অসহায়


এই রিক্সা যাবে।
কৈ যাবেন আফা?
গুলিস্তান।
ভাড়া কত?
৪০ ট্যাহা।
৩০ টাকায় যাবেন।
না, যাব না।
৩১ টাকায় যাবেন।
না- যাব না।
ঠিক আছে, আরো দুই টাকা বাড়িয়ে দিব। ৩৩ টাকা দিব। যাবেন।
আফা এইডা কি মাছের বাজার পাইছেন? ৪০ ট্যাহার নিচে এক ট্যাহা কম হলেও যাব না। এই বলে রিক্সাওয়ালা চলে গেল।
মনিরা সামনে হাঁটছে। কিছুক্ষণ পর আবার আরেক রিক্সাওয়ালা সামনে দিয়ে যাচ্ছেÑ ঐ রিক্সা যাবেন।
কৈ যাইবেন আফা?
গুলিস্তান।
যাবনা।
কেন যাবেন না?
তা ক্যান কমু আপনাকে।
রিক্সাওয়ালার জবাবে মনিরা তখন বেকুব হয়ে গেল। কিছুদূর হেঁটে আবার আরেক রিক্সাওয়ালাকে ডাক দিলো, এই রিক্সা যাবেন।
যামু। কৈ যাবেন?
গুলিস্তান।
আহেন।
ভাড়া কত?
৫০ ট্যাহা। ১০ মিনিটের রাস্তা হেটে চলে আসলাম। ১০ মিনিট আগে একজন বলল ৪০ টাকা আর এখনও তুমি বলছ ৫০ টাকা!
ভাড়া ৫০ ট্যাহাই। তয় ৪৫ ট্যাহা যাবেন।
না।
৩৪ টাকায় যাবেন।
কি কইলেন ৩৪ ট্যাহা! রিক্সাওয়ালা মুখ ভেংচিয়ে বললো, হাইট্টা যান ট্যাহা লাগবে না।
মনিরা আর কোন কথা না বাড়িয়ে হাঁটতে লাগল। আবার সামনে একটি রিক্সাওয়ালাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করতেই সে ভাড়া চাইল ৪০ টাকা। এবার মনিরার মেজাজটা চড়া হয়ে গেল। কোথায় বাস করছি আমরা। ১৫মিনিটের রাস্তা হেঁটে আসার পরও ভাড়া কমছে না। তাই এবার মনিরা সিদ্ধান্ত নিল হেঁটেই গুলিস্তান যাবে এবং রিক্সা ভাড়ার টাকা দিয়ে কোন কিছু খেয়ে ফেলবে।
অবশেষে মনিরা শাহবাগ থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগল। মনিরা হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। দীর্ঘ ৩০ মিনিট হেটে গুলিস্তান এসে পৌঁছল। ৩০মিনিট হেঁটে তার এখন ৩৪ টাকা আয় হলো।
মনিরা এখন কিছু খাওয়ার জন্য সামনেই একটি হোটেলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। এমন সময় পিছন থেকে এক ছিনতাইকারী মনিরার ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনতাই করে দৌঁড় দেয়। ভ্যানিটি ব্যাগটি ধরে যখন ছিনতাইকারী আচমকা টান দেয় তখন মনিরা মাটিতে পড়ে যায়। মাটি থেকে উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখে তার ভ্যানিটি ব্যাগ নেই এবং ছিনতাইকারী দৌঁড়ে পালাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে মনিরা চিৎকার করে বলছে, ছিনতাইকারী চলে যাচ্ছে। কে আছেন ভাই ওকে ধরেন। কিন্তু আশে পাশের মানুষজন সিনেমার দৃশ্যের মতো উপভোগ করছে কেউ তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। কিছুক্ষণ চিৎকার চেচামেচির পর মনিরা মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়ল। কারণ ভ্যানিটি ব্যাগে ছিল তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দুই হাজার টাকা ও মোবাইল। সে এখন ভাবছে এ কোন আজব দেশ। দিনের বেলাও নিরাপদে চলাফেরা করা যায় না। এভাবে সকলের চোখের সামনে আমার টাকাগুলো নিয়ে গেল, কেউ একটু সাহায্যও করল না। এতগুলো লোকের সামনে দিয়ে নিরাপদে ছিনতাইকারী পালিয়ে গেল। এখন আমি কি করব। কিভাবে আমি বাসায় ফিরব। আমার কাছেতো আর কোন টাকা পয়সা নেই। এইসব বিষয় ভাবতে ভাবতে মনিরা কান্নাকাটি করতে লাগল।
এতক্ষণে আশেপাশের অনেক লোক তাকে ঘিরে ফেলল। উৎসুক জনতার কেউ কেউ এখানে হয়তো কোন সুটিং চলছে ভেবে এগিয়ে আসছে। কেউ হয়তো কোন দুর্ঘটনা হয়েছে ভেবে এগিয়ে আসছে। কাছে এসে যখন আসল ঘটনা জানতে পারে তখন সবাই চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ যাবার বেলায় বলছে এটা ঢাকা শহরের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এমন চুরি ছিনতাই অহরহ ঘটছে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়।
এক পথচারী মনিরার সামনে এসে বলছে, এখন কান্নাকাটি করে লাভ নেই বাড়ি ফিরে যান। তানাহলে আরো অন্য কোন বিপদে পড়তে পারেন। এটা ঢাকা শহর। বলতে পারেন বিপদের শহরও!
মনিরা কাঁদো কাঁদো স্বরে বলছে, ভাই এখন আমি কি করে বাড়ি যাব। আমার কাছেতো কোন টাকা পয়সাও নেই। সবইতো ঐ ছিনতাইকারী নিয়ে গেছে।
তাতে কি হয়েছে। রাস্তাঘাটে কতলোকজন আছে। সাহায্য চান। কেউ না কেউ দিবে। এই বলে লোকটি চলে গেল।
এভাবে একে একে সব লোকই পর্যায়ক্রমে মনিরার কাছ থেকে চলে গেলো। অনেকেই সুন্দর সুন্দর পরামর্শ দিয়ে গেছে কিন্তু তার সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। বরং উল্টা তারা মনিরাকে ভয় দেখিয়ে গেছে।
এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মনিরা গভীর চিন্তায় পড়ে গেল। কিভাবে বাড়ি ফিরবে। কার কাছে টাকা সাহায্য চাইবে। কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। এই শহরের অলিগলি তেমন চেনাজানা নেই। কারণ সে এই শহরে এসেছে বেশী দিন হয়নি। মাত্র এক মাস হয় ঢাকায় এসেছে। তার আত্মীয়র বাসায় থেকে লেখাপড়া করবে বলে ঢাকায় তার আগমন। ইতোমধ্যে একটি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট এ ভর্তিও হয়েছে। গুলিস্তান থেকে তার বাসায় হেঁটে যাওয়াও সম্ভব নয়। কারণ তার বাসা মিরপুর। মিরপুর যেতে হলে তাকে বাসে যেতে হবে। বাসে বিনা টাকায় যাওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে অনেক পথ হেঁটে সে এখন ক্লান্ত। অতীতে এতখানি পথ কোন দিন হাঁটেনি। একদিকে সে ক্লান্ত। অন্যদিকে রাত। আবার বাসা অনেক দূরে। আর কিছু ভাবতে পারছে না মনিরা।
