আমি পথের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি, সামনে সীমাহীন জল-সমুদ্দুর, এখানেই পথের শেষ…। অনেকটা পথ হেঁটে এসেও, হয় নি দেখা তোমার সাথে।
ভারতের তামিল নাডু রাজ্যের চেন্নাই শহরে এসেছি গত কয়েক দিন হলো। এই কয় দিনে যেসব অভিজ্ঞতা পেলামঃ
১) স্থানীয়রা সাধারণত তামিল ভাষায় কথা বলে, হিন্দিতে না। হিন্দি ওরা বলতেই চায় না। বেশীরভাগকেই হিন্দি/ ইংরেজীতে প্রশ্ন করলে উত্তরে তামিল বলে। তবে উচ্চ শিক্ষিত/ তরুণদের ইংরেজী ভাষায় প্রশ্ন করলে সুন্দর করে জবাব দেয়।
২) ড্রাইভারদেরকে ভাষা বোঝানো কষ্টকর। কখনো কখনো এরা বিদেশী পেলে আকাশ-পাতাল ভাড়া চেয়ে ঠকায় না, আবার মাঝে মাঝে অনেক বেশীও চায়।
৩) কোলকাতা, চেন্নাই সব জায়গায় শতকরা ৮০% নারীই বুকে ওরনা পরে না, হোক সে বুড়ি বা ছুড়ি। সে জন্যে রাস্তায় দৃষ্টি সংযত রেখে হাটা মুশকিল। প্রচুর মেয়েরা স্কুটি চালায়। তবে স্কুটি চালানোর সময় এরা প্রচন্ড রোদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ওরনা দিয়ে মুখ ও হাত ঢেকে রাখে (নিকাবের মত)।
৪) খাবার বাংলাদেশের সাথে ৯০% ই অমিল। বিরিয়ানির চেয়ে ভাতের দাম বেশী। যেখানে বিফ বিরিয়ানি ৭৫ রুপি, সেখানে খালি সাদা ভাত (মাছ/ গোশত ছাড়া) ই ৬৫ থেকে ৯০ রুপি (দোকানের মানভেদে ৪০ রুপিও রয়েছে)। তবে ভাতের সাথে তিন-চার পদের সবজি ফ্রি। চিকেন বিরিয়ানি ১০০ রুপি। গোশতের চেয়ে মাছের দাম বেশী। হোটেলে দেখলাম মানুষ বিরিয়ানি, ভেজিটেবল, চিকেন এগুলোই বেশী খায়। শতকরা ৯৯% হোটেলে কলাপাতায় করে খাবার দেয়া হয় এবং নীচে স্টীলের প্লেট দেয়। থালা-বাটি, বাসন-কোসন সব স্টীলের, মেলামাইন বা কাঁচের কিছুই দেখলাম না।
৫) কলরেট সুলভ মূল্যে ও ইন্টারনেট সহজলভ্য। উচ্চগতির ইন্টারনেট। ভোডাফোনে ২৫০ টাকায় ২৮ দিনের পাওয়ার প্যাক কিনলে, পুরো ইন্ডিয়া জুড়ে যত মিনিট কথা বলতে চান, কল চার্জ ফ্রি+ প্রতিদিন দেড় জিবি করে ডাটা। এয়ারটেলেও এরকম সুলভ পাওয়ার প্যাক রয়েছে।
৬) চেন্নাই শহরটি ছিমছাম। চমৎকার বাড়িঘর, ওল্ড টাউনে তিন চার তলার বেশী উঁচু বাড়িঘর একদম কম। রাস্তাঘাট বেশ পরিস্কার। প্রচুর গাড়ির ফ্লো আছে, বাট জ্যাম নেই বললেই চলে। সবাই ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলে, কারন সিসি ক্যামেরা ফিট করা থাকে।
৭) বেশীরভাগ মানুষের গায়ের রঙ বাংলাদেশীদের চেয়ে কালো। মুসলিমরা বাদে আর সব পুরুষরা বিশাল গোঁফ রাখে ও কপালে তিল-চন্দন দেয়। গোঁফে এদেরকে বিশ্রি লাগে আমার কাছে। কিন্তু এটাই হয়তো ওদের কাছে ভালো লাগে।
৮) চেন্নাই সমুদ্র তীরবর্তী শহর। শহরের কোল ঘেঁষে বিশাল মেরিনা সী বীচ। কিন্তু বীচে প্রচুর মানুষ যায় এবং আমাদের কক্সবাজারের মতই বীচ অতটা পরিস্কার নয়। তবে সিকিউরিটির সমস্যা তেমন নেই বলে ধারনা করছি।
________________________
জানুয়ারী, ২০১৯
পুরাসাওয়াকাম, চেন্নাই, তামিল নাডু।
loading...
loading...
আমি পথের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি, সামনে সীমাহীন জল-সমুদ্দুর, এখানেই পথের শেষ…। অনেকটা পথ হেঁটে এসেও, হয় নি দেখা তোমার সাথে। __ দারুণ ক্যাপশন।
আপনার পোস্ট পড়ে খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নেয়া গেলো। কখনও গেলে কাজে লাগবে।
loading...
ধন্যবাদ ভাইয়া
loading...
চমৎকার ভ্রমণের এই অংশ টুকু। আগে পড়েছিলাম রেল ভ্রমণ।
loading...
স্বাগতম
loading...
অভিজ্ঞতা সমূহ সংগ্রহে রেখে দিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
স্বাগতম
loading...
ভীষণ ইচ্ছে করছে চেন্নাই যেতে। যা গরম পড়েছে ভয় পাচ্ছি।
loading...
শীত কালেই তাপমাত্রা ৩০ এর কাছাকাছি থাকে, তাহলে গরমে কি হবে ভেবে দেখুন!!
loading...
আপনার অভিজ্ঞতা আমাদেরও কাজে লাগবে।
loading...
স্বাগতম আপু
loading...