[গুরুচরণ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে কয়েকজন পড়ুয়া এবং দুইজন শিক্ষক। শিক্ষকরা আলোচনারত।]
অমায়িক পাড়ুইঃ তাহলে বলছেন আমার ছাত্ররা পুরোপুরি প্রস্তুত। মানে আসন্ন সাক্ষাৎকারের মোকাবিলায় ওরা তৈরী।
ঝিলমিল মুখার্জীঃ বললাম তো যা বলার বলেছি এবং যা করার করেছি।
অমায়িকঃ না মানে যদি একটু জোর দিয়ে বলেন
মাস্কাট আউটার এঙ্কারেজে পৌঁছে ফরিদাকে খুঁজে পেতে কোন অসুবিধা হলো না। ফরিদার এক মাইলের মধ্যে ওদের দেয়া ইটিএ অনুযায়ী ঠিক ভোর সাড়ে পাঁচটায় নোঙ্গর করে রেডিওতে গ্রে বাহরাইনকে জানিয়ে দিল।
ব্রিজের টুকিটাকি কিছু গোছগাছ করতে করতে সকাল ছয়টা বেজে গেল। ব্যাস, এখনকার মত ওর ডিউটি
সতত অপর্যাপ্ততা এবং অর্থপ্রাপ্তির সুনিশ্চিত সম্ভাবনা না থাকার পরও শব্দনীড় ব্লগ গত এপ্রিল’১৮ থেকে অনিয়মিত ভাবে দুই দফা বন্ধের পর নিয়মিত ভাবে চলছে।
শব্দনীড় লেখকরা কেউ হয়তো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আবার কোন কোন লিখা আরোপিত। তাদের কেউ কেউ তাদের লিখায় পাঠক
একটি মধ্যম আলোকিত কক্ষ। একটি বড় ও একটি ছোট টেবিল। একপাশে ডাঁই করে রাখা কিছু প্লাষ্টিকের চেয়ার। পেছনে কাঠের তিনতাকে কিছু নূতন পুরানো বইপত্র। এক যুবতী চেয়ারে বসে একমনে কিছু পড়ছেন। উপরে একটি ব্যানারে লেখা ধ্রুবতারা
আমাদের দেশের কেউ যদি এই ভাবে কোন দেশে পৌছাতে পারত তাহলে আমরাও আজ বিশ্বজুড়ে রাজত্ব করে বেড়াতাম। কি জানি তারা কেউ কি এভাবে চিন্তা করেছিলো? মনে হয় না। কারণ ইতিহাস দেখলে দেখা যায় আমাদের
দেশের কোন নাবিক টেন্ডল বা সারেঙ্গের উপরে যেতে পারেনি। তাদের
আপনার ভাবনাকে আপনি কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন? যতদূর আপনি ভাবনার গণ্ডি তৈরি করতে পারবেন।
এই ভাবনার গণ্ডি আপনি কতদূর প্রসারিত করতে পারবেন? যতদূর আপনি আপনার জ্ঞান বোধ বুদ্ধি প্রসারিত করতে পারবেন।
এই জ্ঞান বোধ বুদ্ধি আপনি কতদূর প্রসারিত করতে পারবেন? যতদূর যত বেশি আপনি শিক্ষা
লেখা জিনিসটা খুব একটা সুবিধার কিছু নয় বলে মনে হচ্ছে। কেননা এতে গা জুড়োবার কোন ব্যাপার নেই। যত উত্তমই লেখো তা বেশীক্ষণ হাতে গরম থাকবে না। আর সর্বদা উত্তম তো সোনার পাথরবাটির মত অসম্ভব ব্যাপার। এ-সবই কিছুক্ষণের আমোদ প্রমোদের মত ব্যাপার।
প্রেমও ঠিক তাই। সবারই
কয়েকদিন পরেই নিশাত তাদের বাড়ির পাশেই পথের পাড়ে বিরাট এক লেবু গাছের নিচে বসে সমবয়সী মইন চাচার সাথে গল্প করছিলো এমন সময় ওরা কয়েক জন এক সাথে ওই পথেই স্কুলে যাচ্ছিল। হঠাৎ চোখে চোখ পরে গেল।
কি কথা হলো কি না হলো কে জানে! ওর
ল্যাম্পপোষ্ট
কতকাল নির্বিকার দাঁড়িয়েই আছে।
কচুবন গেছে, নালাও বুঁজেছে।
গাছ পালা অনেক সাফ হবার পর
এখন ফ্ল্যাটের জানালাও তাকে চিহ্ণিত
বিপদ বলে ডাকে।
সে কি কারো ডাক বোঝে?
মান অপমান?
ইতিহাস-কথকতা, প্রেম?
সে কি শুধু আমাদেরই প্রয়োজন
নাকি সমাধিস্থ প্রজ্ঞা অথবা
আমাদের সকল প্রতীক্ষার
লম্বমান ছবি চিরায়ত!
কত কথা নড়ে গেল
প্রতিজ্ঞা ফানুস হয়ে উড়ে গেল
সরকার ,
সুপ্রিয় বন্ধুরা, এতদিন নীরব দেখে কি ভেবেই নিয়েছিলেন য়াহা! লোকটা বুঝি হারিয়েই গেল! না বন্ধুরা হারাইনি বা ভুলেও যাইনি। জীবনের তাগিদে নিতান্ত ব্যস্ততায় কিছুটা আড়ালে ছিলাম। আজ একটু সুযোগ পেয়ে আবার আসলাম এই শব্দনীড়ের ছায়ায়। আশা করি এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি স্বগুনে মার্জনা করবেন। না
দুই বন্ধুতে গল্প হচ্ছে।
একজন বলছে : সভ্যতার এই অভাবনীয় অগ্রগতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আজকের যে অভূতপূর্ব উত্থান, এর মূলে রয়েছে আশাবাদী ও নৈরাশ্যবাদী দুদলেরই সমান অবদান।
অন্যজনের উৎসুক প্রশ্ন :
চলুন অধ্যাপক সাহেব আর একবার ঘুরে আসি ইতিহাসের পাতা ধরে।
ধরুন কমলালেবু একটা স্বর্গ। আপনি একটা নরক।
আপনি লিলিথের হাত ধরে চলে গেলেন স্বর্গের মধুর নহরে।
ওই যে দেখুন উলটো করে শুয়ে আছে আঙ্গুর গাছ।
তাকালেন না সেদিকে।