সেদিন এক তরুণী জিরাফের অদ্ভুত বাহারী রঙে মুগ্ধ হয়ে তাকে “লাভ ইয়্যু” বললাম। জিরাফটি সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করলো, আমি তার চেয়ে বেজায় খাটো বলে।
তারপর এক হরিণীকে ফুল দিয়ে প্রপোজ করলাম। সে হুট করে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। যেতে যেতে বলে গেলঃ “ফুল দিলেই কেউ ভালো হয়ে যায় না বন্ধু! তোমার লোভের কথা আমি জানি না বুঝি!”
কষ্ট পেয়ে টিঁয়া পাখির কাছে গেলাম এবং তাকে বেলি ফুলের মালা নিবেদন করলাম। নবাবের বেটি গাছের ডালে কিছুক্ষন ক্যাটওয়াক করে বললোঃ “বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়াও কোন সাহসে!”
মেজাজ খারাপ করে ময়ূরীর কাছে গেলাম, বললামঃ “তোমার বাহারী পেখমের বাতাসে, মন জুড়িয়ে আসে, আরো কিছু সময় তুমি, থাকো আমার পাশে…।” ছলনাময়ী ফরফর করে তার পেখম গুটিয়ে বললোঃ “জলের ধারে গিয়ে নিজের চেহারাটা দেখে আয় বেটা!”
মনের দুঃখে জলের ধারে গেলাম চেহারা দেখতে। জলের উপর উঁকি দিতেই দেখি, একখানি অগ্নিশর্মা বাঘিনীর মুখ! বুঝলাম বাঘিণী আমার প্রেমিক মনের খবর পেয়ে, আমায় প্যাঁদানোর জন্যে পেছনে অপেক্ষা করছে! তারপর…! বাকিটা বাঘ আর বাঘিনীর সংসারের নিত্যদিনকার ইতিহাস…! দৌড়…. দৌড়… দৌড়….।
[ইয়ং জেনারেশনের তরুন-তরুনী, বিবাহিত-অবিবাহিতদের নিয়ে এটি একটি হাস্যরসাত্বক স্যাটায়ার। “বাঘ মামা” সিরিজের এটাই প্রথম স্যাটায়ার, ক্রমান্বয়ে আরো আসবে ইন শা আল্লাহ।]
loading...
loading...
ফ্যানটাসটিক প্রেজেন্টেশন মি. কামাল উদ্দিন মেহেদী।
loading...
ধন্যবাদ, ভাই
loading...