কিছু চাওয়া আর কিছু পাওয়া
এতোটুকুই তো জীবন
অনুভূতিগুলো সব যেন গাছের পাতায় পাতায় ছুঁয়ে আছে। আর যেখান থেকে এর উৎপত্তি, সেই অদৃশ্য স্থানটি গাছের মগডাল থেকে মাটির বহু নীচে শেকড়ের সূচ-বিন্দুতে আসা যাওয়া করছে। থেকে থেকে ‘ইলেক্ট্রিক ব্লু’ বেদনাকে জাগিয়ে তোলা সসীমের
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৭৪ বার দেখা
| ৫৮৫ শব্দ ১টি ছবি
অনেক হল মোমবাতি প্রজ্বলন, অনেক বেলুন উড়ে গেছে দূরে নিশানাহীন আর নয় দ্রোহে মাখন লেপন। এবার সংগ্রামে শুরু হোক কঠোরতার দিন। দূর হোক নিকষ অন্ধকারের রাজনীতি, বন্ধ হোক প্রহসনের বুলি আশ্বাস। প্রজ্ব্বলিত হোক সত্যের মশাল। নয় দাবি নয় অপেক্ষার চাদর
হীরক রাণী: গবেষক, করো কি? খাও কি শুধু ঘাস!
প্রজারা আমার পশ্চাদ্দেশে ঢুকাচ্ছে বাঁশ।
আহারে! বাঁশের ব্যাথা সে কি বুঝিতে পারে
কভু পশ্চাতে আইক্কা বাঁশে দংশেনি যারে।
গবেষক: মহারাণী, বুঝছি সব স্পষ্ট
ইশ! কত বেদনা! কত কষ্ট!
পশ্চাতে ঢুকলে আইক্কা বাঁশ
নিশ্চয় বন্ধ হয়ে আসে শ্বাস?
হীরক রাণী: গবেষক করো কি
টুকরো টাকরা
রোজকার মতোই মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাস স্ট্যান্ডে অনেক্ষণ দাঁড়ানোর পরে আমার গন্তব্যে যাবার বাসটি এলো। খুব বেশি ভীড় নেই। উঠেই জানলার পাশের সিটও পেয়ে গেলাম। পরের স্টপেজে এক মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলা উঠলেন। বসলেন আমার পাশেই। ততক্ষণে আমি আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক পাওলো কোয়েলহোর
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৮৮ বার দেখা
| ৫৯৫ শব্দ
বদরুদ্দীন চৌধুরী সাহসী লোক। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বিভাগের কর্মকর্তা। দায়িত্বের দায়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়ান। এবার রাজশাহী বিভাগের এক জেলায় এসেছেন। অফিসের বন্দোবস্ত করা অভিজাত হোটেলে উঠেছেন।
বদরুদ্দীন সাহেব একা ঘুমোতে পারেন না। সমস্যা হয়। তার মনে হয় হোটেলের রুমে আরো কেউ আছে।
সৈয়দ আবিদ আনোয়ার। এনজিওর প্রকল্প পরামর্শক। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এক নামে চেনে। খ্যাতি, প্রভাব, প্রতিপত্তি, অর্থ-যশ সবই অর্জন করেছেন। ইদানিং অবসর নিবার কথা ভাবছেন।
তিনি অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। এগারো তলার ফ্ল্যাটের দখিনমুখী বারান্দায় ইজিচেয়ারে গা এলিয়ে ইন্সট্রুমেন্টাল আর রাগপ্রধান গান শুনেন। পনেরো দিন
ভালো থাকিস তুই
জানিস এখন টুপটাপ শব্দ বাতাসে। আর আমি কান পেতে নিঃশ্বাস বন্ধ করে শুনতে চেষ্টা করছি। যদি তোকে কিছুটা হলেও শোনা যায়। বড় বেশি ভেজা চারপাশ। শব্দেরা তরঙ্গে তরঙ্গে তবু খেলে যায় লুকোচুরি। আমার আঙুলের ডগা বেয়ে ছুঁয়ে যায় মন, চোখ। অনেকটা অবকাশ
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮৪২ বার দেখা
