এই তো মাসখানেক আগের একটি ঘটনা। রাত আটটা বেজে থাকবে। ঢাকার কোথাও সরু একটি গলি পেরচ্ছিলাম। এ সময় দেখলাম, বাঁ দিকে একটা সাইকেল হঠাৎ তীব্র গতিতে সড়কের মোর ঘুরে আমার দিকে আসতে লাগলো। সাইকেল আরোহী এগারো বারো বছরের শিশু। বেশ খানিকটা দূরেই ছিল, তারপরও অস্বাভাবিক দ্রুত গতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লাম। চেয়েছিলাম, ও ওর মতো পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে নিয়ে যাক। দেখলাম, ও আরে আরে করতে করতে বেসামাল হয়ে সবেগে সাইকেলটা আমার ঠিক উরুতে লাগিয়ে দিলো। আমি উপস্থিত মুহূর্তে কিঞ্চিত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম, এরকম কিছু একটা হতে পারে, এ জন্য পা যথাসম্ভব দৃঢ় করে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। আর যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই হলো। ওর অসাবধানী বেপরোয়া সাইকেল চালানোর কারণে সরাসরি দুর্ঘটনার স্বীকার হলাম। ব্যায়াম করা শক্তিশালী পা হবার দরুণ খুব বড় কোনও বিপদ হয়নি যদিও, তারপরও অতো গতিসম্পন্ন সাইকেলের ধাক্কা, সমস্ত পা ব্যথা করতে লাগলো। সামনে কাচুমাচু মলিন পাণ্ডুর মুখে দাঁড়ানো এগারো বারো বর্ষীয় শিশু সাইকেল আরোহী। আমি ওকে বললাম, ‘পুরো রাস্তার দুদিকে সম্পূর্ণ খালি আর আমি একা এখানে একজন মানুষ দাঁড়ানো। সাইকেলটা কি না লাগিয়ে নিয়ে যেতে পারতে না? আর তোমার সাইকেলে কি ব্রেকও নাই নাকি? যথেষ্ট সময় পেয়েছিলে ব্রেক করার।’ ও সম্পূর্ণরূপে নির্বিকার। ভীত শীতল মুখে হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। দেখলাম, পাশের দুয়েকজন লোক হইহই করে ছেলেটিকে ভর্ৎসনা করতে লাগলো। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে ভেবে আমি বললাম, ‘যাও। সাবধানে দেখে শুনে সাইকেল চালাও। মোরে টোরে একটু স্লো চালিয়ো।’ ও সাইকেলে উঠতে লাগলো। এ পর্যন্ত কিন্তু একবারের জন্যে আমাকে সরিও বলেনি পিচ্চি! হা হা হা। আবার বললাম, ‘সাবধানে চালিয়ো। ঢাকা শহর, সবখানেই মানুষ।’ এবার দেখলাম ও উল্টো আমার ওপরই বিরক্তিসহকারে ‘উহ্’ শব্দ করলো। তারপর সা সা করে আগের থেকেও আরও দ্রুত বেগে সাইকেল চালিয়ে মুহূর্তেই অনেকটা দূরে চলে গেল। আমি কিঞ্চিত আহত পা’য়ে খুরিয়ে খুরিয়ে নিজের মতো সড়কে হাঁটতে লাগলাম। এ সময় পাশের একজন পথচারী বললো, ‘থাবরাইলেন না কেন?’
‘না না একদম বাচ্চা মানুষ। কী করবো!’ বললাম আমি।
‘ধুর মিয়া, কীয়ের পোলাপাইন মিয়া। জানেন ওইগুলার মইধ্যে শয়তানি দিয়া ভরা। বাইরাইয়া সোজা করন লাগতো।’ রাজ্যের বিরক্তি ও উষ্মা নিয়ে আবার বললো ভদ্রলোক। আমি আর কথা বাড়ালাম না, নীরবে হাঁটতে লাগলাম।
loading...
loading...
ছোট বেলায় এই ভাবে একদিন সাইসাই করে সাইকেল চালাচ্ছি শরু এক রাস্তায়। তার একপাশে বাড়ির দেয়াল অন্য পাশে পুকুর। হঠাত এক আরকটি দুষ্টু ছেলে পথের সামনে এসে ভেঙচাতে শুরু করলো। ব্রেক করতে করতেই তাকে ধুম করে দিয়েছি লাগিয়ে। ছেলেটির শরীরে প্রচুর ঘাঁ ছিল। সাইকেলে বাড়ি খেয়ে সে মাটিতে ছিটকে পরে কয়েক পালটি গড়িয়ে যায়। আর তার ঘাঁ গুলি মাটির সাথে ঘষা লেগে……..
loading...
loading...
ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
loading...
বিধিধ ক্যাটাগরীর লেখা বিবিধেই থাক অর্ক দা।
loading...