অমীমাংসিত লেফাফা ৩
বিবেকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে যে উচাটন মনোভাব তোমাকে
নীল দংশন করছে, তাকে তুমি ভুল করে অতৃপ্তি ভাবছো।
আমাদের গতানুগতিক জীবন ধারায় যে ভালোবাসা
শুধুই হৃদয় ছুঁয়ে যায়; তাকে তুমি অন্য কোন কিছু
ভেবে নিজেকে প্রতারিত করছো, আর ছোট করে ফেলছো
নিজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। কোন দিন কোন ভালোবাসা
যদি শুধুই
স্বর্গীয় আরণ্যক-৭
আরণ্যক তোর রক্তের মাঝে যে স্বভাব আছে
আরাধনা করে তা কি দূর করা সম্ভব?
তোর স্বভাব কিছু দিনের জন্যে ঘুমিয়ে যেতে পারে
যখন স্বভাব আবার ঘুম থেকে উঠবে
তখন তুই কি করবি?
আরণ্যক তুই যা জানিস
তা ছোট একটা বাচ্চাও জানে
প্রতিদিন তুই যা ধ্যান করে জেনেছিস
তা আগে থেকেই জানত
এক পেত্নীর আত্মকথা
♦
গণ ভবন নয়
গণ কবরস্থান
তার পাশের নদীর ধারে শ্মশানঘাট
ঐ যে দেখা যায় উজ্জ্বল পতিত জমিনটা
তার পিছনেই এক পেত্নীর বসবাস
অল্পদিনের খুব প্রিয় একজন হয়ে উঠেছে
একাকিত্বে তার অনুপস্থিতি খুব অনুভব করি
যদিও সে কখনোই আমার নয়, তবুও
তারও দুঃখ আছে, আছে সুখানুভবের অনুভূতি
রাত গভীর
বহু দিন আড্ডা দিইনি এমন জমজমাট। যদিও আড্ডার স্থান ছিল টিএসসি, শেষ মুহুর্তে আমরা সবাই টিএসসি থেকে চলে যাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ঘাসের উপর বসেছি বহুদিন হয়ে গেল। সেই কবেকার পরে আবার আমরা গতকাল বসলাম ঘাসের ডগায়। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার পথে পথে কতদিক দিক
আপনার বাড়িতে যে কাজ করে, সে আপনার চাকর। আর আমরা যারা সরকারী চাকরী করি তারা সরকারের চাকর। আর সরকার যেহেতু জনগনের টাকায় চলে, সেহেতু জোর গলায় বলা যায়, যারা সরকারের চাকর, পক্ষান্তরে বা সত্যিকারে তারাই জনগনের চাকর।
কানাকে কানা বলতে নেই। এই সূত্রে চাকরকে সেবক
আপনারা সবাই জানেন আড্ডা দেয়ার আহবানে গত ১২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে একটা পোস্ট দিয়েছি। তাতে সাড়া মিলেছে প্রচুর। অনেকে মন্তব্যের মাধ্যমে সাড়া দিয়েছেন। অনেকে ইনবক্স করেছেন। ফোন করেছেন কেউ কেউ। আমি অভিভূত। বুঝা যাচ্ছে আড্ডায় আগ্রহীদের উৎসাহ চরম। সকলের এই উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রেক্ষিতে
স্বর্গীয় আরণ্যক-২
———-
ঠুনকো এক টুকরো মেঘের মত
আরণ্যক তুমি হারিয়ে গেলে
বলিষ্ঠ গোলাপের মত তুমি ফুঁটেছিলে
এখন তোমাকে পাওয়া যায় না খুঁজে
হেটে হেটে চলে গেলে আমাদের শহর ও গ্রাম থেকে
প্রতিদিন তোমার জন্য প্রিয়সী পথ চেয়ে থেকে
লোকালয় ও শহর ঘুরে ঘুরে
তোমার মত পাগোল একখান জোটেনি বলে
প্রিয়সি তোমার রয়ে
তোমার জন্যে
আমি না হয় সকাল বেলার শিশির ভেজা ঘাসফুল হবো
কিংবা ঘন কুয়াশায় ভারি চাদর হয়ে তোমার গায়ে লেপ্টে রবো।
না হয় আমি কৃষ্ণপক্ষের রাতে ভরা পূর্ণিমার চাঁদ হবো
দখিনা জানালা খুলে আমায় তুমি দেখে নিও।
কার্তিকের ক্ষুধার দিনে আমি না হয় নবান্নের ধান হবো
হেমন্তের সজীব হাতে কোমল
এই এক-ই আকাশের নীচে থাকি তুমি ও আমি
প্রতিদিন তোমার বাড়ির প্রায় কাছাকাছি রাস্তা দিয়ে যায়
যে বাতাসগুলো তোমাকে স্পর্শ করে
সেগুলোও হয়ত আমাকে স্পর্শ করে
আচ্ছা প্রীয়সি পৃথিবী আমাদের এত আপন করে
এ ভাবে ফেলে দিল কেন?
সীমানা পেরুলো আইন লঙ্ঘন হয় কেন?
দেখ ইশ্বরের সৃষ্ট নৃশংস মানুষগুলো দেহ
শব্দনীড় ব্লগে ঠিক এই মূহুর্তে কতজন উপস্থিত বলুন তো !! অনেকদিন শব্দনীড়ে ব্লগাদের উপস্থিতির এমন স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা যায় নি। এসে ফিরে যান।
সেই কাকভোর থেকে বিরামহীন বৃষ্টি আর সাপ্তাহিক ছুটির এই অবসরে আমার মতো ঘরে বাইরে থেকে যে যার সামর্থ্য
বাংলা সাহিত্যাকাশের নক্ষত্র
অন্ধরা তোমার আলো দেখেনি
দেখবেও না, এটাই স্বাভাবিক
পেঁচার এক চোখ কোটরে থাকে
লক্ষীর ভাড় তো দেখেনা
সুন্দর-শুদ্ধতার পূজারী
সাহিত্যের মহান সাধক
তোমার রয়েছে শুদ্ধ পাঠক