রাফি ভাইকে কখনো কাঁদতে দেখি নি। শত আঘাতেও সবসময় হাসিমুখ করে থাকতেন। কিন্তু যেদিন তার স্ত্রী সামান্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন, সেদিন তার চোখে আমি পানি দেখেছিলুম, ভালোবাসার আকুলতা দেখেছিলাম। একটা সময় পর রাফি ভাইয়ের চাকুরি চলে গেল। সংসারে খুব অভাব ছিল কয়েক বছর। সেই সময়টাতে তার প্রিয়তমা স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায় ‘খোলা তালাক’ নিয়ে। সেদিন রাফি ভাইকে আমি দ্বিতীয়বার কাঁদতে দেখেছিলাম।
রাফি ভাইয়ের ঘরে আবারো প্রাচুর্য ফিরে এসেছে, খুব ভালো একটা চাকুরি হয়েছে তার। রাফি ভাই একদিন এসে বললেন-
: ভাই, বৌটা কান্নাকাটি করে বলছে ভুল হয়ে গেছে। এখন সে আবার সংসারে ফিরতে চায়।
: যে মেয়ে আপনার বিপদে আপনাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে, তাকে আবার জীবনে আনতে চান, ভাই?
: সবই ঠিক আছে, কিন্তু আমি তারে ভালোবাসছিলাম তো!
: ভাই! ভালো তো সেও আপনাকে বেসেছিলো! কি প্রতিদান পেলেন!
রাফি ভাইয়ের চোখে আবারো পানি দেখলাম, তৃতীয়বারের মত…।
খুব বলতে ইচ্ছে করছে- রাফি ভাই, সে আপনার ভালোবাসা পাবার যোগ্যই নয়। কিন্তু…. থাক…। রাফি ভাইরা হয়তো এযুগের মানুষ নয়, এযুগের মানুষগুলো এতটা ভালো হয় না। ভালো থাকুক রাফি ভাইয়ের ভালোবাসা। আল্লাহ ভালো রাখুন তাকে।
[Re-writing: Kamal Uddin Mehedi.
একটি সত্য জীবনগল্প অবলম্বনে ছায়াগল্প। মূল কাহিনীর লেখকদ্বয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।]
loading...
loading...
ভালো থাকুক রাফি ভাইয়ের ভালোবাসা। আল্লাহ ভালো রাখুন তাকে। তাঁর জন্য শুভকামনা। ঈদ মোবারক মি. কামাল উদ্দিন মেহেদী।
loading...
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। ঈদ মোবারক
loading...
হোক ছায়া গল্প। তারপরও অসাধারণ লিখেছেন।
loading...
loading...
২টি অনুগল্প কে নিজের ভাষায় লিখেছি মাত্র
loading...
ভালো থাকুক ভালোবাসা ভালোবাসায়।
loading...
loading...
পুনর্লিখন সুন্দর হয়েছে দাদা।
loading...
২টি অনুগল্প কে নিজের ভাষায় লিখেছি মাত্র
loading...
সুন্দর।
loading...