(Bolon Kaiji’s prediction about the Third World War)
বলন কাঁইজির ভবিষ্যদ্বাণী (The prophecies of Bolon Kaiji)
বলন কাঁইজি গত ২০০০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে ১০টি ভবিষ্যদ্বাণী করেন। অতঃপর; তাঁর জ্ঞানশিষ্যগণ তা লেখে রাখেন। গত ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তাঁর জ্ঞানশিষ্যদের উদ্যোগে কাঁইজির গ্রন্থিত প্রায় ৫০০ বলন সংকলিত হয়। অতঃপর; উক্ত বলন হতে ৩১৩ বলন সংকলন করে ‘বলন তত্ত্বাবলী’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ঐ গ্রন্থের ২৮ পৃষ্ঠায় ‘বলন কাঁইজির ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ’ উপশিরোনামে নিচের এই ভবিষ্যদ্বাণীটি ছাপা হয়। এটি এক নং ভবিষ্যদ্বাণী।
পরবর্তীকালে কাঁইজির আরেক জ্ঞানশিষ্য নাগর কাঁইজি (ছিদ্দিক কাঁইজি) ‘বলন কাঁইজির সংক্ষিপ্ত জীবনী’ গ্রন্থ নির্মাণ করেন। এই গ্রন্থটি এখনও প্রকাশিত হয় নি। এই গ্রন্থেও কাঁইজির ভবিষ্যদ্বাণীগুলো স্থান পেয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিষয়ক জ্ঞানার্জনে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে বলে আমরা আশা করি।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (The third world war)
মানুষের নিকট এমন এক সময় অতিক্রম করবে; যখন বিশ্ব দুই বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়বে। এক পক্ষে থাকবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য দল এবং অপর পক্ষে থাকবে বৃহৎ শক্তিশালী মাত্র ২টি দল। উক্ত দল দুটির প্রধান লক্ষণ হলো; তাদের এক দলের বসন হবে সাদা এবং অপর দলের বসন হবে কালো। তারা অভেদ্য দূর্গের মধ্যে কঠিনভাবে অবস্থান করবে। বর্তমান বিজ্ঞানের নির্মাণ কোন যন্ত্রই তাদের গোপন দূর্গের সন্ধান করতে পারবে না। তারা সেখান থেকে স্বয়ংকৃত অস্ত্রের সাহায্যে তুমুল যুদ্ধ করবে এবং সারা বিশ্বে অবর্ণনীয় ক্ষতি সাধন ও ধ্বংসযজ্ঞ সংঘঠিত করবে। এ যুদ্ধে নিরপেক্ষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশগুলোও বাঁচতে পারবে না। উক্ত দল দু’টি গোপনে গোপনে এত শক্তি অর্জন করে বসে থাকবে যে; বিশ্ববাসী তা টের করতেও পারবে না। এ যুদ্ধে এমন সব আধুনিক মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে; যা পূর্বে একবার হয়েছিল। তবে; পূর্বে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির চেয়ে অনেক শক্তিসম্পন্ন যন্ত্রাংশ এ যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে।
দেশ দু’টি ১০ ধাতু যোগে দূরপাল্লার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এমন সব বিমান নির্মাণ করবে; যা নাকি একবার মাত্র ব্যবহার হবে। বিমানগুলো মৌমাছির মত ঝাঁকে ঝাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তারা নির্ভুলভাবে অভিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। তারা যেখানে আঘাত হানবে; তা চিরতরে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। সাথে সাথে বিমানটিও বিধ্বস্ত হবে। যেখান হতে যেটিকে পাঠান হবে; তা আর কোনদিন দূর্গে ফিরিয়ে আনা হবে না। যেমন; তীরন্দাজ বাহিনীর নিক্ষিপ্ত তীর একবার ছুড়ে দিলে আর ফিরে আসে না। আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক শক্তিশালী যন্ত্রও সে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিমানগুলোকে প্রতিহত করতে পারবে না। বিশ্বের সব বিজ্ঞানী একত্র হয়েও উক্ত