সাম্প্রতিক সময়ে ভারত পাকিস্তান সমস্যা নিয়ে এদেশের প্রচার মাধ্যমে অনেকেরই অন্ধ ভারত বিদ্বেষ এবং একই সঙ্গে অন্ধ পাকিস্তান প্রেম দেখে লেখাটি কাল রাতে হুট করে লিখে ফেললাম।
”
মনে পড়ছে, খুব সম্ভবত ২০০৬ সালে সিডর পরবর্তী বাংলাদেশে দারুণ খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। একেবারে ‘মন্বন্তর’র দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলাম আমরা। দারুণ সঙ্কট দেখা দিয়েছিল চালের। রাতারাতি অস্বাভাবিক দাম বেড়ে গিয়েছিল। অন্যান্য খাবারও পর্যাপ্ত ছিলো না। শাকসবজি কিংবা অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যের অপ্রতুলতার থেকেও চালের সঙ্কট মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল আমাদের। ভাত না খেলে আমরা বাঁচবো কী করে! ইতোমধ্যেই চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিলো। পঞ্চাশ টাকা কেজিতে এক কেজি চাল বিক্রি হতে দেখেছিলাম সে সময়। কেবল ধনী লোকেরাই ক্রয় করতে পারতো। পরিষ্কার মনে পড়ছে, কী যে শ্বাস রূদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সারা দেশে। তখন বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন পিনাক রঞ্জণ চক্রবর্তী। তার কাছে সহায়তা চাওয়া হয়। অনুরোধ করা হয়, বাংলাদেশে চাল রপ্তানির। এ সময় ভারত নামক বিশাল প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি আরেকবার আমাদের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। দুর্যোগ কবলিত বাংলাদেশে বিরাট পরিমাণের চাল অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে রপ্তানি করে এ দেশের অগণিত দরিদ্র মানুষের মুখে ভাত তুলে দিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেছিল ভারত। হ্যা এই তো পরিষ্কার মনে করতে পারছি, ভ্রাম্যমান চালের গাড়িতে চালের বস্তায় গোটা গোটা হরফে লেখা কৃষ্ণনগর, নদীয়া, পশ্চিম বাংলা, ভারত। আমি একাত্তর দেখিনি, ২০০৬ দেখেছি। নিশ্চিত দুর্ভিক্ষ মন্বন্তরের হাত থেকে এ দেশকে বাঁচিয়েছিল আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি। আমি ভুলে যাইনি। আমি ভুলতে পারি না। কারণ আমার রক্ত অকৃতজ্ঞের রক্ত নয়, প্রতারকের রক্ত নয়, কৃতঘ্নের তো নয়ই। ভারতের কাছে আমার, আমাদের ঋণ, রক্তের ঋণ। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও আমি এই ঋণের প্রতিদান দিতে পারি। ভারতের যদি দরকার হয়, তাহলে আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তাদের হয়ে শত্রু দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। সেটা পাকিস্তান বা চিন যেই হোক।
“
loading...
loading...
আমিও আপনার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে পারি ভারত নিশ্চয় আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।
loading...
নিশ্চয়ই। শুধু বন্ধুই নয়, দু-দেশের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক।
ধন্যবাদ।
loading...
বিপদে বন্ধুকে চেনা যায়। আমি ভারতীয় হয়ে বলছি না, বলছি সামগ্রিক অর্থে।
loading...
যথার্থই বলেছেন। ধন্যবাদ।
loading...
ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক। বন্ধুত্ব থাক অমলিন।
loading...
জি ধন্যবাদ।
loading...