মসজিদ হলো এমন একটি স্থান যেখানে মুসলিমগন মহান আল্লাহর কাছে সালাত আদায়ের মাধ্যমে প্রার্থনা করে থাকে। সারা বিশ্বে অনেক মসজিদ রয়েছে। আলোচ্য পোষ্টে বিশ্বের সুন্দরতম দশ মসজিদকে তুলে ধরা হয়েছে।
১০. Dearborn (ডিয়ারবর্ন) মসজিদ, মিসিগান, ইউ.এস. এ।
(ছবিটি তুলেছেন- Binkley27)
আলোচিত এই মসজিদটি মিসিগান স্টেটের ডিয়ারবর্ন শহরের এ্যামিরিকান মুসলিম সোসাইটির সাথে সংযুক্ত। এটি ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি হল যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত ২য় মসজিদ। ১৯৮০ সালে এই মসজিদটি একটি ’কোর্ট অর্ডারের’ মাধ্যমে প্রথমবারের মত মাইক ব্যবহার উচ্চস্বরে আজানের অনুমতি পায়। আজানের অনুমতি লাভের দিক থেকে এটিই এ্যামেরিকার ঐতিহাসিক প্রথম মসজিদ। শায়েখ হামুদ আফিফের নেতৃত্বে মসজিদটি পরিচালিত হয়। একসাথে ২০০০ মুসল্লি এতে নামাজ পড়তে পারেন।
০৯. শাহ ফয়সাল মসজিদ, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান।
(ছবিটি তুলেছেন- Virgomair)
শাহ ফয়সাল মসজিদ হলো পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটি ১৯৮৬ সালে মতান্তরে ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রতিষ্ঠিত হয়। তুর্কি স্থাপত্যবিদ Vedat Dalokay এটির ডিজাইান করেন। এই মসজিদটি তৈরি করতে ১২০ মিলিয়ন ইউ. এস ডলার ব্যয় হয়েছিল। এর মূল অংশে প্রায় ৭৪,০০০ মুসল্লি এবং সংলগ্ন অংশে ২,০০০০০ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে। এতে ৪টি মিনার রয়েছে। ৫৪,০০০ স্কায়র ফিট স্থান নিয়ে এর আভ্যন্তরীণ এরিয়া গঠিত।
০৮. মুহাম্মদ আলী মসজিদ, কায়রো, মিশর।
(ছবিটি তুলেছেন- Xaxier Fargas)
মিশরের কায়রোতে এই মসজিদটি অবস্থিত। ১৮৪৮ সালে মসজিদটির কাজ শেষ হয়। স্থাপত্যবিদ Yusuf Bushnak এই মসজিদের নকশা প্রণয়ন করেন। অটোমান স্থাপত্যশৈলিতে এই মসজিদটির নকশা করা হয়। ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যশৈলির দিক থেকে মসজিদটি বিখ্যাত। ১৯ শতকের প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় স্থাপত্যশৈলি ছিল এটি। মসজিদটি দৈর্ঘে ১৭১ ফিট ও প্রশস্তে ২৬৯ ফিট। এতে ২ টি মিনার রয়েছে। মসজিদের মূল গম্বুজটির চারপাশ সাজানো হয়েছে ৪টি ছোট গম্বুজ ও ৪টি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ দ্বারা।একসাথে ১০,০০০ লোক এতে নামায পড়তে পারে।
০৭. শাহ মসজিদ, ইস্পাহান, ইরান।
(ছবিটি তুলোছেন- Hesam)
ইরানের ইস্পাহানে অবস্থিত এই মসজিদটি ”ইমাম মসজিদ” নামেও পরিচিত। ১৬২৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে মিনারের সংখ্যা ৪ টি। মসজিদটির নির্মান ব্যায় ছিল ৬০,০০০ ইরানি মুদ্রা। স্থাপত্যবিদ Safavid এর নকশা করেন। প্যারিসিয়িান স্থাপত্যশৈলির একটি মাস্টারপিস হিসেবে একে বিবেচনা করা হয়। এই মসজিদটি ও Naghsh-e Jahan Square কে একত্রে ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ সাইট হিসেবে ইউনিস্কো অর্ন্তভুক্ত করে।
০৬. আল-আকসা মসজিদ, জেরুজালেম, ফিলিস্তন।
(ছবিটি তুলেছেন- Christopher)
আল আকসা মসজিদটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে বাইতুল মুকাদ্দাস নামে পরিচিত। এটি ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের পুরাতন শহরে অবস্থিত। এটি মুসলামানদের ৩য় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ’জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফ’ কর্তৃক এটি পরিচালিত হয়। এতে ২ট বড় গম্বুজ সহ ১০টি ছোট ছোট গম্বুজ, ও ৪টি মিনার রয়েছে। ৫০০০ এরও বেশি মুসল্লি এতে একত্রে নামাজ পড়তে পারে। ঐতিহাসিকভাবে এই মসজিদটি বিখ্যাত, কারন এটি ছিল মুসলমানদের প্রথম কেবলা। রাসূল (ছা.) ১৬ বা ১৭ মাস ধরে বায়তুল মুকাদ্দেসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছিলেন। অতঃপর ২য় হিজরী সারে ক্বেবলা পরিবর্তিত হয়ে বায়তুল্লাহ বা ক্বাবা শরীফ হয়। মুসলিমদের জন্যে অত্যন্ত স্মৃতিধন্য মসজিদ এটি।
বাকী অংশ পরবর্তী পর্বে দেখুন….
* তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।
loading...
loading...
ছবি সমৃদ্ধ সুন্দর পোষ্টটির শুভেচ্ছা জানুন।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
এই মসজিদগগুলোের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো।
loading...
loading...
শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
loading...
welcome
loading...
সুবহান আল্লাহ। চমৎকার চমৎকার সব পবিত্র মসজিদ।
দেখেও শান্তি আসে মনে।
loading...
সুবহান আল্লাহ।
loading...
ভীষণ সুন্দর
loading...
আসলেই। সামনের পর্বে আরও সুন্দর দেখবেন
loading...
হ্যা সুন্দর সুন্দর মসজিদ! ধন্যবাদ।
loading...
Thank You.
loading...
মুগ্ধ…

loading...
loading...