মনিরার কাছে এখন কোন মোবাইলও নেই যে বাসার কাউকে ফোন করে বিষয়টি জানাবে। তাছাড়া নতুন বাসায় এসেছে এখানের নাম্বারও মুখস্ত করেনি। তাদের বাড়ির কেউ তার ঐ বাসার কারোর নাম্বারও জানে না যে তাদেরকে জানাবে। এমন বিপদের সম্মুখীন হয়ে মনিরা ভয়ে ভয়ে ধীর পায়ে সামনে এগুচ্ছে। ভাবছে সব লজ্জা ত্যাগ করে কিছু টাকা সাহায্য চাইবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন পথচারীর কাছে তার বিপদের কথা বলে সাহায্য চেয়েছে। কিন্তু কেউ তার কথায় কর্ণপাত করেনি। সবাই ধুর ধুর করে বলছে, পুরান পাগলের ভাত নেই নতুন পাগলের আমদানী। ক্লান্ত দেহ নিয়ে মনিরা হাঁটতে হাঁটতে শাহবাগ চলে আসল। ইতোমধ্যে রাত ৮ টা বেজে গেছে। আর হাঁটা তার পক্ষে সম্ভব না। শাহবাগ মোড়ে কোন এক দোকানের সামনে মনিরা বসে পড়ল।
কিছুক্ষণ পর মনিরা সিদ্ধান্ত নিল আর এভাবে হাঁটা যাবে না। বাসে উঠে বসবে পরে যা হবার হবে। মিরপুরের বাসে উঠে বসল মনিরা। কিছুক্ষণ পর কনটাক্ট্রর এসে ভাড়া চাইল মনিরার কাছে।
মনিরা তার বিপদের কথা কনটাক্ট্ররকে বুঝিয়ে বলল। কিন্তু বদ মেজাজী কনটাক্ট্রর কিছুতেই তার কথা বিশ্বাস করল না। ধান্দাবাজীর আর জায়গা পাওনা। ভাড়া দাও নইলে বাস থেকে নামিয়ে দিব।
প্লিজ ভাই আমি বড়ই বিপদে আছি আমাকে নামিয়ে দিবেন না। আবার যদি কোনদিন দেখা হয় আমি আপনার ভাড়া দিয়ে দিব।
এসব সিনেমার ডায়লগ ছেড়ে ভাড়া দেন। বেশীক্ষণ আপনার কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে পারুম না। অন্যদের ভাড়া কাটতে হবে।
শত অনুরোধ করেও যখন কোন কাজ হলো না তখন কনটাক্ট্রর মনিরাকে টেনে হেঁচরে নামিয়ে দিল ফার্মগেটের ওভারব্রিজের নিকট। এদিকে রাত এখন ৯ টা বাজে। ধীরে ধীরে রাত গভীর হতে লাগল। মনিরা ওভার ব্রীজের নীচে বসে পড়ল। তার চোখে ঘুম আসছে।
এদিক দিয়ে মনিরার পাশ দিয়ে এক লোক হেটে যাচ্ছে। বয়স চল্লিশের উপরে হবে। তাকে দেখে হঠাৎ থমকে দাঁড়াল। ব্যাপার কি দেখতে ভদ্র ঘরের মেয়ে কিন্তু এখানে বসে এভাবে জিমাচ্ছে কেন? একটু কাছে গিয়ে দেখে আসি। ঐ লোক মনিরার কাছে আসল। এ মেয়ে কে তুমি?
মনিরা চমকে উঠল। আমি, আ…মি.।
হ্যাঁ কে তুমি?
আমি মনিরা।
এখানে কি করছ?
জানেন ভাই আমি খুব বিপদে আছি।
বিপদ! কিসের বিপদ!!
