আমাদের চট্টগ্রামে দুইটা ভাষা। একটা চাটগাইয়া আর একটা বাংলা। আমরা যারা পুরনো দিনের মানুষ আমরা ছোটবেলায় শুধু চাটগাইয়াতেই কথা বলতাম। বাবা মা ভাইবোন আত্নীয় স্বজনদের সাথে সেই ভাষাতেই কথা বলতাম।
আর একটূ বয়স হলে স্কুলে গেলাম সেখানে আমরা বাংলা শিখলাম। আমাদের শিক্ষকরাও দোভাষী চাটগাইয়াও

“বাংলা মায়ের বাংলা ভাষা” কবিতাটি দেশাত্মবোধক কবিতা। বাঙালির আশা, বাঙালির ভাষা, বাংলা মাতৃভাষার উপর কবিতাটিতে আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলা ভাষা সবার প্রিয় ভাষা, সবার পছন্দের ভাষা, সবার হৃদয়ের ভাষা। জাতীয় চেতনা জাগ্রত করার লক্ষ্য নিয়ে কবি কবিতাটির উপস্থাপনা করেছেন।

বাঁধো আমাকে তুমি মায়ার জালে
অন্তস্থলে তোল তুমুল ঝড় —
আমার দু’পায়ে বেঁধে দাও পথ ,
আমি হাঁটব সেই পথ ধরে
অনন্ত কাল :
তুমিও রবে সাথে ,
আমরা উদ‍্যান কিম্বা বিশাল হাইওয়ে ধরে
একটু বেড়িয়ে আসতে পারি ।
অথবা যেতে পারি সমুদ্রের কাছাকাছি
আমরা শুনতে পারি সমুদ্রের গর্জন
আর ঢেউ এর তালে নিজেদের
হারাতে

২১শে ফেব্রুয়ারি তুমি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
স্বাধীনতার পটভুমি,
তোমার জন্যে পেয়েছি আজ
স্বাধীন মাতৃভূমি,
২১শে ফেব্রুয়ারি তুমি শহীদ মিনার
সকালের প্রভাত ফেরি
লক্ষ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে,
শহীদদের দেখা স্বপ্ন একটি দেশ
প্রিয় মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশ
একটি স্লোগান
বাংলা আমার মাতৃভাষা চির অম্লান,
২১শে ফেব্রুয়ারি আমার অহংকার
সন্তানহারা

শব্দনীড় ব্লগের তাবৎ ব্যয়ভার নির্বাহে অর্থ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে, যেকোন প্রতিষ্ঠানের কর্ম পরিচিতি অথবা বিশেষ কোন ইভেন্ট প্রচার; যা শব্দনীড় এর বিজ্ঞাপন নীতিমালার আওতায় পড়বে, তা প্রচার এবং প্রসারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবচেয়ে ভালো হয় কোন

যদি হৃদয়কেই করবে জখম তবে
সহসা কেন এসে দাড়ালে
এই অবেলায়,
ওই শেষ বিন্দুতে আমি আজো আছি
যেখানে তুমি বলেছিলে ভালোবাসি
কোথায় যেন আমি দাড়িয়ে
রই অযৌক্তিক অপেক্ষায় অনেকবার দেখেছি আয়নায়
এগিয়ে গিয়েছি কিন্তু
সে এক হারানো প্রতিধ্বনি,
নিজেকে লুকাতে চায় মানুষ অদৃশ্য খোলে
কিন্তু সব কিছুই কি নিজের
নজরে লুকানো

বুকের ভেতর কেমনে ভাসে
একলা সমুদ্দুর –
বুকের ভেতর কেমনে বাজে
অচেনা এক সুর । বুকের ভেতর কেমনে কাঁদে
চেনা একখান মুখ –
চোখের ভেতর কেমনে পোড়ে
কাঙ্ক্ষিত সব সুখ ! বুকের ভেতর কেমনে বাড়ে
অচেনা সব কষ্ট :
বুকের ভেতর ভালবাসার
সব আশা যে নষ্ট! ভালবাসার স্বপ্ন পোড়ে
ইচ্ছে ডানার রোদ্দুরে,
একলা কাটে মধ‍্যরাত্রি
ও

মাঝে মধ্যে কি যে হয় কবিতার শব্দরা
পালিয়ে বেড়ায় বহুদূরে —
গুচ্ছ গুচ্ছ শব্দরা তখন
ছোট্ট খরগোশ ছানা হয় ,
আর আমি চোখ বেঁধে খরগোশ ছানার পিছে ছুটছি অনন্ত কাল

আজ আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নাই ;
তাইতো পড়ে আছি ঘুণে ধরা শহরের চৌকাঠ ধরে ,
বখে যাওয়া শহরের কাছে কিছু চাওয়া নাই ;
এ সমাজের প্রচ্ছদ জুড়ে শুধু অার্তনাদ খেলা করে ৷ এ রঙের দুনিয়ায় কোন কিছুই চাওয়ার নাই ;
তাইতো চাওয়া পাওয়া সব

তোমায় এতো ভালোবাসি বলে আকাশটা নীল রঙ্গে সাজে
আবার কখনো কখনো শ্রাবণের মেঘলা আকাশ
এসেছে বসন্ত
শুভ্রতা ঝড়ে পড়ছে নরম ঘাসের উপর
মন হু হু করা দখিনা বাতাস স্নিগ্ধ
অরণ্য অঝর ঝর্নার মুখর শব্দ
ফুলের সৌরভ রহস্যময় সবকিছু এলোমেলো
কেবলই আমার প্রেমের মধ্যে
তোমায় এতো ভালোবাসি