ঝিলমিলঃ গোটা থাকলে ওটা স্কুলের কি উপকারে লাগত?
অমায়িকঃ চুপ! আর কোন প্রশ্ন নয়, নো ফারদার সিলি কোশ্চেন—উত্তর চাই উত্তর। স্যার কি এখেনে ছেলেখেলা করতে এসেছে ? উত্তর না পেলে আমি সবাইকে জেলে পুরব, তাতে যদি উত্তর না পাই পুরে দেব হাজতে। মনে রাখবেন আমার
পরিদর্শকঃ আপনি বোধহয় এই স্কুলের শিক্ষিকা অথবা কোন ছাত্রের—
ঝিলমিলঃ না, না কোন ছাত্রের নয় স্কুলের—
অমায়িকঃ অন্যতম শিক্ষিকা। বাংলায় বিএ, ভুগোলেও বিএ আবার কিসে যেন একটা এম এ। আমার এই একজন মাত্র হেল্পার স্যার, ভয়ে ভয়ে থাকি কখন ফুস করে চলে যায়।
পরিদর্শকঃ তা আপনার স্কুলে
[গুরুচরণ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে কয়েকজন পড়ুয়া এবং দুইজন শিক্ষক। শিক্ষকরা আলোচনারত।]
অমায়িক পাড়ুইঃ তাহলে বলছেন আমার ছাত্ররা পুরোপুরি প্রস্তুত। মানে আসন্ন সাক্ষাৎকারের মোকাবিলায় ওরা তৈরী।
ঝিলমিল মুখার্জীঃ বললাম তো যা বলার বলেছি এবং যা করার করেছি।
অমায়িকঃ না মানে যদি একটু জোর দিয়ে বলেন
একটি মধ্যম আলোকিত কক্ষ। একটি বড় ও একটি ছোট টেবিল। একপাশে ডাঁই করে রাখা কিছু প্লাষ্টিকের চেয়ার। পেছনে কাঠের তিনতাকে কিছু নূতন পুরানো বইপত্র। এক যুবতী চেয়ারে বসে একমনে কিছু পড়ছেন। উপরে একটি ব্যানারে লেখা ধ্রুবতারা
লেখা জিনিসটা খুব একটা সুবিধার কিছু নয় বলে মনে হচ্ছে। কেননা এতে গা জুড়োবার কোন ব্যাপার নেই। যত উত্তমই লেখো তা বেশীক্ষণ হাতে গরম থাকবে না। আর সর্বদা উত্তম তো সোনার পাথরবাটির মত অসম্ভব ব্যাপার। এ-সবই কিছুক্ষণের আমোদ প্রমোদের মত ব্যাপার।
প্রেমও ঠিক তাই। সবারই
ল্যাম্পপোষ্ট
কতকাল নির্বিকার দাঁড়িয়েই আছে।
কচুবন গেছে, নালাও বুঁজেছে।
গাছ পালা অনেক সাফ হবার পর
এখন ফ্ল্যাটের জানালাও তাকে চিহ্ণিত
বিপদ বলে ডাকে।
সে কি কারো ডাক বোঝে?
মান অপমান?
ইতিহাস-কথকতা, প্রেম?
সে কি শুধু আমাদেরই প্রয়োজন
নাকি সমাধিস্থ প্রজ্ঞা অথবা
আমাদের সকল প্রতীক্ষার
লম্বমান ছবি চিরায়ত!
কত কথা নড়ে গেল
প্রতিজ্ঞা ফানুস হয়ে উড়ে গেল
সরকার ,
ঐ স্কুল থেকে আবার ফোন এল। আমি বাড়ীতে আসতে বললাম। ভেবেছিলাম আসবে না। অনেকেই করব বলে করে না, আসবে বলে আসে না। কিন্তু ওরা এসেই পড়ল। আমি দিঘীর পাশে রাস্তা দিয়ে ওদের আসতে দেখলাম। আগেই দুটো চেয়ার পেতে রাখলাম।