আমার ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি হয়ে গেছে। টাকা পয়সা, মোবাইল সব নিয়ে গেছে। বাসায় যাওয়ার কোন ভাড়া নেই। তাই এখানে বসে চিন্তা করছি কি করব।
কি বলছ তুমি চুরি হয়ে গেছে! কোন সমস্যা নেই। আমি তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিব।
আপনি আমাকে বাসায় পৌঁছে দিবেন!
হ্যাঁ।
আমিতো আপনাকে চিনি না।
এই দুনিয়ায় কি সবাই সবাইকে চিনে বোন।
বোন! আপনি আমাকে বোন ডাকলেন?
হ্যাঁ তুমি আমার বোন। ভাইয়ের দায়িত্ব বোনের বিপদে সহযোগিতা করা।
সত্যি আমাকে সহযোগিতা করবেন?
অবশ্যই। তোমার বাসা কোথায়?
মিরপুর।
আমার বাসাতো মিরপুর।
কত নম্বর।
১১ নম্বর।
কি কাকতালীয় মিল। আমিও ১১ নম্বর থাকি।
তাই নাকি!
কোন চিন্তা নেই। আমি তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিব।
মনিরা লোকটির মিঠা কথায় একটু আশার আলো খুঁজে পেল। এবার মনে হয় বাসায় যাওয়া যাবে। দুনিয়ায় এত ভালো মানুষ আছে তা ভাবতে পারে না সে। লোকটি যখন আমাকে বোন বলে ঢেকেছে তাহলে তার সাথে চলে যাব। যেই ভাবা সেই কাজ। মনিরা রাজি হয়ে গেল। ঠিক আছে আমি আপনার সাথে মিরপুর যাব। বাসায় গিয়ে আপনার ভাড়া পরিশোধ করে দিব।
ছি: ছি: এ কথা বলে না বোন। সামান্য কটা টাকা বাসায় গিয়ে পরিশোধ করতে হবে কেন? কোন টাকা লাগবে না। কোন ভাই কি ছোট বোনের কাছ থেকে টাকা নিতে পারে।
মনিরার বিশ্বাস আরো বেড়ে গেল।
ঠিক আছে চলুন ভাইয়া।
ঠিক আছে চল।
এবার মনিরা উঠে দাঁড়াল। দু’জন মিরপুরের বাসে উঠে বসল। পাশাপাশি সিটে দু’জন বসল। মনিরা জানে না কোথায় সে পা বাড়াল। তার বিশ্বাস লোকটি তাকে বাসায় পৌঁছে দিবে। কিন্তু না কিছুক্ষণ পরই লোকটি আসল চেহারা উম্মোচিত হলো। সে পকেট থেকে একটি রুমাল বের করে মনিরার নাকে ঘষা দিল। আর অমনি মনিরা অজ্ঞান হয়ে গেল।
এর কিছুক্ষণ পর লোকটি ড্রাইভারকে গিয়ে বলছে, ভাইজান আমার বোন অজ্ঞান হয়ে গেছে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে গাড়িটা এখানে একটু থামান। ড্রাইভার গাড়ি থামানোর সাথে সাথে লোকটি মনিরাকে নিয়ে গাড়ী থেকে নেমে পড়ল।
পড়ে লোকটি মনিরাকে একটি যৌন পল্লীতে নিয়ে গেল। যেখানে গ্রামের সহজ সরল ও অসহায় মেয়েদেরকে নিয়ে আসা হয়। মুখোশধারী লোকটি মূলত ঐ যৌন পল্লীর দালাল। তার কাজ সারাদিন শহরে বা গ্রামে ঘুরাঘুরি করে অসহায় মেয়ে খুঁজে বের করে এখানে নিয়ে আসা। আর তাদেরকে পেলে অসায়ত্বকে পূজি করে সরলতার সুযোগে তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এখানে নিয়ে আসে এবং যৌন পল্লীর