১।
নদীর দিকে যাওয়ার পথে বকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কচ্ছপের। জানতে চাইল বক, কোথায় যাচ্ছ?
কচ্ছপ বলল, নদীতে। কী গরমটাই না পড়েছে দেখেছ? ভাবছি নদীর পানিতে শরীরটা জুড়িয়ে আসি।
বক বলল, এখন তো গ্রীষ্মকাল। এক ফোঁটা পানি নেই নদীতে। এখন গিয়ে কী করবে?
কচ্ছপ হাসতে হাসতে জবাব দিল, আমি যেতে যেতেই বৃষ্টির দিন চলে আসবে।
২।
গ্রামের ছোট্ট এক ক্লাব ঘরে বসে তাস পেটাচ্ছে কয়েকজন। একজন উঠে বলল:
—এক মিনিট! ছোট কাজ সেরে আসি।
—সে ফিরে এলে দেখা গেল, তার সারা পোশাকে পানির ছিটা। সবাই জিজ্ঞেস করল:
—বাইরে বৃষ্টি?
সে বলল:
—না, প্রচণ্ড বাতাস!
৩।
এক বৃষ্টির দিনে মালিক তার কাজের লোককে বলছে-
মালিক : রহিম, বাগানে পানি দিতে যা।
কাজের লোক : হুজুর আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে।
মালিক : বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে যা!
৪।
একদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো। ঝিরিঝির বৃষ্টিতে প্রেমিক-প্রেমিকা ঘুড়তে বেরিয়েছে।
ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া নিয়ে ঘুড়ছে লাভ বার্ডস। ট্যাক্সি নিজ গতিতে চলছে। কিন্তু হঠৎ ট্যাক্সি আস্তে চলতে লাগলো !
প্রেমিক ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলো
প্রমিক : হঠৎ আস্তে চালানোর কারন কী?
ড্রাইভার : আপুমণি যে বললেন আস্তে…আস্তে…আস্তে…
৫।
বর্ষা কাল, অহরহই বৃষ্টি হয়। তখন অনেক রাত, বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকক্ষন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ঘাটে প্রচুর পানি জমে আছে। এর ভিতর আমাদের পলাশ ভাই চিৎকার করে কেদে কেদে বলছে, কে আছো ভাই? একটু ধাক্কা দাও।
তানিয়া তার স্বামী রাশেদকে ডেকে তুলে বললো- “আমার মনে হয় তোমার যাওয়া উচিত।”
– কিন্তু বাইরে অনেক বৃষ্টি। রাস্তায় অনেক কাদা। :-<
– তোমার গত বছরের কাহিনী মনে নাই?
– আছে মনে আছে। কিন্তু এই ব্যাটার গলা শুনে ত মনে হচ্ছে পুরা মাতাল।
– তোমার গলা শুনে সেদিন কি অন্যরা মাতাল ভাবে নি?
গত বছর তানিয়ার বাচ্চা হবে। রাতের বেলা হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেদিনও এমন বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট ভেসে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িটা আটকা পড়ে গিয়েছিল কাদায়। অনেকক্ষন ঠেলে ঠুলেও রাশেদ গাড়িটা গর্ত থেকে বের করতে পারছিল না। এদিকে বউয়ের বাচ্চা প্রসবের সময় হয়ে যাচ্ছে। বার বার ধাক্কা মারছিল। কিন্তু গাড়িটা বের করে আনতে পারছিল না। একসময় হতাশায় সে চিৎকার করে কাদা শুরু করেছিল । ধাক্কা দাও। কেউ একজন এসে ধাক্কা দাও। আশেপাশের বাসা থেকে দুইজন সহৃদয় মানুষ বের হয়ে এসেছিল। নিজেরা ভিজে, কাদায় মাখামাখি হয়ে গাড়িটা বের করে দিয়েছিল ধাক্কা মেরে। আর সেদিন রাতেই তাদের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছিল।
আজকে, বছরখানেক পর, আরেক বৃষ্টির দিনে এক লোক চিৎকার করে বলছে, ধাক্কা দাও। আমাকে ধাক্কা দাও।
রাশেদ বের হয়ে আসল। রাস্তার পাশের লাইটগুলাও নিভে আছে কেন জানি। বেশ অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ধাক্কা দাও।
রাশেদ বলল, ভাই আপনি কই?
– এদিকে আসেন।
রাশেদ সামনে এগিয়ে যায়।
– বাগানের ভিতর আসেন।
রাশেদ বাগানে ঢুকে পড়ে। ভাই, আপনাকে দেখছি না তো।
– ভাই, টবগুলার পাশে আসেন।
রাশেদ টবের পাশে এসে দাঁড়ায়।
– ভাই, আপনার মত মানুষ হয় না। আসেন, একটু ধাক্কা দেন তো। অনেকক্ষন ধরে দোলনায় বসে আছি। এত ডাকছি, কেউ ধাক্কা দিতে আসে না।
পুনশ্চঃ সবগুলা কৌতুক আমি গতকাল রাতে ঘুমের মধ্যে লিখছি। দুনিয়ার মানুষ বেজায় ভাল। আমার কৌতুক গুলাম আমারে না জিগায়া বছরের পর বছর ধইরা এখানে সেখানে ছড়ায়া ছিটায়া রাখছে।
loading...
loading...
হাহাহা। এই পোস্টখানা একখান জব্বর পোস্ট হৈছে। সক্কাল বেলায় পেটে খিল ধরার অবস্থা। আঠারো প্লাস আর আঠারো মাইনাস সবই আছে দেখতে আছি।
ঘুমায়া লিখেন আর আর জায়গা অজায়গায় লিখেন; ছড়ানো থাউক আর পেটের মইধ্যে থাউক; অসুবিধা নাই। হপ্তায় একখান জোকস সিরিজ হৈলে মন্দ হয় না কিন্তুক।
loading...
তা মন্দ হয় না। সে কথা আমিও ভেবেছি। দেখা যাক চালানো যায় কিনা।
আনন্দ পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে।
loading...
loading...
হা হা হা
দারুণ
loading...
শুভেচ্ছা নিবেন দিপঙ্কর ভাই।
loading...
এমন বৃষ্টির দিনে এর চেয়ে ভালো বিনোদন আর কি হতে পারে ! হাসতে হাসতে পেতে খিল ধরার অবস্থা ! এমন সরেস জিনিস তো সাড়া দুনিয়া ছরায়া ছিটায়া যাবেই !
loading...
আমিও তাই কই!
বৃষ্টির সবারে এট্টু হাসায়া দিই।
loading...
বাহ দারুন বৃষ্টির দিনে,,,,,,,,,,,এমন আষাঢ়ে কৌতুক ভুনা খিচুরির মতোই লাগল


loading...
মান্নান ভাই বহুদিন পরে আপনারে পাইলাম। শুভেচ্ছা নিবেন।
loading...
loading...
তাই, আমিও হাসি
loading...
বৃষ্টির দিনে আসা হয়নি বলে এই ঠা ঠা রোদের মাঝে আপনার এই কৌতুক পড়তে হল। পড়লাম, হাসলাম আর ভাবলাম আপনার ঘুমতো বেশ উর্বর!!
loading...
কেমন আছেন আনোয়ার ভাই? দেখা হবে অন্য কোন কবিতায়।
loading...