্টি দূরবর্তী মেঘের বুক চিরে দেখতে চায় তার ওপারের জীবন।
আমি লক্ষ্যভ্রষ্ট পথিক নই
আমার লক্ষ্য সেই ঠিকানা
যেখানে আমি আমার যাপিত জীবনের গল্প রচনা করব।
আমি কষ্টের অনুভুতি শূন্য মানুষ নির্দয় নয়
তাই কোন
ভোর ৩টা ৩০। প্ল্যান মাফিক এগিয়ে চলছে কুয়েত গামী ফ্লাইটের যাত্রা। যাত্রীরা একে একে প্রবেশ করছে। কেবিন ক্রুরা রোবট মার্কা হাসি দিয়ে তাদের স্বাগত জানাচ্ছে। উত্তরে কিছু একটা বলতে হয় এ অভ্যাসটা জাতিগত ভাবে আমাদের নেই, তাই ওদিকে মন
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮০৫ বার দেখা
| ৬৩৯ শব্দ ১টি ছবি
জীবন এক নৈব্যক্তিক প্রশ্নের সমাহার
ভেতরের কামনাগুলো দক্ষ জাহাজের
ক্যাপ্টেনের মতো হলে বেশ ভালো হতো।
আদেশ নির্দেশ সব সংকাহীনভাবে
একসাথেই একীভূত হতো।
আসলে বন্ধনহীন কামনা
সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেনা
ব্যক্তিত্বের পরিণত সম্পর্ক যদি
আভিজাত্যের প্রমোদ দিশায় বদলানো যেত
তবে হয়তো জীবন তার নিবিড় আলিঙ্গনে
হারাতো সুনিবিড় সরলতা।
যখন, এলোমেলো দহনে জ্বলেছি
অনিমেষ পাল নৌকার মাস্তুলে পাল খাটাবার কাজ করে, তার কাজ এটুকুই। এর পর ছইয়ের ভিতর ঘুম। অনিমেষ যদি ঘুম জমাত; তাহলে ব্যাংকের কোন ভোল্টে জায়গা হত না। ইদানীং অনিমেষ ঘুমোতে পারছে না, ঘন্টার পর ঘন্টা অসল বসে থাকছে। দুই চোখ বুজে দেখেছে কিন্তু ঘুম
বন্দী বিনিময় শুরু হয়ে গেছে। একজন আসবে, একজন যাবে।
দূরে বিস্তীর্ণ ভূমি, কি দারুণ বিস্তৃত। রোদ থেকে ঝলসে উঠছে কাকলী, প্রাণের কাকলী। বাতাসে শিস দিচ্ছে দুলে ওঠা কচি ধানের সবুজ। নরম ভাপ ওঠা রোদ। লোকটা বারান্দায় বসে এসব দেখে আর ভাবে, ভাবে আর দেখে।
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৭ বার দেখা
| ২০৩৭ শব্দ
সভ্য যুগের সভ্য মানুষ
স্বার্থের ধান্দায় থাকে বেহুশ,
মন্দের কদর ভালোর দোষ
ধর্মের বাণীতেও হয়না হুঁশ!
ধর্মের বাণী করে শ্রবণ
করে না কেউ দুষ্টের দমন,
পুণ্যের আশায় তীর্থে গমন
ফলায় না সভ্যতার ফলন।
সভ্য যুগে অসভ্যের শক্তি
দুষ্ট লোকদের করে ভক্তি,
জ্ঞানী লোকের খণ্ডন যুক্তি
কী করে
তিন
প্রভাতে উভয় সেনা করিল সাজন
কুরুক্ষেত্রে গিয়া সবে দিল দরশন
যে যার লইয়া অস্ত্র যত যোদ্ধাগণ
সিংহনাদ করি রণে ধায় সর্বজন
দিদিমার মুখে শুনে শুনে অর্ধেক কাশীরাম দাস মুখস্থ চাঁদের। খেলা দেখতে দেখতে হঠাৎ তার নবম দিনের যুদ্ধ মনে পড়ে গেল — দ্রোণাচার্যের পতন।
কিন্তু চাঁদ চিরকাল
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৫ বার দেখা
| ৪১৫ শব্দ
জন্ম সবার একইভাবে, ধর্ম ভিন্ন-ভিন্ন,
কর্মও ভিন্ন, তবুও কেউ ধন্য কেউ নগন্য।
কর্ম যার ভালো, ভাগ্যও হয় ভালো,
যদিও হয় কালো, জ্ঞানে বাড়ায় আলো।
মাথার মগজ একইরকম, জ্ঞান হয় ভিন্ন,
কেউ হয় সভ্য মানুষ, কেউ আবার বন্য।
জন্ম, কর্ম, ধর্ম, ভিন্ন-ভিন্ন মতান্তর,
এভাবেই চললে
হরি বলে হরি, আমি ক্ষুধায় মরি!
দাও কিছু মোরে, পেটখানা ভরি।
হরি বলে হায়, বলি যে তোমায়,
কর্ম দোষে মরে ক্ষুধার জ্বালায়!
যার যার ভাগ্য কর্মতেই বদলায়,
কর্মতেই শাস্তি ভোগ কড়ায় গণ্ডায়।
হরি বলে হরি, বুঝতে না পারি,
অভাবে স্বভাব নষ্ট, নিজে কি করি।
হরি বলে শুনো, নেইতো
মানুষ আপনাকে
আপনার পাশে দীর্ঘ পথ চলতে প্রতিশ্রুতি দেবে
দরজার প্রথম পদক্ষেপ থেকে
অজস্র মানুষের ভিড় ঠেলে,
স্বতঃসিদ্ধ নির্জনতা পেরিয়ে অদৃষ্টের গন্তব্য পর্যন্ত।
কেউ কথা রাখে আবার কেউ রাখে না
আপনি কি পেয়েছেন
আপনি কি পাননি তা আপনার হৃদয় জানে।
মানুষ তার এক জীবনে ভেতরের কষ্ট
পরিচিত মানুষের ভিড়
এক
চাঁদের বাড়ি পার হলেই দুপাশে দুই পুকুর, বর্ষায় রাস্তার ওপর দিয়ে ডান পুকুরের জল বাঁয়ে গিয়ে মেশে — বাচ্চাদের জন্যে খুব চমৎকার নদী। এখন বসন্তে শিমূলগাছের মানচিত্র থেকে ব্যাডমিন্টনের ফেদার-ককের মতো ফুল মাটিতে পড়ে থেঁতো হচ্ছে। শীত এলে তাদের ফলগুলো রোয়াঁ-জাগা পেস্তাসবুজ ছোট ছোট
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৬ বার দেখা
| ৭৮৮ শব্দ