মালিকের কাছে বিক্রি করে দেয়। যাদেরকে একবার এখানে নিয়ে আসা হয় তারা আর কোনদিন তাদের আসল ঠিকানা খুঁজে পায় না। হয় তাদেরকে এখানে থেকে যৌনকর্মী হিসেবে জীবন যাপন করতে হয় নতুনা মৃত্যুবরণ করতে হয়। এসব অসহায় নারীদের দিয়ে যৌন পল্লীর মালিকরা ব্যবসা করে। এই কাজের বিনিময়ে তারা কিছু পায় না। শুধু খাবার আর কাপড় চোপড় পায়। মালিক প্রত্যেক খদ্দের থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়। অনেক অসহায় নারী এখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও বেরিয়ে আসতে পারে না। কারণ স্থানীয় লোকজন তাদেরকে বের হতে দেয় না।
মনিরাকে অজ্ঞান অবস্থায় মুখোশধারী দালাল লোকটি যৌন পল্লীতে নিয়ে আসার পর যৌন পল্লীর মালিক খুব খুশী হয়। এই যৌন পল্লীতে আরেকটি অদ্ভুদ কাজ করা হয় তাহলো, যে দালাল যে মেয়েকে এখানে নিয়ে আসবে তাকে প্রথমে সে ভোগ করবে তার ইচ্ছামতো। সেই মতে আজকের রাতটি মুখোশধারী দালালটির জন্য বরাদ্দ হলো। মনিরাকে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে সে সারারাত তাকে ভোগ করল। ছিন্নভিন্ন করে দিল মনিরার ফুটন্ত যৌবন। নরপশু সারারাত তার দেহটাকে নিয়ে খেলা করল।
সকাল বেলা মনিরার জ্ঞান ফিরল। চারদিকে তাকিয়ে দেখে এটা তার বাসা নয় অপরিচিত একটি জায়গা। তার চার পাশে অসংখ্য নারী দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানাচ্ছে।
চারদিকে তাকিয়ে মনিরা বললো, কে তোমরা?
চার পাশ থেকে হাসির আওয়াজ এল। হা… হা…।
আমরা তোমার বান্ধবী। আমরা এক সাথে থাকব। একসাথে খেলা করব।
এসব কি বলছেন? আমি এখানে কেন? এটা কোন জায়গা?
যৌন পল্লীর মালিক বলল, এটা তোমার শেষ ঠিকানা। এখান থেকে ফেরার কোন পথ নেই। এখানেই তোমাকে এখন থেকে থাকতে হবে।
না না এ হতে পারে না। আমার ভাইয়া কোথায়?
কে তোমার ভাইয়া?
তার নাম জানি না।
ও যে তোমাকে নিয়ে আসছে তাকে খুঁজছ? তাকে আর দেখতে পাবে না। তার কাজ শেষ। এবার যা করার আমরা করব।
না আমি এখানে থাকব না এখনই চলে যাব। এই বলে মনিরা বিছানা থেকে উঠার চেষ্টা করল। কিন্তু উঠতে পারছে না। কোমরের ব্যথায় শরীর অস্তির হয়ে গেছে। সারারাত তার উপর পৈশাষিক নির্যাতন হয়েছে তা সে বলতেই পারবে না। কোন রকমে সে উঠে দাঁড়াল। দাঁড়িয়ে দেখতে পেল বিছানায় রঙের দাগ!
একি এ অবস্থা কেন আমার! চমকে উঠল মনিরা।
দৌঁড় দেয়ার চেষ্টা করল কিন্তু মালিক খপ করে তাকে ধরে বলল, কোথায় যাও। এখানে যে একবার আসে সে আর ফিরে যায় না।
এ কথা বলার সাথে মনিরা আবার অজ্ঞান হয়ে গেল।

