গদ্যকবিতা : বিপন্ন শৈশব
১.
ফুল ফুটে নীল বড় উড়োজাহাজ।
চানুমামার ছোলা মটর চা বিস্কুটের দোকানে রিঙ্কুর
ভাইয়ের পজেটিভ রক্তের দাগ —
কাছে যেতেই পা জড়িয়ে কাঁদছে
শৈশবের পেটের জ্বালা রসুন পেঁয়াজের রসে
ভাজা চিকেন পকোড়া
২.
উড়োজাহাজটি মিড ডে মিলের প্রাইমারী স্কুল
বাবাই ইংরেজী বই হাতে বেঞ্চে ঘুমোচ্ছে ,জল হীন
শুষ্ক মুখ, আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা
স্বপ্নটা রামধনু রঙের মতো উলটপালট ফোয়ারা ?
৩.
বর্ণপরিচয়ের যুক্তাক্ষরগুলো গোসাপের সাংঘাতিক চলাফেরা?
মাথা ঝিমঝিম,চোখে অন্ধকার , পরীক্ষার প্রশ্নের কালো
বর্ণগুলো কালনাগিনী সাপের তেড়ে আসা-?
“একশতে নিরানব্বই পেতে হবে কিন্তু”
শব্দগুলি শৈশব জীবনের ধ্বংসাত্মক পরমাণুবোমা–
শিশু-ফুলের স্বাধীনতা মুড়িয়ে কোনো কলমদানির কৃত্রিম
উজ্জ্বল লিখন —
বেতের লাঠির ঘায়ে হারিয়ে যায় খেলার মাঠ, খলখল হাসি
রাখালের মধ্য দুপুরের আনমনা বাঁশি
স্কুলের একঘেঁয়ে ফ্রক আর লাল চক্ষুর কঠোরতায়
লুকিয়ে যায় সৃষ্টির বাবুই পাখি কেঁচোর উর্বরতা
ময়ূরের আনমোল নৃত্য
খোলা আকাশের উদারতা হাত বাড়িয়ে ডাকলে
ক্ষিধের জ্বালায় ছুটির সময় পায়েশের ভাত ই চোখে ভাসে
কানে ঘুরতে থাকে বইয়ের মুখস্থ,
দশটার প্রখর রোদে র প্রহারে অতিষ্ঠ শৈশব এঁটেল মাটি
শক্ত পুঁথির ঘাঁটি / কর্পোরেট ব্যবসায়ী র সুইস ব্যাঙ্ক—?
loading...
loading...
আপনার লিখায় অনায়াশে অনেক গুলোন দিক উঠে আসে। পড়তে ভালো লাগে। অভিনন্দন কবি অরুণিমা মণ্ডল। আশা করবো ভালো ছিলেন। ধন্যবাদ।
loading...
ধণ্যবাদ দাদা
loading...
ভাল লেখা কবি দি ভাই। নমষ্কার।
loading...
ধণ্যবাদ দিদি
loading...
শুরুটা দারুণ আর পরিসমাপ্তিতে এক অদ্ভূত মুগ্ধতা।
মাঝের টুকুতে ঘুরে ঘুরে বাড়ী ফিরে নস্টালজিয়ার থার্মোমিটারে দেখি ১০৪ ডিগ্রী ছুঁই ছুঁই করছে।
loading...
loading...
loading...
চমৎকার! তিনটি কবিতা পড়লাম।
“একশতে নিরানব্বই পেতে হবে কিন্তু”
শব্দগুলি শৈশব জীবনের ধ্বংসাত্মক পরমাণুবোমা–"
এই লাইন দুটো বেশ লিখেছেন প্রিয় কবি

loading...