দেশ দু’টির গোপন দূর্গগুলো চিহিৃত ও ধ্বংস করতে পারবে না। অথচ; দূর্গগুলো থাকবে তাদের দূর্গের সামনেই। এমনভাবে; দুর্ভেদ্য ভাসমান দূর্গ তারা নির্মাণ করবে; যা সহজে স্থানান্তর করা যাবে। যেখান থেকে যুদ্ধ করা হবে; তা চিহিৃত হলেই তারা তা জানতে পারবে। শত্রুপক্ষ আক্রমণ পরিচালনা করার পূর্বেই তারা উক্ত ভাসমান দূর্গগুলো অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিবে। তাদের এ অভিনব যুদ্ধ কৌশল দেখে সেদিন সারা বিশ্ববাসী হতবাক ও বিস্মিত হবে। তাদেরকে লক্ষ্য করে যেসব অস্ত্রাদি নিক্ষেপ করা হবে; তাতে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উক্ত দেশ ২টির তেমন কোন ক্ষতিই হবে না।
অবস্থান (Location)
উক্ত দেশ দু’টির অবস্থান হবে ভূভাগের মধ্য ভাগের পশ্চিমে। দেশ দু’টি খনিজ সম্পদ ও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে অত্যন্ত অগ্রসর হবে। তারা নৈতিক আচরণেও বিশ্বের সেরা হবে। যুদ্ধোত্তর ৩ দশকে তারা নিজেরাই ধ্বংস প্রাপ্ত হবে।
সূচনা (Start)
সামান্য একটি ভূখণ্ডের পুনরুদ্ধারকে কেন্দ্র করে এ ধ্বংসশীল মহাযুদ্ধের সূচনা হবে। যুদ্ধটি এমন সময় আরম্ভ হবে; যখন উক্ত দেশ দু’টি ব্যতীত সারা বিশ্ববাসী একজনকে বিশ্ববরেণ্য ও মহাশক্তিশালী নেতা রূপে গ্রহণ করবে।
স্থায়িত্বকাল (Stability)
মহাধ্বংসশীল এ যুদ্ধটি নয় মাস স্থায়ী হবে।
ক্ষয়ক্ষতি (Damage)
মরণঘাতি এ মহাযুদ্ধে বিশ্বের তিন ভাগের দুই ভাগ লোকই মারা যাবে। সর্ব প্রকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বিকল হবে। আধুনিকতা বলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। এমনকি; মাত্র ২৮ মাইল দূরে কোন সংবাদ পাঠাতে পুরো একদিন সময় লাগবে। কিন্তু উক্ত যুদ্ধবাজ দেশ দুটির তেমন কোন ক্ষতি হবে না।
সূচনাকাল (Start time)
যে মাসের ৩ তারিখ শনিবার হবে; সে দিনই যুদ্ধ আরম্ভ হবে। তা যে কোন সময় হতে পারে।
আত্মরক্ষার উপায় (Bulwark)
যদিও; আত্মরক্ষার কোন উপায় থাকবে না। তবুও; একমাত্র কুকুর প্রিয় লোকগণ আত্মরক্ষা পাবে। বেঁচে যাওয়া অধিকাংশ পুরুষ তাদের পুরুষত্ব হারিয়ে নারীত্ব বরণ করবে। রাস্তাঘাটে নারীদের একচেটিয়া উপদ্রপ হবে। নারীরা যত্রতত্র সমর-সংগ্রাম সৃষ্টি করবে। চিকিৎসাবিদ্যা প্রায় বিলুপ্ত হবে। চিকিৎসার অভাবে অবশিষ্ট লোকের অধিকাংশই মারা যাবে।
সূত্রতথ্য;
বলন তত্ত্বাবলী;
লেখকঃ বলন কাঁইজি
আনন্দ পাবলিশার্স; ৩৮/৪ক, বাংলাবাজার, ঢাকা- ১১০০
প্রকাশকাল; ২৯ ফাল্গুন, ১৪১৪ বঙ্গাব্দ; ১২ মার্চ, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ।
বলন কাঁইজির জীবনী; লেখকঃ নাগর কাঁইজি (ছিদ্দিক কাঁইজি)
loading...
loading...
ভয়ংকর বার্তা!
loading...
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
loading...
পিলে চমকে দেবার ভবিষ্যদ্বাণী !!
আমরা সকলেই চাইবো মানব সভ্যতা দীর্ঘজীবি এবং অমর হোক।
loading...
সাথে থাকার জন্য ভালোবাসা রইল।
loading...
আত্মরক্ষার উপায় (Bulwark)
যদিও; আত্মরক্ষার কোন উপায় থাকবে না। তবুও; একমাত্র কুকুর প্রিয় লোকগণ আত্মরক্ষা পাবে। বেঁচে যাওয়া অধিকাংশ পুরুষ তাদের পুরুষত্ব হারিয়ে নারীত্ব বরণ করবে। রাস্তাঘাটে নারীদের একচেটিয়া উপদ্রপ হবে। নারীরা যত্রতত্র সমর-সংগ্রাম সৃষ্টি করবে। চিকিৎসাবিদ্যা প্রায় বিলুপ্ত হবে। চিকিৎসার অভাবে অবশিষ্ট লোকের অধিকাংশই মারা যাবে
যদি এরূপ ঘটে সেটা করুন হবে।
loading...
আসলে কী? কিছুই বুঝতে পারিনি।
loading...