| ২২৩ শব্দ
আলো মেখে ভালো থাক তুই
জানিস তো চিঠি আমার বড্ডো প্রিয় আজও। যদিও জানি সমস্ত প্রিয় জিনিস, প্রিয় মানুষ হাতের মুঠি থেকে বেড়িয়ে গেছে তাদের পছন্দ মতো। একা আমি দাঁড়িয়ে থাকি আর তাদের চলে যাওয়া দেখি। তবুও এই আধো আলো ভোরে, মনে মনে চিঠি লিখি
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৬৫ বার দেখা
| ৩০৮ শব্দ
আমার ভুলে থাকা মন-৫
জানিস মন আজ বিকেলের বৃষ্টিতে খুব ভিজলাম, বৃষ্টির জলে অনেকটা ধুয়ে গেছে আমার কষ্টেরা। বার বার মনে করেছি তোকে। জানি অনেক লেখার মতন এ লেখাও পাবে না তোর ছোঁয়া। তবু আজ চোখ দুটো বড় টলটলে দিঘী। ডুব জলে সেই কবে আনমনা
জীবন|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৪৫ বার দেখা
| ২৪৭ শব্দ
জলবিম্ব ভেসে ওঠে, দুলে যায় দলে দলে অনেক চিত্রপট –
দেখি আমার অবয়ব? ঠিক আমি নই…আমার মত দু’পেয়ে মানুষ;
তবু সে যে আমার বাংলাদেশ। নিত্য অহংকারে আমারই বাংলাদেশ।
__________________________
___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি
আজকের আলোচনা ক্ষমা নিয়ে :-
“একেবারে চূড়ায়, মাথার খুব কাছে আকাশের নিচে বিপুলা পৃথিবী,
চরাচরে তীব্র নির্জনতা। আমার কণ্ঠস্বর সেখানে কেউ শুনতে পাবে না।
আমি ঈশ্বর মানি না, তিনি আমার মাথার কাছে ঝুঁকে দাঁড়াবেন না।
আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য করে বলবো, প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী,
এখানে আমি একা—এখানে আমার
জীবন|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯০৫ বার দেখা
| ৭৭৩ শব্দ
খেলা ঘর বাঁধতে লেগেছি
কখনও এমন রাত আসে, যেসব রাতে, একলা চাঁদের পাশে লক্ষ কোটি চাঁদ জ্বলে ওঠে। সেসব রাত আসে
এখনও আসে মাঝে মাঝে। রূপকথার ঘুম-পাশ কেটে সেসব রাতেরা কালও এসেছে। ডুবিয়ে দিয়েছে গাঢ় অন্ধকারে। সবগুলো রাত শুধুই অন্ধকার নয়, কিছু রাত বখাটে, বেপরোয়া
জীবন|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২২১ বার দেখা
| ২৭৯ শব্দ
ঝরা হলুদ পাতা
সকালে কোনোক্রমে নাকে মুখে গুঁজে দৌড়ে স্টপে এসেই দেখল একটা অটো বেরিয়ে যাচ্ছে। এক হাতে অফিসব্যাগ সামলে অন্য হাত তুলে চিৎকার করে অটোটা থামাল অনীশ। পড়ি কি মরি করে সামনের সিটে নিজেকে গুঁজে দিতেই অটোওয়ালা ধাঁই করে ছেড়ে দিয়েই স্পিড বাড়িয়ে দিল।
আর
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩৩ বার দেখা
| ৩১২ শব্দ
সাজ্জাদ হোসেন একটা কর্পোরেট হাসপাতালে চাকুরী করেন, একাউন্টস বিভাগের জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। ভালো বেতন পান, ওভারটাইমও পান- তাই ডিউটি টাইম আর সাপ্তাহিক ছুটির ঠিকঠিকানা নাই।
বাড়ির বাজার সাজ্জাদকেই করতে হয়। তিন মাস আগে বাজার করতে গিয়ে ব্যাপারটা প্রথম ঘটে। সে তিন কেজি ফার্মের মুরগি কিনেছে।