রচনাকাল- ১ অক্টোবর-২০১৪খ্রি:

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৭ টি মন্তব্য (লেখকের ৩টি) | ২ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৪-১০-২০১৭ | ৬:৩৬ |

    গল্পটি শব্দনীড় ব্যবহারকারীদের সাথে শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ মি. আমির ইশতিয়াক।
    শুভ সকাল। ভালো থাকুন প্রতিদিন।

    GD Star Rating
    loading...
    • আমির ইশতিয়াক : ১৫-১০-২০১৭ | ১১:০২ |

      আমি একসময় সবার পোস্টে মন্তব্য করতাম। তখন লক্ষ্য করে দেখলাম একমাত্র আপনি নিয়মিত ও মাঝে মাঝে দুয়েকজন ছাড়া কেউ আমার পোস্টে মন্তব্য করে না। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে এখানে যারা লিখছেন তারা প্রত্যেকেই একেকজন বড় মাপের লেখক। তারা অন্যের মন্তব্যের আশায় পোস্ট করেন নিজে ভুলেও অন্যের পোস্টে যায় না এবং মন্তব্য করে না। কিছু লেখক আছেন তারা নিজের পোস্টের মন্তব্যের জবাবও দেয় না। আমি প্রথমে সবার পোস্টে মন্তব্য করলে ইদানিং আর করি না। কারণ একতরফা মন্তব্যের কোন মানে হয় না। শুধু সময় নষ্ট হয়। তবে যারা আমার পোস্টে মন্তব্য করে তাদের পোস্ট পড়ে মন্তব্য করতে কার্পন্য করি না এবং মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিতেও কার্পন্য করি না।

      ধন্যবাদ মি. মুরুব্বী নিয়মিত ভাবে আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য। আর যারা মন্তব্য করে না তাদের ব্যাপারে আমার কোন মতামত নেই।

      GD Star Rating
      loading...
    • মুরুব্বী : ১৬-১০-২০১৭ | ৭:৪৮ |

      নিশ্চয়ই এখানে যারা লিখছেন তাদের বেশীরভাগ স্বকীয় স্থানে স্বদৃষ্টিতে বড় মাপের লিখক। আপনি এবং অন্যরা যা লিখছেন সাহিত্যের চর্চা তাতে করে বাড়ছে বৈ কমছে না।

      আমি পড়ুয়া মানুষ। পড়তে পছন্দ করি। অন্যের জন্য নিজের স্থান ছেড়ে দিতে কার্পণ্য করি না। সব সময় মনে রাখি 'কে আমাকে কি দিল সেটা বড় নয়; আমি কতটুকু পারলাম আমার কাছে সেটাই বেশী জরুরী।'

      ব্লগ কোন প্রতিযোগিতার জায়গা নয়। ইচ্ছে হলে মন্তব্য দিবে অথবা দিবে না এই অধিকার সবারই রয়েছে। মন্তব্যের চাইতে আমার কাছে পড়া এবং একজন লিখককে উৎসাহ দেয়ার জন্য মন আর কী-বোর্ডের আঙ্গুল গুলোনকে সামান্য কষ্ট দিলে কতটুকু ক্ষতি সেটাই আমি ভাবি। নাথিং এলস্। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

       

      GD Star Rating
      loading...
      • আমির ইশতিয়াক : ১৭-১০-২০১৭ | ১৮:৪৩ |

        সবাই যদি সবার লেখা পড়তো তাহলে কোন সমস্যা হতো না। পেইজ ভিউ ও মন্তব্য দেখেই বুঝা যায় ব্লগে এখন পাঠকের বড়ই অভাব। ধন্যবাদ।

        GD Star Rating
        loading...
      • মুরুব্বী : ১৭-১০-২০১৭ | ২১:৫৩ |

        এটা সঠিক বলেছেন যে ব্লগে সত্য পাঠকের অভাব চলছে। Frown

        GD Star Rating
        loading...
  2. রিয়া রিয়া : ১৬-১০-২০১৭ | ১৪:০৫ |

    অফলাইনে আপনার প্রায় সব লেখা পড়ার সুযোগ হয়। আপনি ভালো লেখেন।

    GD Star Rating
    loading...
    • আমির ইশতিয়াক : ১৭-১০-২০১৭ | ১৮:৪৪ |

      আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমিও মাঝে মাঝে আপনার লেখা পড়ি ও মন্তব্য করি। ধন্যবাদ সব সময় ভালো থাকবেন। 

      GD Star Rating
      loading...